ইতিবাচক: দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে সোজাসাপ্টা কোহালি।ছবি: পিটিআই
ভারতের বাইরে টেস্ট জেতা নিয়ে যতই তর্ক-বিতর্ক চলতে থাকুক, বিরাট কোহালি বলে দিচ্ছেন, তাঁদের কারও কাছে কিছু প্রমাণ করার নেই।
আগামী ৫ জানুয়ারি কেপ টাউনে শুরু হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের টেস্ট সিরিজ। গত পঁচিশ বছরে কখনও রামধনুর দেশে টেস্ট সিরিজ জেতেনি ভারত। কিন্তু বিরাট বলে দিচ্ছেন, ‘‘আমরা মানসিক চাপের জায়গা থেকে বেরিয়ে এসেছি। কারও কাছে কিছু প্রমাণ করার নেই। আমাদের কাজ হচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে নিজেদের সেরাটা দেওয়া এবং নিজেরা যে ফলটা চাইছি, সেটা অর্জন করা।’’
দক্ষিণ আফ্রিকার কঠিন সফরে রওনা হওয়ার আগে যে চাপ হাল্কা করার চেষ্টা করে গেলেন ভারত অধিনায়ক, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। এর পর আরও বললেন, ‘‘আমাদের ফলাফল নিয়ে বাস্তববাদী হতে হবে। মনে রাখতে হবে, কখনও আমরা জিতব। কখনও আবার জিতবও না। আমরা ওখানে ক্রিকেট খেলতে যাচ্ছি। অতীতের দিকে না তাকিয়ে বর্তমানে আমরা থাকতে চাইব। কী ভাবে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা যায়, সেটাই লক্ষ্য থাকবে।’’
তবে কোহালি স্বীকার করে নিচ্ছেন, ‘‘বিদেশের কঠিন, অজানা পরিবেশের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভাল করতে পারলে সেটা অনেক বেশি কর্ম সন্তুষ্টি দেয়।’’ বিয়ের পর যিনি ফের মাঠে ফিরছেন দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং এই প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে এলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে বছরের পর বছর ধরে বাড়তি বাউন্সি সামাতে গিয়ে নাজেহাল হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। কোহালি যদিও মনে করছেন, সব কিছুই নির্ভর করে নিজেদের মনোভাবের উপর। ‘‘এমনকী, দেশের মাটিতেও যে কোনও মাঠও কঠিন হয়ে যেতে পারে যদি সঠিক মানসিকতা না থাকে। চ্যালেঞ্জকে মানসিক ভাবে গ্রহণ করতে হবে। তা হলেই যে কোনও পরিবেশকে নিজেদের দেশের পরিবেশ মনে হবে। যেখানে যাচ্ছি, সেখানকার মানুষ, সংস্কৃতিকে আপন করে নেওয়ার চেষ্টা করি তা হলেই অনেক সহজ হয়ে যায় কাজ,’’ বলছেন কোহালি। ২০১৩-’১৪ সফরে জোহানেসবার্গে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। চ্যালেঞ্জ নিতে চেয়েছিলেন বলেই রান করতে পেরেছিলেন বলে মনে করছেন কোহালি। বলছেন, ‘‘আমি মাত্র এক বারই দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলেছি। কিন্তু আমি খুব উত্তেজিত ছিলাম যে, এ রকম পরিবেশে খেলব। আমি, পূজারা, অজিঙ্ক সবাই। আমরা ভাল খেলেছিলাম কারণ ইতিবাচক ছিলাম। ওই উত্তেজনাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাল করার জন্য।’’ আরও বলছেন, ‘‘প্রত্যেক সফরই একটা সুযোগ। অতীতে অনেক দলই দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছে। অনেক বড় নামও ছিল। সিরিজ জিততে গেলে ধারাবাহিক ভাবে, দীর্ঘ সময় ধরে ভাল ক্রিকেট খেলে যেতে হবে। আমরা একে অপরের সান্নিধ্য উপভোগ করছি এবং সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy