আর তার আধ ঘণ্টা পরেই কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী বলে দিলেন, ‘‘সনি সবে এসেছে। ওকে নিজের ছন্দে ফিরতে আরও সময় দিতে হবে। কোজিকোড়ে তাই ওকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। কাল থেকে ফিজিওর কাছে ও অনুশীলন করবে।’’ কিন্তু কবে ম্যাচে নামতে পারবেন সনি? মোহনবাগান কোচ বললেন, ‘‘সব রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বলতে পারব।’’ তবে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, ১০ নভেম্বরের (ইন্ডিয়ান অ্যারোজের সঙ্গে খেলা) আগে সনিকে আই লিগের ম্যাচে বল পায়ে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। সবুজ-মেরুন কোচ বলেও দিলেন, ‘‘সনিকে ম্যাচ ফিট করতে কয়েকটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব ঠিক করেছি।’’ সনি অবশ্য এ দিন কোনও কথা বলেননি। তাঁকে কার্যত সমর্থকদের ঘেরাটোপেই
বন্দি থাকতে হল।
অস্ত্রোপচার করে আট মাস রি হ্যাবে থাকার পর সনিকে হঠাৎ আই লিগের মুখে শহরে আনায় নির্বাচনে কিছু কর্তার সুবিধা হলেও, দলের কতটা সুবিধা হবে, তা নিয়ে অবশ্য নানা প্রশ্ন ঘুরছে ক্লাবের অন্দরে। মোহনবাগান কোচ যেখানে এক জন ডিফেন্ডার চাইছিলেন, সেখানে সনির মতো আধা-ফিট মিডিও এনে দলের ভারসাম্য নষ্ট হল কি না তা নিয়েও অবশ্য এই মূহূর্তে মুখ খুলতে চাইছেন না কেউই। রবিবারের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সবাই সতর্ক।
কোঝিকোড়ে ২৭ অক্টোবর আই লিগের প্রথম ম্যাচ খেলতে আজ বুধবার শহর ছা়ড়ছে মোহনবাগান দু’জন বিদেশিকে ছাড়াই। সনি তো বটেই, চোটে কাবু ইউতা কিনওয়াকিকেও দলে রাখা হয়নি। অর্থাৎ চার বিদেশি নিয়েই উদ্বোধনী ম্যাচে নামবেন দিপান্দা ডিকারা। দলের কোচ অবশ্য বলে দিলেন, ‘‘যেটুকু জেনেছি তাতে গোকুলম ভাল দল। তবে আমরাও তৈরি।’’ দলকে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন করার পরে আই লিগে প্রথম বার একক ভাবে কোচিং করানোর দায়িত্ব পেয়েছেন শঙ্করলাল। বলছিলেন, ‘‘গোকুলমের চার বিদেশিই খুব ভাল। রাইট ব্যাক ছেলেটা তো খুব ভাল খেলছে। প্রথম ম্যাচটা সব সময়ই কঠিন। শুরুটা ভাল করতে পারলে দলের আত্মবিশ্বাস ফিরে আসবে।’’