Advertisement
E-Paper

পিটারসেনের ঘোড়া উপমহাদেশের দল

ব্রায়ান লারা আবার মনে করছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঘরের মাঠে ফের সম্ভ্রম আদায় করে নেওয়ার মতো দলে পরিণত হয়েছে। তবে বিশ্বকাপে ভাল করতে গেলে দলগত প্রচেষ্টা এবং ধারাবাহিকতা দরকার হবে বলেও তিনি সতর্ক করে দিচ্ছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:০২
কেভিন পিটারসেন। ফাইল চিত্র।

কেভিন পিটারসেন। ফাইল চিত্র।

ইংল্যান্ডে আসন্ন বিশ্বকাপ গরমের মধ্যে খেলা হলে উপমহাদেশের দলগুলি সুবিধে পেতে পারে বলে মনে করছেন কেভিন পিটারসেন। প্রাক্তন তারকা ব্যাটসম্যান অবশ্য যোগ করছেন, সবুজ পিচ থাকলে, তা তাঁদের দেশের পক্ষে যাবে।

পিটারসেন বলছেন, গত গ্রীষ্ম তাঁর দেখা সব চেয়ে গরমকালের একটি। সেই সঙ্গে আবহাওয়া ছিল খুবই শুকনো। কোনও বৃষ্টিই হয়নি। এর আগেও এই শুষ্কতা দেখা গিয়েছে বলে তিনি জানান। পুরনো একটি ঘটনার কথা টেনে পিটারসেন বলেছেন, ‘‘২০০০ সালের একটি টেস্টের কথা মনে পড়ছে। ভারতের সঙ্গেই খেলছিলাম আমরা। প্রথম দিনে একদম সবুজ পিচ ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের শেষেই তা একেবারে শুকনো হয়ে গিয়েছিল। বৃষ্টি না হলে এ রকম অবস্থা তৈরি হতে পারে। তাতে পিচের ঘাসও অকেজো হয়ে পড়তে পারে।’’

পিটারসেনের মনে কোনও সন্দেহ নেই যে, গত গ্রীষ্মে যে রকম গরম এবং শুকনো আবহাওয়া ছিল, তা থাকলে উপমহাদেশের দলগুলোর সম্ভাবনাই অনেক বেড়ে যাবে। ‘‘তখন উপমহাদেশের দলগুলোই আরও বেশি করে ফেভারিট হিসেবে উঠে আসবে। আর যদি তা না থাকে, যদি পিচ সবুজ হয় আর বল নড়াচড়া করে তা হলে ইংল্যান্ডের সম্ভাবনা বাড়তে পারে।’’ তবে পিটারসেন আবার চিন্তায় আছেন, বল সুইং করলে ইংল্যান্ড কী রকম খেলবে তা নিয়ে। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজে বল সুইং করায় ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের ভরাডুবি হয়েছিল। ‘‘ইংল্যান্ড এমনিতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে প্রথম বল থেকে আক্রমণাত্মক খেলার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু বল সুইং করতে থাকলে পরিস্থিতি অত সহজ থাকবে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজে বার্বেডোজে বল নড়াচড়া করছিল। সেখানে ইংল্যান্ডকে ধরাশায়ী করে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ব্রায়ান লারা আবার মনে করছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ঘরের মাঠে ফের সম্ভ্রম আদায় করে নেওয়ার মতো দলে পরিণত হয়েছে। তবে বিশ্বকাপে ভাল করতে গেলে দলগত প্রচেষ্টা এবং ধারাবাহিকতা দরকার হবে বলেও তিনি সতর্ক করে দিচ্ছেন। ‘‘ইংল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজ জয় আমাদের সকলকে আবার আশার আলো দেখিয়েছে। ঘরের মাঠে আমরা আবার শক্তিশালী দল হতে পেরেছি। চার মাস আগেও আমাদের শোচনীয় অবস্থা ছিল। আমি খুশি এটা দেখেই যে, আমরা উন্নতি করতে পেরেছি,’’ বলেছেন লারা। দ্রুত যোগ করছেন, ‘‘তবে বিশ্বকাপে ভাল করতে গেলে শুধু ম্যাচউইনার থাকলেই হবে না। দলগত ভাবে ভাল খেলতে হবে। ধারাবাহিকতা দেখাতে হবে। যদি আমরা নক-আউটে যেতে পারি, তখন যে কাউকে হারাতে পারি। তবে আমি আগে দল নির্বাচনটা দেখতে চাই।’’

শ্রীলঙ্কার খেলা নিয়ে অবশ্য খুব সন্তুষ্ট হতে পারছেন না মাহেলা জয়বর্ধনে। ‘‘সাধারণত, বারো মাস আগে আমরা শ্রীলঙ্কায় বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করে দিতাম। তখন থেকেই মোটামুটি আমরা নিশ্চিত থাকতাম, প্রথম একাদশ কী হবে। এ বার বিশ্বকাপের গায়ে এসে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হচ্ছে দল বেছে নেওয়ার জন্য। তা থেকেই পরিষ্কার, কতটা এলোমেলো ভাবে আমরা বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি,’’ বলেছেন ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান। তবে মাহেলা যোগ করছেন, ‘‘আমাদের দলে প্রতিভা আছে। কয়েক জন আছে, যাদের আগে বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। শ্রীলঙ্কা সব সময় খেলতে নামে ‘জিততে পারি’ এই মনোভাব নিয়ে। তবে বিশ্বকাপের আগে খুব ভাল করতে পারিনি আমরা।’’

Kevin Pietersen World Cup
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy