Advertisement
০৪ মে ২০২৪

পার্‌থের মতো পিচ আরও চান সচিন, স্টার্করা

গত বারের মেলবোর্ন পিচের উদাহরণ দিয়ে স্টার্ক বলেছেন, ‘‘গত বারের মেলবোর্ন পিচ একেবারে নিষ্প্রাণ ছিল। তাই কিছুই সে রকম হয়নি। লোকে সব সময় ব্যাট এবং বলের লড়াই দেখতে চায়।

আশা: মেলবোর্নের পিচেও ঘাস, বাউন্স চান স্টার্ক। ফাইল চিত্র

আশা: মেলবোর্নের পিচেও ঘাস, বাউন্স চান স্টার্ক। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:১১
Share: Save:

পার্‌থ টেস্ট শেষ হয়ে গেলেও সেখানকার পিচ নিয়ে বিতর্ক থামছে না। বিতর্কের সূত্রপাত, আইসিসি-র রেটিংয়ে পার্‌থের পিচকে ‘অ্যাভারেজ’ বলা নিয়ে। এই রেটিংয়ের অর্থ হল, আইসিসি-র কাছে কোনও মতে পাশ নম্বর পেয়েছে পার্‌থের বাইশ গজ। কিন্তু অনেকেই আইসিসি-র এই রেটিংয়ের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না। এই তালিকায় যেমন আছেন ভারতের সচিন তেন্ডুলকর, তেমন রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্কও। দু’জনেই মনে করেন, পার্‌থের বাইশ গজ যথেষ্ট ভাল ছিল।

সচিন রবিবার টুইট করে নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘ক্রিকেটে পিচের খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে। টেস্ট ক্রিকেটকে উত্তেজক করতে আর টেস্ট নিয়ে আগ্রহ তৈরি করতে আমাদের পার্‌থের মতো পিচ আরও দরকার। পার্‌থের পিচে এক জন ব্যাটসম্যান বা বোলারের সত্যিকারের দক্ষতার পরীক্ষা হয়েছে। কোনও ভাবেই পার্‌থের পিচকে অ্যাভারেজ বলা চলে না।’’

প্রায় সচিনের সুরে সুর মিলিয়ে স্টার্ক বলেছেন, ‘‘নিছক এক জন ক্রিকেট ভক্ত হিসেবে বলছি, পার্‌থের পিচকে গড়পরতা বলার কোনও জায়গা নেই। আমার মনে হয়েছে, আগের টেস্টে আমরা বল এবং ব্যাটের মধ্যে দারুণ একটা লড়াই দেখেছি। এ সব দেখার জন্যই তো লোকে মাঠে আসে।’’ দু’দলের ব্যাটসম্যানরাই ওই পিচে কয়েক বার আঘাত পেয়েছেন। কিন্তু স্টার্ক তার জন্য পিচের কোনও দোষ দেখছেন না। তিনি মনে করেন, ও সব আগ্রাসী ক্রিকেটরই অঙ্গ।

গত বারের মেলবোর্ন পিচের উদাহরণ দিয়ে স্টার্ক বলেছেন, ‘‘গত বারের মেলবোর্ন পিচ একেবারে নিষ্প্রাণ ছিল। তাই কিছুই সে রকম হয়নি। লোকে সব সময় ব্যাট এবং বলের লড়াই দেখতে চায়। পার্‌থে যেটা হয়েছে। সে জন্যই ওই পিচটা আমার দারুণ মনে হয়েছে।’’

অ্যাডিলেড টেস্টের পরে স্টার্কের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন অনেক প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারই। বলা হচ্ছিল, স্টার্ককে দেখে খুব নিস্তেজ লাগছে। কিন্তু পার্‌থে রীতিমতো আগুনে মেজাজে বল করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁ হাতি পেসার। স্টার্ক বলেছেন, ‘‘আমি শুধু পার্‌থেই নয়, অ্যাডিলেডেও বল সুইং করিয়েছি। এই নিয়ে আমি আমার বোলিং কোচ ডেভিড সাকেরের সঙ্গে কাজ করছি। সব কিছুই ঠিকঠাক যাচ্ছে। আশা করব, মেলবোর্নেও বল সুইং করাতে পারব।’’

২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলা মেলবোর্ন টেস্ট নিয়ে স্টার্ক বলেছেন, ‘‘আশা করব, গত বারের থেকে এ বারের মেলবোর্নের পিচে বেশি ঘাস থাকবে। আমাকে বলা হয়েছে, শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে যে রকম পিচ ছিল, সে রকমই পিচ পাওয়া যাবে। সে রকম হলে ভালই হয়। অন্তত হত বারের মতো পিচ না হলেই হল।’’

অস্ট্রেলিয়ার রণকৌশলও অনেকটা পরিষ্কার হচ্ছে স্টার্কের কথায়। শুরুতেই ভারতের খারাপ ফর্মে থাকা ওপেনারদের তুলে নাও। ‘‘আমাদের ওটাই গেমপ্ল্যান। আমরা শুরুতেই দু’তিনটে উইকেট তুলে নিতে চাই। তা হলে ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নতুন বলের মুখে ফেলতে পারব। দেখা যাক মেলবোর্নে ভারত ওদের টপ অর্ডার ব্যাটিংয়ে কোনও বদল করে কি না। তবে বদল করলেও আমাদের গেমপ্ল্যান একই থাকবে। শুরুতেই ভারতের উইকেট নিতে ঝাঁপাও,’’ হুঙ্কার দিচ্ছেন স্টার্ক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE