ওয়ান ডে-তে এখন তো কোনও ম্যাচ জিতলেই ধোনির রেকর্ডের মুকুটে নতুন পালক লাগছে! এমসিজিতেও তাই। নিজের একশোতম ওয়ান ডে জেতার পাশাপাশি বিশ্বকাপে টানা এগারো ম্যাচ জিতে ক্রিকেটবিশ্বে কেবল পন্টিংয়ের পিছনে এখন ক্যাপ্টেন কুল। কিন্তু সে সবও যেন চুলোয় ধোনির মননে। সাংবাদিক সম্মেলনে দারুণ মুডে দেখা দেওয়া ভারত অধিনায়ক তাঁর এক ওপেনারকে নিয়ে এ দিন যেন অনর্গল। ধোনি সাফ বলে দিচ্ছেন, ছয় নম্বরে খেলিয়ে খেলিয়ে রোহিতের প্রতিভাকে স্রেফ অপচয় করা হয়েছে।
২০১১-র রোহিত আর ২০১৫-র রোহিতের তুলনা টানতে গিয়ে ধোনি বলছিলেন, “চার বছর আগে ফিরে গেলে কিন্তু রোহিতের ঠিক বাস্তবসম্মত তুলনা হবে না। কারণ ওই সময় রোহিত ওয়ান ডে-তে ওপেন করতই না। কিন্তু এখন ও এই স্লটে দলের সম্পদ।”
এর পরই ধোনি বোমা ফাটালেন, “আমাদের মনে হয়েছিল রোহিতের প্রতিভার অপচয়ই হচ্ছে। কেননা ওই সময় আমাদের টপ অর্ডার একেবারে বাঁধাধরা হওয়ায় ছয় নম্বরে রোহিত সে ভাবে ব্যাটিংয়ের সুযোগই পাচ্ছিল না। ওর প্রথম চল্লিশটা ম্যাচের দিকে তাকালে আপনাদের মনে হতে পারে ও কী আর এমন করেছে! কিন্তু ওই সব ম্যাচের অনেকগুলোয় রোহিত ইনিংসের শেষ চার-পাঁচ ওভার বাকি থাকতে নামার সুযোগ পেয়েছে। ওই সময় বেশি কিছু করে দেখানো মুশকিল। ভারতে হয় কী অনেক সময় আপনি ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলেন না। পেলেন তো মাত্র শেষ দশ ওভার পেলেন। কিন্তু সেটাকেই আপনার সুযোগ বলে দেখা হয়। সে জন্য ওই সময়ই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, রোহিতকে ওপেনিংয়ে চেষ্টা করা হবে। শ্রীলঙ্কায় টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রোহিত ওপেন করা শুরু করেছিল। তখনই আমরা ভেবেছিলাম, এটা আমাদের দলের পক্ষে ভাল হবে। যেহেতু রোহিত ন্যাচারাল স্ট্রোক প্লেয়ার। ভাল কাট আর পুল মারে। এ রকম ব্যাটসম্যান সীমিত ওভারের ফর্ম্যাটে টপ অর্ডারে থাকলে ইনিংসের গতিটাও ভাল থাকে।”
রোহিতের সেঞ্চুরি ছাড়াও তাঁর আর রায়নার চতুর্থ উইকেটে সেঞ্চুরি পার্টনারশিপের ধরনটা ধোনিকে নাকি বেজায় তৃপ্তি দিয়েছে আজ। ভারত অধিনায়কের ভাবনায়, ম্যাচে নিজেদের দলের একটা গড়বড়ে পরিস্থিতির অনুকূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে ওই লম্বা পার্টনারশিপটাই। “বাংলাদেশি বোলাররা যখনই একটু শর্ট বোলিং শুরু করল আমাদের ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইক রোটেট করাটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আমি মনে করি ওই পরিস্থিতিতে রোহিত আর রায়না সত্যিই দারুণ ব্যাটিং করেছে। সবচেয়ে বড় কথা স্ট্রাইক রেট নেমে যাওয়া সত্ত্ব্ও রোহিত মাথা ঠান্ডা রেখে ব্যাটিং করে গিয়েছে। ও জানত যত বেশি ওভার ক্রিজে থাকবে, ততই পরের দিকে রান করার সুযোগ পাবে এবং ভাল গতিতেই সেটা পাবে।”
তা সত্ত্বেও ভারত যখন ২৮ ওভারে ১১৫-৩, তখন নাকি ধোনি ২৬০ রানের ইনিংসের আশা করেছিলেন। “ওই সময় আমার নিজের মনে হয়েছিল আমাদের ২৬০ রানে পৌঁছনোর টার্গেট নিয়ে ব্যাটিং করা উচিত এখন। আর একবার তার কাছাকাছি এসে গেলে তখন যদি হাতে কয়েকটা ওভার থাকে, যত বেশি সম্ভব চালাব। যাতে ২৬০টাকে ২৭৫ করা যায়। তার পর আরও একটা ভাল ওভার গেল আমাদের। তখন আমরা ঠিক করলাম, ওকে, আরও দশ রান তোলার চেষ্টা করে ২৯০-এ পৌঁছনো যাক...আর ওই ভাবেই ৩০২ হল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy