ঠিক সময়ে জেলাশাসকের অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে বালুরঘাট স্টেডিয়ামে বসল না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মূর্তি।
অনেক দিন আগে থেকেই সৌরভের মূর্তি বসানোর তোড়জোড় শুরু করেছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা ক্রীড়া সংস্থা। এই সংস্থার সম্পাদক গৌতম গোস্বামী নিজেই সৌরভের বাড়ি গিয়ে মূর্তি তৈরির ও তা বসানোর অনুমতি নিয়ে আসেন। কিন্তু এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কোনও অনুমতি তাঁর কাছে ছিল না। মাত্র দিন দশেক আগে তিনি জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ওই মূর্তি বসানোর অনুমতি চান। জেলাশাসক ওই সংস্থারই সহ সভাপতি। তিনি মৌখিক ভাবে অনুমতি দিয়ে দেন বলে ক্রীড়া সংস্থার দাবি। সেই ভিত্তিতে সৌরভকে আমন্ত্রণও জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু লিখিত কোনও অনুমতি গৌতমবাবুর কাছে ছিল না।
১২ জুলাই জেলাশাসকের দফতর কিন্তু গৌতমবাবুকে জানায়, পদ্ধতি মেনে আবেদন করা হয়নি। সরকারি জমিতে তাই সৌরভের মূর্তি বসানো যাবে না। সেই চিঠি পাওয়ার পরেও গৌতমবাবুরা গড়িমসি করতে থাকেন। তাতে সময় নষ্টই হয়। ইতিমধ্যে সৌরভ নিজেও পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে শনিবার বালুরঘাটে চলে আসেন। এ দিন সকালে জানাজানি হয় যে, মূর্তি বসানো যাবে না। সৌরভের সম্মানে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, তা অবশ্য হয়েছে। অনুষ্ঠান মঞ্চের পাশে অস্থায়ীভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা ৮ ফুট উঁচু ফাইবারের মূর্তিটির আবরণ উন্মোচনও করেন সৌরভ। তারপরে সেখানে ভারতের ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বলে দেন, ‘‘এখানে মূর্তি বসানো না গেলে পাঠিয়ে দেবেন। বেহালায় নিজের বাড়ির সামনে মূর্তিটি বসিয়ে নেব। সুন্দর দেখাবে।’’