দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ জেতার পর নাদাল হাসতে হাসতে বলেছেন, ‘‘সপ্তাহ দুয়েক আগেই অবসর নেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। এখন কিন্তু তেমন ভাবছি না।’’ আরও বলেছেন, ‘‘অসহ্য যন্ত্রণার সেই দিনগুলোতেও ভয় পাইনি। আমি যথেষ্ট খুশি। জানি টেনিসের বাইরেও একটা আনন্দের জীবন রয়েছে। যদিও গত ৩০ বছর আমার জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ টেনিস।’’
টেনিস ছাড়া জীবন কেমন হবে, তা নিয়েও উইম্বলডন শুরুর আগে ভেবেছেন ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক। নাদাল বলেছেন, ‘‘টেনিসের বাইরেও আমি যথেষ্ট খুশি। আমার কোনও সংশয় নেই। টেনিস ছাড়াও অনেক কিছু রয়েছে। তাই খুব একটা চিন্তিত নই। কিন্তু সেই দিনটা (অবসর নেওয়ার) আসলে অনেক কিছুই বদলে যাবে। সেই পরিবর্তনগুলো জীবনকেও প্রভাবিত করবে। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’’
খেলোয়াড়দের অবসর নিয়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের আগ্রহ থাকে সব সময়। বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে খেলেন, তাঁদের অবসর নিয়ে আলোচনাও হয়। এর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু দেখেন না নাদাল। তিনি বলেছেন, ‘‘উদাহরণ হিসাবে অনেকের কথাই বলতে পারি। যাঁদের খেলতে দেখলে ভাল লাগে তাঁদের অন্যতম টাইগার উডস। এখন সব সময় ওঁকে খেলতে দেখা যায় না। আমার জীবনেও হয়তো এমন কিছু হতে পারে। যখন রজার ফেডেরার খেলে না, নোভাক জোকেভিচ খেলে না বা আমি খেলি না, তখনও আমাদের নিয়ে আলোচনা হয়। বাস্কেটবল, ফুটবল খেলোয়াড়দের নিয়েও এরকম হয়। কারণ মানুষের প্রতিদিনের অভ্যাসের মধ্যে চলে আসে এই ধরনের খেলোয়াড়রা। এই মানের খেলোয়াড়রা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার মতো।’’
অবসর নিয়ে নাদাল ভাবছেন না। অবসর নিলেও মনের সঙ্গে লড়াই করতে হবে তাঁকে। পায়ের মারাত্মক চোটই হয়তো তাঁকে বাধ্য করবে। সেই বাস্তবের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি যেন একরকম শুরুই করে দিয়েছেন বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর খেলোয়াড়।
পেশাদার টেনিসজীবনের প্রায় শুরু থেকে যে চোটকে সঙ্গী করে এগিয়েছেন, সেই চোটই এ বার তাঁর পথ আটকাচ্ছে।