ভাল সময় অনেককেই পাশে পাওয়া যায়, কিন্তু খারাপ সময়ে কেউ থাকে না। ক্রিকেট মাঠের ওঠা-পড়ার মধ্যে দিয়ে এটাই উপলব্ধি করেছেন স্টিভ ওয়। আর সে জন্যই চাপে থাকা টিম পেনের অস্ট্রেলিয়ার পাশে থাকছেন তিনি।
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইটে স্টিভ বলেছেন, ‘‘এটা খুব কঠিন সময়। আমিও নিজের ১৩ নম্বর টেস্টের আগে জয়ের স্বাদ পাইনি। আপনি সব রকম চেষ্টা করে চলেছেন, কিন্তু কিছুতেই ফল পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিটা সত্যিই মারাত্মক। ওই সময় নানা লোকে নানা কথা বলবে। কিন্তু এই অবস্থায় দলের পাশে থাকা, ওদের ইতিবাচক বার্তা দেওয়াটা খুব জরুরি। তাই আমি পেন আর জাস্টিন ল্যাঙ্গারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি।’’
পেনদের কী বার্তা দিয়েছেন? স্টিভ বলেছেন, ‘‘আমি জানি, এখন ওদের পাশে প্রায় কেউ নেই। হারতে থাকলে যে এ রকম হয়, সেটা নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি। তাই আমি ওদের সব সময় উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি। ওদের বলেছি, ‘দ্যাখো, তোমাদের এই কঠিন সময়টা থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে। লড়াই করে যাও, পরিশ্রম করে যাও। ঠিক ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।’ দলের পাশে থাকাটা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’
কী ভাবে এই ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে? অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বজয়ী অধিনায়ক মনে করেন, প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের এক জনকে অন্তত সেঞ্চুরি করতেই হবে। স্টিভের মন্তব্য, ‘‘এই টেস্টে আমি অন্তত এক জন বা দু’জন অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে সেঞ্চুরি আশা করছি। তা হলেই দেখবেন, দলের বাকিরা কী ভাবে অনুপ্রাণিত হয়।’’
তাঁর সময়ের উদাহরণ দিয়ে স্টিভ বলেছেন, ‘‘সেই ১৯৮৯ সালের কথা মনে পড়ছে। যখন হেডিংলেতে সেঞ্চুরি করেছিল মার্ক টেলর। তার পরে আমি সেঞ্চুরি করি। ওখান থেকেই আমাদের ঘুরে দাঁড়ানো শুরু। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘আমাদের দলের তরুণ ক্রিকেটারদের কাউকে একটা বড় রান করতে হবে। ট্রাভিস হেড হোক কী মার্কাস হ্যারিস কী লাবুশানে— এদের মধ্যে থেকে কেউ সেঞ্চুরি পেলে দারুণ হবে।’’
তাঁদের প্রাক্তন অধিনায়কের মন্ত্র কতটা তাতাতে পারে টিম পেনের দলকে, সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই তা অনেকটা বোঝা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy