Advertisement
১১ জুন ২০২৪

পরিস্থিতি অনুযায়ী অনুশীলনের পরামর্শ মনোবিদের

শেষ বার রঞ্জি ট্রফি সেমিফাইনালে দিল্লির বিরুদ্ধে এক সেশনেই হারতে হয়েছিল মনোজ তিওয়ারিদের। সেই পরিস্থিতি আরও এক বার সামলাতে হতে পারে। তখন ভয় না পেয়ে ক্রিকেটারেরা যাতে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেন, তার জন্যই এই সিচুয়েশনাল ট্রেনিংয়ের কথা বলেছেন মুগ্ধা।

‘সিচুয়েশনাল ট্রেনিং’ করার নির্দেশ দিলেন মনোজদের নতুন মনোবিদ মুগ্ধা বাভারে।

‘সিচুয়েশনাল ট্রেনিং’ করার নির্দেশ দিলেন মনোজদের নতুন মনোবিদ মুগ্ধা বাভারে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৪৩
Share: Save:

মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানোর জন্য বাংলার ক্রিকেটারদের ‘সিচুয়েশনাল ট্রেনিং’ করার নির্দেশ দিলেন নতুন মনোবিদ মুগ্ধা বাভারে। কিন্তু কী এই সিচুয়েশনাল ট্রেনিং? অনুশীলনের সময়ে প্রত্যেক ক্রিকেটার যেন একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতি মাথায় রাখে। নেটে ব্যাট করা অথবা বল করার পাশাপাশি ফিল্ডিং অনুশীলনের সময়েও সেটা প্রযোজ্য।

শেষ বার রঞ্জি ট্রফি সেমিফাইনালে দিল্লির বিরুদ্ধে এক সেশনেই হারতে হয়েছিল মনোজ তিওয়ারিদের। সেই পরিস্থিতি আরও এক বার সামলাতে হতে পারে। তখন ভয় না পেয়ে ক্রিকেটারেরা যাতে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেন, তার জন্যই এই সিচুয়েশনাল ট্রেনিংয়ের কথা বলেছেন মুগ্ধা। ব্যাটসম্যানদের বলা হয়েছে তাঁরা যেন নেটে ব্যাট করার সময়ে একটা নির্দিষ্ট পরিস্থিতি মাথায় রেখে খেলেন। ধরা যাক, দশ রানে চার উইকেট পড়ে গিয়েছে। অথবা জেতার জন্য ১৮ বলে প্রয়োজন ৫০ রান। ম্যাচে এ রকম পরিস্থিতি সামলাতে হলে যেন কোনও ভাবেই ঘাবড়ে না যান ক্রিকেটারেরা। বরং পরিস্থিতির মোকাবিলা করে দলকে জয়ের রাস্তা দেখানোর জন্যই তৈরি করা হচ্ছে সাইরাজ বাহুতুলের ছেলেদের।

বোলারদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা প্রায় একই রকম। সোমবার কণিষ্ক শেঠ, সায়ন ঘোষদের একক ক্লাস করান নতুন মনোবিদ। সকালে ভিডিয়োকন ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে জিম করে সোজা সিএবি-তে মুগ্ধার সঙ্গে দেখা করতে আসেন তাঁরা। পেসারদের বলা হয় ম্যাচের আগের দিন চোখ বন্ধ করে বিপক্ষের সেরা ব্যাটসম্যানকে কী ভাবে বল করবেন সেটা ভাবতে। অনুশীলনের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে নামতে বলা হয় ঈশান পোড়েল, কণিষ্ক শেঠদের। পিচ যদি পেসারকে সহায়তা না করে, সে ক্ষেত্রে কী ভাবে বল করবেন সেটাও অনুশীলন করে নিতে বলেন তিনি। স্পিনারদের ক্ষেত্রেও তাঁর একই টোটকা।

বাংলার ক্রিকেটারদের দু’দিন ক্লাস করানোর পরে সোমবার রাতেই মুম্বই উড়ে যাওয়ার কথা তাঁর। বিজয় হাজারে ট্রফি শুরু হওয়ার আগে আরও এক বার মনোজদের সমস্যা মেটাতে আসবেন তিনি। এর মধ্যে ক্রিকেটারদের সমস্যা দেখা দিলে ক্রিকেটারদের টেলিফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে বলেন মুগ্ধা।

বাংলার ক্রিকেটারদের কাছে এক দিনের আলাপেই যেন বন্ধু হয়ে উঠেছেন বাংলার নতুন মনোবিদ। নিজেদের সমস্যার কথা মনোবিদকে জানাতে কোনও দ্বিধাবোধ করেননি বাংলার ক্রিকেটারেরা। বাংলা দলের এক পেসার সোমবার বলেন, ‘‘ওঁর ব্যবহার অসাধারণ। এই দু’দিন আমাদের সঙ্গে খোলা মনে মিশেছেন। প্রত্যেকের সমস্যার কথা মন দিয়ে শুনেছেন। সেই সমস্যা মেটানোর পরামর্শেও খুশি আমরা। আমি মনে করি, এ বারের রঞ্জি ট্রফি মরসুম চলাকালীন তাঁর পরামর্শ পাওয়া গেলে উপকৃত হবে বাংলার প্রত্যেক ক্রিকেটার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cricket Mugdha Bavare
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE