জ্যাভেলিনের বর্শা ছেড়ে ক্রিকেট বল হাতে তোলা ও দেশকে বিশ্বকাপের শেষ চারে পৌঁছে দেওয়া — কতটা পথ পেরিয়ে তাঁকে এই জায়গায় আসতে হয়েছে, তা শুধু রাজেশ্বরী গায়কোয়া়ড়ই জানেন।
কারও জানার কথাও নয়। কারণ, কর্নাটকের ঐতিহাসিক শহর বিজাপুরের প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের এই মেয়ের লড়াইয়ের খবর এত দিন কে-ই বা রেখেছে? হাফ ডজন ম্যাচে মাঠের বাইরে বসে থাকার পর শনিবার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েই ভারতকে সেমিফাইনালে তোলার যে কৃতিত্ব দেখালেন রাজেশ্বরী, তার পরে এখন সারা দেশ খোঁজ নিচ্ছে তাঁর সম্পর্কে। শনিবারের আগে তো তিনি ছিলেন নিতান্তই অনামী এক মেয়ে।
দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ স্পিনার একতা বিস্তকে বসিয়ে রাজেশ্বরীকে খেলানোর ফাটকাটা যে এ ভাবে জিতে যাবেন, তা বোধহয় ভাবতেই পারেননি মিতালি রাজ। শনিবার রাজ-রাজেশ্বরীর দাপটে জেতার পরও সাধারণ মেয়েটির মুখে ছিল নিতান্ত সাধারণ কথাই। রাজেশ্বরী বলেন, ‘‘এই ক’দিন জল-তোয়ালে নিয়ে দৌড়োদৌড়ি করে আর যাই হোক ফিটনেসটা কিন্তু রেখেছি। তাই আজ অসুবিধা হয়নি। আর প্র্যাকটিসে তেমন কিছুই বাড়তি করিনি। যা করি তাই করেছি। ম্যাচে ভাল বল করেছি, ফল পেয়েছি। ব্যাস।’’ এর চেয়ে সরল বিবৃতি আর কীই বা হতে পারে?