ছবি: এপি
ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ জয়ের জন্য বিরাট কোহালি আর ওর টিমকে অসংখ্য অভিনন্দন। অনিল কুম্বলেরও অভিনন্দন প্রাপ্য। ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে অভিষেকেই ও সফল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে ভাবে ধসে গেল সেটা নিয়ে ওদের ভাবতে বসা উচিত। প্রথম ইনিংসে ২০০-৩ থেকে বাকি সতেরোটা উইকেট পড়ে গেল ১৩০ মতো রানে। সাবাইনা পার্কে যে জেসন হোল্ডাররা ভাল খেলেছিল, সেই পারফরম্যান্সটার উপরও কালো দাগ পড়ে গেল।
ভারতের দিক থেকে বলব, টিমের পেসারদের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা হওয়া উচিত। সিরিজে আপাতত সেরা পেসার মহম্মদ শামি। ইশান্ত প্রচুর খাটছে। ক্যাপ্টেন যখনই বল দিচ্ছে, ও জান লড়িয়ে দিচ্ছে। এই বয়সে ৭০টা টেস্ট ম্যাচ খেলে ফেলেছে, এটা থেকে বোঝা যায় ইশান্ত কতটা কার্যকর। উমেশ যাদবের জায়গায় খেলতে নামা ভুবনেশ্বরও ভাল বল করেছে। সুইংয়ে প্রভাব ফেলতে পেরেছে। তার চেয়েও জরুরি, ওর গতি এখন অনেক ভাল। পেসারদের প্রভাবশালী হয়ে ওঠাটা বোলিং বিভাগকে আরও চনমনে করে তুলেছে।
মুরলী বিজয় যদি ফিট থাকে, তা হলে ওপেনার হিসেবে ওরই প্রথম বিকল্প হওয়া উচিত। কারণ এ মুহূর্তে ও সেরা। আর আমি এখনও বলব, পূজারাকে তিন নম্বরে নামানো হোক। সাবাইনা পার্কে তেমন কিছু করতে পারেনি বলে হয়তো এই টেস্টে ওকে বেঞ্চে বসতে হল। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, তিন নম্বরে ব্যাট করা মানে সব সময় রান করা নয়। অনেক সময় তিন নম্বরের কাজ হল নতুন বলের কার্যকারিতা ভোঁতা করে দেওয়া, যাতে বাকিদের কাজটা সহজ হয়ে যায়। মুরলী, লোকেশ রাহুল আর শিখর এমনিতে তাড়াতাড়ি রান তোলে। কিন্তু এমন অনেক সময় আসবে যখন ওদের মধ্যে কেউ নতুন বলের শিকার হবে। তার জন্যই বলছি, তিন নম্বরে পূজারাকে দরকার। চার আর পাঁচে বিরাট আর রাহানে।
অশ্বিন আর ঋদ্ধিমানের স্বাভাবিক স্কিলের বাইরে ব্যাট হাতেও ওরা যে সফল হল, তাতে পাঁচ বোলার থিওরি নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট আরও ভাল প্ল্যান করতে পারবে। অশ্বিনের সব ক’টা টেস্ট সেঞ্চুরি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। যাদের আধুনিক ক্রিকেটে দুর্বল টিম হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু এই টেস্টে অশ্বিনের সেঞ্চুরিটা মূল্যবান। কারণ ওটা এসেছে কঠিন ব্যাটিং পরিস্থিতিতে, আর টিম যখন চাপে। এটা সম্ভবত ওর সেরা টেস্ট সেঞ্চুরি। ঋদ্ধিও মনে মনে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছে যে, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ স্তরে ওই জাদু সংখ্যাটায় পৌঁছনো একদম আলাদা অনুভূতি। ঋদ্ধিকেও আমার অভিনন্দন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy