Advertisement
০৪ মে ২০২৪
রবিবাসরীয় সকালেই চড়ল ম্যাচের পারদ

আড়াই ঘণ্টায় বিক্রি আড়াই লক্ষের টিকিট

দৃশ্য ১: চিত্রটা রবিবার অনেকটাই বদলে গিয়েছে। স্টেডিয়ামের ধারে দুই দলের পতাকা, জার্সি বিক্রেতাদের ভিড়। তন্ময় পাল, দেবরাজ শীলরা ভুভুজেলা বিক্রি করেছেন কলকাতা থেকে এসে। টিকিট কাউন্টারের সামনে দুই দলের ভক্তদের আনাগোনা।

সংহতি: মাঠে য়থই লড়াই হোক, স্টেডিয়ামে যতই গলা ফাটানো হোক, মাঠের বাইরে ভাই ভাই লাল হলুদ ও সমুদ মেরুন। রবিবার শিলিগুড়িতে ছবিটি তুলেছেন বিশ্বরূপ বসাক।

সংহতি: মাঠে য়থই লড়াই হোক, স্টেডিয়ামে যতই গলা ফাটানো হোক, মাঠের বাইরে ভাই ভাই লাল হলুদ ও সমুদ মেরুন। রবিবার শিলিগুড়িতে ছবিটি তুলেছেন বিশ্বরূপ বসাক।

সৌমিত্র কুণ্ডু
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৫৭
Share: Save:

দৃশ্য ১: চিত্রটা রবিবার অনেকটাই বদলে গিয়েছে। স্টেডিয়ামের ধারে দুই দলের পতাকা, জার্সি বিক্রেতাদের ভিড়। তন্ময় পাল, দেবরাজ শীলরা ভুভুজেলা বিক্রি করেছেন কলকাতা থেকে এসে। টিকিট কাউন্টারের সামনে দুই দলের ভক্তদের আনাগোনা। একদল মোহন সমর্থক ঢাউস পতাকা নিয়ে স্লোগান তুলে স্টেডিয়াম পরিক্রমা করছেন। তাতে লেখা ‘শিলিগুড়ি মেরিনার্স, লিভ অ্যান্ড লাভ মোহনবাগান, আ ট্রু চ্যাম্পিয়ন’। লাল-হলুদের সমর্থকেরাও স্টেডিয়ামের গেটে দল বেঁধে স্লোগান তুলে মেতেছেন। কোন দল জিতবে, তা নিয়ে তুমুল লড়াই চলছে চায়ের দোকানের রবিবাসরীয় আড্ডায়।

দৃশ্য ২: শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ টিকিট কাউন্টারে ভিতরে গিয়ে বারবার খোঁজ নিচ্ছেন, কত টিকিট বিক্রি হল। কাউন্টার খোলার আড়াই ঘণ্টার মধ্যে আড়াই লক্ষ টাকার টিকিট বিক্রি হয়ে যাওয়ায় তিনিও কিছুটা আশার আলো দেখেন।

দৃশ্য ৩: কলকাতা থেকে এ দিন পৌঁছে শিলিগুড়ির বিধান রোডে ঘুরছিলেন জ্যোতির্ময় দে, তিয়াসা দে-রা। প্রিয় দলের লাল-হলুদ জার্সি গায়ে। সবুজমেরুন জার্সি গায়ে আরেকটি দল অর্জুন গঙ্গোপাধ্যায়, কৃষ্ণেন্দু পাল, নিতাই জানারা বেরিয়েছেন খাবার খেতে। তাঁরা ২৭ জনের দল এসেছেন। শহরের অনেক হোটেল, রেস্টুরেন্টে এ দিন দুপুরে তাঁদের ভিড়। তবে তাঁরা যে খেলা দেখতে এসেছেন, তা বুঝতে শহরের লোকের কোনও অসুবিধা হয়নি। কথায় কথায় খেলার প্রসঙ্গ।

বস্তুত, শনিবার ম্যাচের আগের দিন পর্যন্ত টিকিট কাউন্টারের সামনে ভিড়, মাতামাতি না-থাকায় চিন্তায় ছিলেন সংগঠকরা। আর, দুই প্রধানের লড়াইয়ের ৯ ঘণ্টা আগে থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম এবং লাগোয়া এলাকা এ দিন জমজমাট। অর্জুনবাবু, নিতাইবাবু, কুশল দাসদের কথায়, তাঁরা সময় পেলেই বিকেলে কলকাতায় ময়দানে মোহনবাগানের গ্যালারির উপরে বসে আড্ডা মারেন। আজ তাঁদের আড্ডা, মেতে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মোহনবাগান গ্যালারিতে। কলকাতায় মোহনবাগান টেন্ট থেকেই টিকিট কেটেছেন। শিলিগুড়িতে শেষ দুটো ডার্বিও দেখতে এসেছিলেন। অর্জুনবাবু বলেন, ‘‘সব ডার্বিতেই আমরা দল বেঁধে যাই।’’ তাদের কেউ দমদমে থাকেন, কেউ বেহালা, কেউ শ্যামবাজারে, কেউ সাঁতরাগাছির মতো বিভিন্ন এলাকায়। মোহনবাগান ম্যাচ থাকলে তাঁরা এক সঙ্গে। ম্যাচের দিন মাতামাতি হলেও গত ১২ ফেব্রুয়ারির ডার্বি থেকে এবার উৎসাহ কিছুটা কম বলেই মনে করছেন তাঁরা।

বেলেঘাটার বাসিন্দা জ্যোতির্ময়, তাঁর স্ত্রী তিয়াস এবং সঙ্গে দুই পরিচিত তরুন আদি রায়, টুবাই দে। তিয়াস বলেন, ‘‘লাল-হলুদের জন্য গলা ফাটাতেই কলকাতা থেকে এসেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE