স্মারক স্টাম্প নিয়ে। ইনদওরে ম্যাচ শেষে।
ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম ‘ফ্ল্যামবয়েন্ট’ ব্যাটসম্যান, মারকুটে ব্যাটিংয়ের জনক মুস্তাক আলির শহর থেকেই আবার ভারতের ওয়ান ডে টিম এমএসডিময়! মানে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সৌরভে ম ম করছে ফের!
এবং তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে হোলকার স্টেডিয়ামের দুপুরের বাইশ গজের মতোই রাতে মাইকের সামনেও ধোনি একই রকমের আক্রমণাত্মক। সাংবাদিক সম্মেলনে ঢোকার আগে পুরস্কারমঞ্চেই টিভি ভাষ্যকারকে বলে দিলেন, ‘‘খোলা তলোয়ার হাতে অনেকেই দাঁড়িয়ে আছে কবে আমরা খারাপ খেলব তার অপেক্ষায়!’’
কিছুক্ষণ পরে সাংবাদিক সম্মেলনেও ধোনি যেন প্রশ্ন নামক কোনও বল-ই ডিফেন্সিভ খেলতে রাজি নন। ‘‘দেখুন, টেস্ট ক্রিকেটটা যে দিন ছেড়েছিলাম, সে দিন থেকেই ঠিক করে রেখেছি এ বার ওয়ান ডে-তে নিজের খেলাটা উপভোগ করব। ভেবেছিলাম ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে উপরে তুলে আনব। কিন্তু আমাদের ড্রেসিংরুমে যখন ঢুকি তখনই নিজের আগে নামাটা খুব কঠিন মনে হয়। আপনারাই ভাবতে পারেন, তা হলে পাঁচ, ছয় আর সাতে কে নামবে!’’
একটু থেমে ধোনি ফের বলতে লাগলেন, ‘‘সাত নম্বর জায়গাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেমন আজকের ম্যাচে অমিত মিশ্র দলে ছিল না। আগের ওয়ান ডে-তে ও আমাদের সেরা বোলার হওয়া সত্ত্বেও আমরা ওকে বসাতে বাধ্য হয়েছিলাম, এখানে সাত নম্বরে এক জন বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলাব বলে। আধুনিক ক্রিকেটে আপনি ছয় ব্যাটসম্যান-পাঁচ বোলারে কখনই খেলতে পারেন না! সাত নম্বরে আপনার দরকার এমন একজনকে, যে ব্যাটটাও ভাল করে।’’
যে ধোনি ওয়াংখেড়ের কাপ ফাইনাল জিতেও আবেগ দেখাননি, তাঁকে এ দিন দু’দেশের একটা নিছক ওয়ান ডে জিতে সিরিজে সমতায় ফিরে স্মারক হিসেবে একটা স্টাম্প তুলে নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরতে দেখা গিয়েছে! ‘‘দেখুন, বহু বার গোটা ম্যাচের ৮০-৯০ শতাংশ ভাল খেলেও দিনের শেষে আমাদের মাঠ ছাড়তে হয়েছে হেরো টিম হিসেবে। সে জন্য আমার কাছে আজকের জয়টা খুব ভাল জয়, খুব গুরুত্বপূর্ণ জয়। তা ছাড়া ভারতের হয়ে খেলা মানেই তো আপনার ঘাড়ে সব সময় বাড়তি চাপ। এত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি, কিন্তু আমার তো একটা ম্যাচও মনে পড়ে না, যে খেলাটায় আমাদের উপর কোনও চাপ ছিল না!’’ সাফ বলে দিলেন ধোনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy