—ফাইল চিত্র।
যে কোনও পেশাদারই বলবে প্রত্যেক দিন, প্রতিটা চ্যাম্পিয়নশিপের এক-একটা ম্যাচকে প্রথম ধরেই তারা কোর্টে নামে। তবে উইম্বলডনের প্রথম সপ্তাহে কিন্তু একটা কথা প্রমাণ হল। ম্যাচে নামার পর ভুল করা আর কঠিন মুহূর্তে পড়ার ব্যাপারটা সরিয়ে রাখা যায় না। এমনকী বড় তারকা বা সেরা পেশাদারদের পক্ষেও না।
রাফায়েল নাদাল গত বছরও হ্যালে ডাস্টিন ব্রাউনের কাছে হেরেছিল। বৃহস্পতিবার জার্মান খেলোয়াড়ের জয়ের শিকড়টা লুকিয়ে আছে সেখানেই। হ্যালে নাদালকে হারাতে জীবনের সেরা টেনিস খেলতে হয়েছিল ওকে। উইম্বলডনে তো নাদালকে ফের টপকে যেতে আরও ভাল খেলল ও। হ্যালের হারটা নিশ্চয়ই নাদালের মাথায় ছিল, কেন না ব্রাউন যে রকম খেলে তার সামনে ওকে অনেক সময়ই বেশ নড়বড়ে দেখিয়েছে।
জানি নাদালের টেনিস ভবিষ্যৎ নিয়ে ফের কথা হবে। আমি কিন্তু ওকে পুরো ফিটই দেখছি। ওর শুধু একটা এটিপি মাস্টার্স খেতাব চাই। ক্লাসিক একটা লড়াই চাই শীর্ষ র্যাঙ্কিংয়ের কোনও প্লেয়ারের বিরুদ্ধে। তার পরই হয়তো জেতার অভ্যাসটা ফিরে আসবে। ওর কেরিয়ারে এখনও পর্যন্ত দুটো দীর্ঘ ব্রেক আছে। প্রথম ব্রেকের পর ও যে ভাবে ফিরে এসে তিনটে গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছিল সেটা অতিমানবীয়। লম্বা ছুটির পর ফিরে আসাটা সোজা নয়। এ বার নাদাল কিন্তু বোঝাল আর যাই হোক ও-ও মানুষ। তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ অঘটন ইউজিনি বুশার্ডের হার। গত বছরটা যদি কানাডিয়ান প্লেয়ারের জন্য অনেক কিছু দ্রুত পাওয়ার হয়ে থাকে, তা হলে এ বছরটা কিছুই ঠিক না হওয়ার। নভেম্বরে দীর্ঘ দিনের কোচ নিক সাভিয়ানোকে ছেঁটে ফেলায় এখন বুশার্ডের টিম নতুন। ওর মতো এত কম বয়সে ব্যতিক্রমী প্রতিভা দেখে আমার কিন্তু এখনও মনে হয় মেয়েদের টেনিসে ছাপ ফেলার মতো ক্ষমতা ওর আছে।
এ সব ভূমিকম্প বাদ দিলে বাকিটা কিন্তু শান্ত, যদিও উইম্বলডনে গরমের দাপট চলছেই। বার্নার্ড টমিচের বিরুদ্ধে নোভাকের জয়টা দেখে আমি বেশি খুশি। দু’জনেই একই ভাষায় কথা বলে। প্র্যাকটিস পার্টনারও। তাই একে অন্যের খেলাটা জানে। তবে শুক্রবার নোভাক অনবদ্য খেলেছে। সামনে দুরন্ত একটা সপ্তাহ আসার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। যার শুরুটা উইলিয়ামসদের যুদ্ধ দিয়ে। সম্ভবত গ্র্যান্ড স্ল্যামে আমাদের চাক্ষুষ করার মতো শেষ কয়েকটা যুদ্ধের অন্যতম। আরও এক বার দু’বোনের লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে আছি।
(গেমপ্ল্যান)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy