মন্তেশ্বরের স্কুলে চলছে ফুটবল প্রশিক্ষণ। —নিজস্ব চিত্র।
প্রতিভার অভাব নেই। তবে খামতি ছিল প্রশিক্ষণে। সেই ঘাটতি মিটিয়ে এলাকা থেকে ভাল ফুটবলার গড়তে এগিয়ে এল মন্তেশ্বরের রাজেন্দ্র মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউশন। আপাতত ৪০ জন ছাত্রকে নিয়ে ফুটবল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, বহু ছেলে অভাবে খেলার সরঞ্জামটুকুও কিনতে পারে না। তাদের যতটা সম্ভব সাহায্যের চেষ্টা করা হবে।
মন্তেশ্বরের এই স্কুলে আশপাশের খাঁপুর, বাঘাসন, ভোজপুর, মালডাঙা, শুশুনা, বেলেন্ডা, হোসেনপুর, কালুইয়ের মতো বিভিন্ন গ্রাম থেকে ছাত্রছাত্রীরা আসে। অনেকেরই ফুটবলের প্রতি ঝোঁক আছে। প্রতিভাও আছে। কিন্তু ঠিকঠাক প্রশিক্ষণ না পাওয়ায় এগোতে পারে না তারা।
গ্রাম থেকে ৩০ কিলোমিটার দুরে বর্ধমান সদর এবং ৫০ কিলোমিটার দুরে কালনায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকলেও অনেকেরই নিয়মিত সেখানে যাওয়ার সুযোগ-সামর্থ্য থাকে না। এই ভাবনা থেকেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল পরিচালন সমিতি।
অক্টোবরের গোড়ায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির উদ্বোধন হয়। তারপর থেকে বুধ, শুক্র, রবি স্কুলের মাঠেই চলছে প্রশিক্ষণ। আপাতত পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ৪০ জন ছাত্রকে সকালে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন কলকাতার প্রথম ডিভিশনে চুটিয়ে খেলা স্কুলের শিক্ষাকর্মী সুনুরাম গুরুং এবং ক্রীড়া শিক্ষক পরিমলকুমার সরকার। ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে সায়ন বাগ, ইন্দ্রজিৎ সাহা, অভ্রজিৎ হাজরা, মানব হাজরা, বানু হাজরার মতো ছাত্রেরা।
সুনুরামবাবুর কথায়, ‘‘এলাকায় বহু ভাল খেলোয়াড় রয়েছে। শুধু কয়লা খনি থেকে হিরে খোঁজার মতো চিনে নিতে হবে।’’ তাঁর দাবি, শারীরিক সক্ষমতা, স্কিল বাড়ানোর পাশাপাশি, খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়ানোর ব্যাপারেও জোর দেওয়া হচ্ছে। স্কুলের দাবি, শীঘ্রই দল গড়ে জেলার নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় খেলানো হবে।
আইএসএলে কেরলের হয়ে খেলা গোলরক্ষক সন্দীপ নন্দীর বাড়ি মন্তেশ্বরের বেলেন্ডা গ্রামে। এলাকার সুরজবাহাদুর গুরুং এবং বিজয় বাহাদুর গুরুং নামে দুই খেলোয়াড়ও কলকাতার প্রথম ডিভিশনে খেলছেন। প্রধান শিক্ষক শুভাশিস পাত্র বলেন, ‘‘স্কুল তহবিলে খেলার জন্য বেশি বরাদ্দ থাকে না। আমরা সীমিত সাধ্যেও চেষ্টা চালিয়ে যাব।’’ তাঁর আশা, ‘‘কে জানে, আরো কত সন্দীপ নন্দী বেরোবে এই পডুয়াদের মধ্যে থেকে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy