বিপর্যয় সামলাতে ফুটবলারদের ড্রেসিংরুমে পাঠিয়ে তাঁদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ভুল-ভ্রান্তি দূর করার ট্যাকটিক্স ময়দানে প্রথম চালু করেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। কোচ সুভাষ নিজে থাকতেন বাইরে।
পরে ট্রেভর মর্গ্যানের জমানাতেও ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য নিজেদের মধ্যে মিটিং করতে দেখা গিয়েছে।
আই লিগে এক নম্বর থেকে প্রথম বার দু’নম্বরে নামার পর সেই ফর্মুলা চালু হয়ে গেল সঞ্জয় সেনের মোহনবাগানেও। খেতাবের সামনে দাঁড়িয়ে ক্রমশ টিমের পারফরম্যান্সের গ্রাফ নিম্নমুখী হতে দেখার আতঙ্কে।
সোমবার সকালে প্র্যাকটিসে নামার আগে প্রায় আধ ঘণ্টা কোচকে মাঠে দাঁড় করিয়ে রেখে ড্রেসিংরুমে নিজেদের ভুল-ত্রুটি নিয়ে কাটাছেঁড়া করলেন সনি-বোয়া-কিংশুকরা। আই লিগের শেষ তিনটে ম্যাচই বাগানের কাছে কার্যত নক আউট টুর্নামেন্টের মতো। জিততে না পারলেই চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াই থেকে কার্যত ছিটকে যেতে হবে। এই পরিস্থিতিতে কর্তাদের পরামর্শ মেনে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেছিলেন সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা। ক্লাব সূত্রের খবর, সেখানে জেতার শপথ নিয়েছেন সনিরা। অনুশীলনের পর সেই সভা প্রসঙ্গে সনি নর্ডি বললেন, ‘‘মোহনবাগান যে সব ম্যাচই জিতবে এমন নয়। তবে চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে থাকার সময় টানা তিনটে ম্যাচে খারাপ রেজাল্ট একেবারেই কাম্য ছিল না। কোথাও গিয়ে আমাদের মনোসংযোগ নিশ্চয়ই নষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি খেলায় কোথায়-কোথায় খামতি থেকে যাচ্ছে, সেটা নিয়েও নিজেরা আলোচনা করেছি।’’
বিকেলে আবার ক্লাব তাঁবুতে অন্য ছবি। নবনির্বাচিত বাগানের ফুটবল সচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় এ দিন কোচের সঙ্গে টিমের বিপর্যয় নিয়ে কথা বলেন। সুব্রত ভট্টাচার্যদের হারানোর পরের দিন ফুরফুরে মেজাজে থাকার কথা ছিল বাগান শাসকদের। কিন্তু আই লিগে টিমের পিছিয়ে পড়া নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় তাঁরা। বলবন্ত-ডেনসন-বোয়াদের উৎসাহ দিতে মঙ্গলবারই প্র্যাকটিসেক সময় মাঠে আসার কথা সত্যজিতের। সঙ্গে অন্য কর্তাদেরও।
আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে এখনও তিনটে কঠিন হার্ডল পেরোতে হবে বাগানকে। রয়্যাল ওয়াহিংডো এবং স্পোর্টিং ক্লুবের বিরুদ্ধে প্রথম লেগের দু’টিতেই হেরেছিলেন সনিরা। দ্বিতীয় লেগেও সেই দুই টিমের বিরুদ্ধেই চ্যালেঞ্জ কাতসুমিদের।