অস্ত্র: ভারতীয় বোলিংয়ের ভরসা এখন শামি। —ফাইল চিত্র।
এটা ভাবতে সত্যিই অবাক লাগে যে, ক্রিকেট এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে পাকিস্তান টিমকে ভারতের পেস আক্রমণ নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, রীতিমতো অস্বস্তিতে থাকতে হচ্ছে। কে ভাবতে পেরেছিল, ইমরান-সরফরাজ-ওয়াসিম-ওয়াকারদের দেশে এমনটা হবে? এ তো যেন ঠাকুমার ফ্রক পরে কচিকাঁচাদের রান্নার ক্লাসে ভর্তি হওয়ার মতোই অভাবনীয় এক ছবি।
এই ছবিটা ভেসে ওঠার পিছনে রয়েছে ভারতের চার পেসার। এটা মানতেই হবে, ভুবি, শামি, যাদব, বুমরাদের এখন বিশ্বের যে কোনও দল লুফে নেবে। চার জনের কারও হয়তো বিশাল গতি নেই, কিন্তু ওরা সবাই মিলে পুরো একটা প্যাকেজ। একটা ‘টুল বক্স’।
এই বাক্সয় হাতুড়ি আছে, রেঞ্চ আছে, স্কু ড্রাইভার আছে, প্লাস আছে। মানে সব মিলিয়ে একটা পুরোদস্তুর ‘টুল বক্স’। যখন যেটা প্রয়োজন বার করে আপনি কাজে লাগিয়ে নিন। পাকিস্তান ব্যাটিং ইদানীং মাঝে মাঝেই ভেঙে পড়েছে। ওদের রান তোলার গতিও খুব খারাপ। তাই পাকিস্তানের কিন্তু চিন্তার শেষ থাকবে না। বিশেষ করে ওদের দুঃস্বপ্ন যদি সত্যি হয়ে যায়, তা হলে কিন্তু মাঠে উগ্র দর্শকদের সামলানোর কঠিন চ্যালেঞ্জটাও থাকবে সরফরাজদের সামনে।
আরও পড়ুন: শুরুতেই শেষ ক্রিস ওকসের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অভিযান
এখানেই শেষ নয়। ভারতের হার্দিক পাণ্ড্য আছে। যে এখন একটা লড়াকু মোরগের মতো ডেকে চলেছে। যাতে টিম ম্যানেজমেন্টের নজর সব সময় ওর ওপরে থাকে। হার্দিক, অশ্বিন জাডেজা মিলে লোয়ার অর্ডার ব্যাটিং যথেষ্ট শক্তিশালী করেছে। এই তিন জন শুধু ভাল ব্যাটই করে না, দ্রুত রানটাও তুলতে পারে। এই তিন জনের জন্য ভারতীয় টিম বাড়তি বোলার খেলাতে পারবে। কারণ এর ফলে এক জন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান কম খেলানোর কথাও ভাবতে পারছে বিরাট কোহালিরা। ভুলে যাবেন না, এর পাশাপাশি যুবরাজ আর রোহিতের সাফল্য নিয়ে কিন্তু অনেকেই প্রার্থনা শুরু করে দিয়েছেন। এ ছাড়া সেই বুড়ো, ধূর্ত শৃগাল— এম এস ধোনি তো আছেই। এই মরসুমটা ও মনে হয় নিজের মৃগয়াভূমি বানাতে চাইবে। বিরাট কোহালিও চাইবে ইতিহাসের বইগুলো নতুন করে লিখতে।
তা বলে এটা বলছি না যে পাকিস্তানের অস্ত্রভাণ্ডারে বড় অস্ত্র নেই। অবশ্যই আছে। যথেষ্ট আছে। বিশেষ করে এজবাস্টনের আকাশ যদি একটু মেঘলা থাকে, তা হলে তো কথাই নেই। আমির, জুনেইদ, ওয়াহাব-রা কিন্তু পেসের সঙ্গে বল সুইং করাতে পারে। এ বারে দেখা যাচ্ছে, তরুণ লেগস্পিনাররা বেশ ভাল করছে। আইপিএলে যেমন রশিদ খান-কে দেখলাম। তাই পাকিস্তানের তরুণ লেগস্পিনার শাদাব খানকে হাল্কা ভাবে নিলে চলবে না।
রবিবার, ৪ জুন, দু’টো দেশ থমকে যাবে। এ তো শুধু ব্যাট আর বলের লড়াই নয়। এই বাইশ গজের লড়াই তার চেয়েও বেশি কিছু। কুসংস্কার এবং প্রার্থনা— দু’টোই দেখা যাবে বেশি মাত্রায়। ম্যাচের পরেও কিন্তু এই রেশ শেষ হয়ে যাবে না। তৈরি থাকুন, রবিবার এসে গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy