একজন মুখ খুললেন চিরাচরিত তাচ্ছিল্য নিয়ে। আর অন্য জন প্রতিক্রিয়া দিতেই নারাজ।
মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেন বেঙ্গালুরুতে সুভাষ ভৌমিক এবং সুব্রত ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করার চব্বিশ ঘণ্টা পরে এমনটাই মনোভাব মোহন-ইস্টকে জাতীয় লিগ দেওয়া কলকাতার দুই হাইপ্রোফাইল বঙ্গসন্তান কোচের।
‘সুব্রত-সুভাষ আমার টিমকে চাপে ফেলতে চাইছে’— আই লিগ খেতাবের দোরগোড়ায় দাঁড়ানো বাগান কোচ সঞ্জয় সেনের আগের দিনের বিস্ফোরক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সুব্রত বলে দিলেন, ‘‘আবেগের বশে সঞ্জয় এ রকম বলে ফেলেছে।’’ আর নিউ আলিপুরের বাড়িতে বসে সুভাষের মন্তব্য, ‘‘নো কমেন্টস। কে কী বলছেন তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার রুচি কোনওকালে ছিল না। আজও নেই।’’
দু’জনেই দুই প্রধানের কোচ হিসেবে জোড়া জাতীয় লিগ জয়ী। সুভাষ আবার রাজ্যের বাইরে গিয়ে আই লিগ জিতিয়েছেন গোয়ার চার্চিল ব্রাদার্সকে। চলতি মরসুমেও বাগানের সাফল্যের সলতে পাকানো সুভাষের হাতেই। দুই অভিজ্ঞ কোচই ইতিমধ্যে বলেছিলেন— মোহনবাগান আই লিগ না পেলে তাঁরা অবাক হবেন।
যাঁদের বিরুদ্ধে সঞ্জয়ের অভিযোগ, ওদের দু’জনের কেউ একটা শুভেচ্ছা জানিয়েছে মোহনবাগানকে?’’ যার পাল্টা সুব্রত বললেন, ‘‘সঞ্জয় এই সময় এত কথা না বললেই ভাল করত। বরং এ সব বলে চাপটা ও কিন্তু অলক্ষ্যে নিজের দিকেই টেনে আনছে।’’ সঙ্গে সহজাত তাচ্ছিল্যে বাগানের বাবলু এও বললেন, ‘‘আমি, ভৌমিক কোচ আর ফুটবলার দুই ভূমিকাতেই দেশের প্রায় সব ট্রফি জিতেছি। সঞ্জয়ের সেই অভি়জ্ঞতা কোথায়? অভি়জ্ঞ কোচরা এই সময় নিজের টিম আর প্রতিপক্ষ ছাড়া অন্য কিছু ভাববে না। আসলে ও নতুন বড় দলের কোচিং করাচ্ছে তো? তাই এত বড় ম্যাচের সময় মিডিয়ার সঙ্গে কী কথা বলতে হবে সেটাই জানে না।’’
এখানেই থামেননি সুব্রত। যেন সুভাষের হয়েও বলে দেন, ‘‘আমি বা ভৌমিক দু’জনেই সঞ্জয়ের টিমকে সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন ধরে নিয়ে প্রশংসা করেছিলাম আই লিগ শুরুর আগেই। তখন ওর টিমের আত্মতুষ্টি হয়ে পড়ার আশঙ্কা কোত্থেকে আসছে? আর ও আগে চ্যাম্পিয়ন হোক। তার পরে তো শুভেচ্ছা জানাব। চাপ সামলাতে না পেরেই বোধহয় এত কথা বলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy