Advertisement
১১ মে ২০২৪

স্বার্থ-সংঘাত প্রশ্ন ওঠায় ক্ষুব্ধ সচিন, তোপ বোর্ডকেই

তাঁর বিরুদ্ধে স্বার্থ-সংঘাতের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। তার পরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অম্বাডসমান সচিন তেন্ডুলকরকে লিখিত বক্তব্য জানাতে বলেছিলেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ যে ক্ষুব্ধ তা তাঁর জবাবেই স্পষ্ট।

অপ্রসন্ন: মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পদ নিয়ে সোজাসাপ্টা সচিন। ফাইল চিত্র

অপ্রসন্ন: মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পদ নিয়ে সোজাসাপ্টা সচিন। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৯ ০১:৩৬
Share: Save:

তাঁর বিরুদ্ধে স্বার্থ-সংঘাতের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। তার পরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অম্বাডসমান সচিন তেন্ডুলকরকে লিখিত বক্তব্য জানাতে বলেছিলেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ যে ক্ষুব্ধ তা তাঁর জবাবেই স্পষ্ট।

অম্বাডসমানের চিঠির উত্তরে তেরোটি বিষয় উল্লেখ করে সচিন কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ট্র্যাক্টেবল কনফ্লিক্ট’ বলে তাঁর ক্ষেত্রে যে অভিযোগ করা হয়েছিল, তা ঠিক নয়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অম্বাডসমান ও নীতি আধিকারিক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ডি কে জৈনকে সচিন একই সঙ্গে আবেদন জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসকদের কমিটির প্রধান বিনোদ রাই ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সিইও রাহুল জোহরির বক্তব্য জানতে চাওয়া হোক।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সংবিধানে ৩৮ এর ৩এ ধারা অনুযায়ী, ‘ট্র্যাক্টেবল কনফ্লিক্ট’ হল সেই ধরনের স্বার্থ-সংঘাত যা খুব সহজেই সমাধান করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে যাঁর নামে অভিযোগ, সেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সব তথ্য জানিয়ে রাখতে হবে। জানা গিয়েছে, প্রশাসকদের কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সিইও রাহুল জোহরি যে চিঠি লিখেছিলেন, তাতে আরও অসন্তুষ্ট সচিন।

যে ১৩ টি বিষয় উল্লেখ করে সচিন জবাব দিয়েছেন অম্বাডসমানকে তার মধ্যে ১০, ১১ ও ১২ নম্বর বিষয় সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে সচিন জানিয়েছেন, ‘‘বোর্ডই আমাকে ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটিতে রেখেছিল। এখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফেই স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। ২০১৩ সালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের আইকনের পদ গ্রহণ করেছিলাম। আর ২০১৫ সালে বোর্ড ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটিতে রাখে। কেন? তা বোঝা যাচ্ছে না।’’ লক্ষ্মণের মতো সচিনও জানিয়েছেন, বিসিসিআই সিইও বা প্রশাসকদের কমিটির তরফে কখনও জানানো হয়নি ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের কী কী বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। একই সঙ্গে সচিন এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলের ক্রিকেটার বাছাই পদ্ধতি থেকে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। কারণ, তাঁর ছেলে অর্জুন সেই দলে ঢোকার প্রতিযোগিতাতে ছিল।

সচিন লিখেছেন, ‘‘দু’দশকের বেশি ভারতীয় ক্রিকেটের সেবা করেছি। ভারতীয় ক্রিকেটের উৎকর্ষ আরও বাড়াতেই ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটিতে যুক্ত হয়েছিলাম। কিন্তু তার পরে স্বার্থ-সংঘাতের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠা ও বিসিসিআইয়ের সাড়া দেওয়ার পদ্ধতি দুর্ভাগ্যজনক। গোটা ঘটনার জন্য দায়ী বিসিসিআই। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের আইকনের পদে রয়েছি জেনেও কেন সাম্মানিক ভাবে ক্রিকেট উপদেষ্টা পদে আমাকে রেখেছিল, সেটা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডই ব্যাখ্যা করুক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE