কিংবদন্তি: এ বার কোচের ভূমিকাতেও সচিন। ফাইল চিত্র
ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পাঁচ বছর পরে সচিন তেন্ডুলকর তাঁর নিজের অ্যাকাডেমি খুলেছেন সম্প্রতি। তবে এই অ্যাকাডেমিকে তথাকথিত ক্রিকেট খেলা দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়াই তাঁর লক্ষ্য। আর সেখানে প্রশিক্ষণ পাবে ছেলেদের সঙ্গে মেয়েরাও। শিক্ষার্থীদের বয়স হবে ৯ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। এই অ্যাকাডেমি অবশ্য সচিন একা করছেন না। তাঁর সঙ্গে রয়েছে ইংল্যান্ডের কাউন্টি দল মিডলসেক্সও। খেলা শেখানো হবে মিডলসেক্স ও মুম্বই, দুই জায়গাতেই।
সচিন বলছেন, ‘‘এত দিন ধরে অনেকেই আমার কাছে এসেছে। কিন্তু আমি ঠিক বুঝতে পারিনি ওরা কী চায়। আমার মনে হয়েছে, যদি উঠতি ক্রিকেটারদের জন্য কিছু করতেই হয়, তা হলে যাদের সঙ্গে কাজ করব তাদের সঙ্গে আমার ভাবনাচিন্তা এক হওয়া দরকার। মিডলসেক্সের সঙ্গে যেটা হয়েছে।’’
সচিনের অ্যাকাডেমির (তেন্ডুলকর মিডলসেক্স অ্যাকাডেমি) প্রথম শিবির হবে নর্থউডের মার্চেন্ট টেলর্স স্কুলে ৬ থেকে ৯ অগস্ট। পরের শিবিরটা হওয়ার কথা নভেম্বরে মুম্বইয়ে। সচিন বলেছেন, ‘‘আমাদের শিবির ভারত, ইংল্যান্ড ও বিশ্বের অন্য নানা প্রান্তে করা হবে। শুধু ক্রিকেট জনপ্রিয় এমন দেশগুলিতেই শিবির করতে হবে এমন কথা নেই। অন্য এমন অনেক দেশ যেখানে ক্রিকেট নিয়ে উৎসাহ আছে, কিন্তু পরিকাঠামো নেই বলে কিছু করা যাচ্ছে না, সেখানেও হতে পারে এই অ্যাকাডেমি। আমাদের লক্ষ্য ক্রিকেটকে যত বেশি সম্ভব
ছড়িয়ে দেওয়া।’’
সচিন জানিয়েছেন, অ্যাকাডেমির রূপরেখা তৈরি করতে তিনি গত দশ মাস ধরে মিডলসেক্সের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এসেছেন। অন্য আরও প্রশিক্ষকদের সঙ্গে সচিন নিজেও এখানে কোচিং করাবেন। বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার জানিয়েছেন, শুধু ক্রিকেট নয় আরও নানা খেলার প্রসারের জন্যও তিনি কাজ করতে চান। ‘‘আমাদের ইচ্ছে, বিশ্বের নানা জায়গায় ক্লাব তৈরি করা। যেখানে টেনিস, ব্যাডমিন্টন কোর্ট থাকবে। স্কোয়াশ, টেবিল টেনিসও খেলা হবে। চাই সুইমিং পুল এবং বিলিয়ার্ডস খেলার ব্যবস্থা। তাই আমাদের অ্যাকাডেমির নামের সঙ্গে ক্রিকেট শব্দটা রাখা হয়নি। এটাকে বলা যেতে পারে, খেলাধুলোর গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্র। এ ভাবে খেলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy