Advertisement
E-Paper

বিশ্বকাপের জন্য সব স্কুলে ফুটবল

ফুটবল দেওয়ার জন্য রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতরের উপ-অধিকর্তা সুকান্ত বসু জেলা স্কুল পরিদর্শকদের (মাধ্যমিক) বিধানসভা-ভিত্তিক স্কুল ও মাদ্রাসার তালিকা করে পাঠাতে বলেছেন।

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৭ ০৫:০৬
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

দোড়গোড়ায় অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল বিশ্বকাপ। মুম্বইয়ে উদ্বোধন, ফাইনাল যুবভারতীতে।

এই সুবাদে ছোটদের মধ্যে ফুটবল জনপ্রিয় করে তুলতে প্রতিটি স্কুলে পাঁচটি করে ফুটবল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। করা হচ্ছে সেমিনারও। কলকাতা, শিলিগুড়ি ও মেদিনীপুরে ইতিমধ্যে সেমিনার হয়ে গিয়েছে। আগামী ১১ অগস্ট বর্ধমানে সেমিনার হবে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ বীরভূম এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার বাছাই করা স্কুলকে সেখানে ডাকা হয়েছে। ফিফার বেশ কয়েক জন কর্মকর্তাও উপস্থিত থাকবেন।

ফুটবলকে জনপ্রিয় করতে ফিফা লোকাল কমিটি ও ভারতের ক্রীড়া মন্ত্রকের তরফে শুরু হয়েছে ‘মিশন ১১ মিলিয়ন’, যার লক্ষ্য দেশের এক কোটি ১০ লক্ষ পড়ুয়াকে ফুটবলের প্রতি আকৃষ্ট করা। এ রাজ্যে স্কুলশিক্ষা দফতরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন জেলায় পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের নিয়ে সেমিনার করা হচ্ছে।

ফুটবল দেওয়ার জন্য রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতরের উপ-অধিকর্তা সুকান্ত বসু জেলা স্কুল পরিদর্শকদের (মাধ্যমিক) বিধানসভা-ভিত্তিক স্কুল ও মাদ্রাসার তালিকা করে পাঠাতে বলেছেন।

বিশ্বকাপের সূচি অনুযায়ী, আগামী ৬ অক্টোবর মুম্বইয়ে সূচনা। কলকাতা পাচ্ছে দশটি খেলা। ২৮ অক্টোবর ফাইনালও যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে।

ফিফা লোকাল কমিটি (অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল)-এর কোঅর্ডিনেটর অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই সব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজ্যের ৭৫ জন পড়ুয়াকে বেছে নেওয়া হবে, যারা বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাসকট বহন করার কিংবা ‘বল বয়’ হওয়ার সুযোগ পেতে পারে।”

ফলে অনেক স্কুলেই ইতিমধ্যে ফুটবল-জ্বর বইতে শুরু করেছে। আগামী শুক্রবার বর্ধমানে বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাইস্কুল অডিটোরিয়ামে সেমিনারে যাওয়া নিয়েও উৎসাহের শেষ নেই। মুর্শিদাবাদের জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পূরবী বিশ্বাস দে এবং নদিয়ার জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) মিতালি দত্ত জানান, তাঁরা ৩৫টি স্কুলকে সেমিনারে পাঠাচ্ছেন। সেগুলির প্রধান শিক্ষক ও ক্রীড়া শিক্ষকেরা যাবেন।

বর্ধমানের জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) খগেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “ওই স্কুলগুলিকে সে দিন দু’টি করে ফুটবল দেওয়া হবে।”

পাঁচটি করে ফুটবল পাওয়ার কথা শুনে চাঙ্গা অনেক স্কুলই। মুর্শিদাবাদে সাগরপাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ইয়াসিন মন্ডল বলেন, “তিন বছর আগে শেষ বার সরকারের থেকে ১০ হাজার টাকা পেয়েছিলাম খেলার সামগ্রী কেনার জন্য।”

নদিয়া ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল ফর স্কুল গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস-এর সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, “প্রতি বছর বাছাই করা কিছু স্কুলকে টাকা দেওয়া হয়। সব স্কুলে ফুটবল কখনও দেওয়া হয়নি।”

football West Bengal football seminars কৃষ্ণনগর Krishnanagar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy