আই লিগের খেতাবী লড়াইয়ের ম্যাচ নিয়ে বিতর্ক চলার মধ্যেই সুপার কাপ ঘিরে তৈরি হল চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা। কতগুলো দল শেষ পর্যন্ত খেলবে, তা নিয়ে উঠে গেল প্রশ্ন। পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে ফেডারেশন বনাম ক্লাব জোটের লড়াই আদালতেও গড়াতে পারে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দিল্লির দুই নামী আইনজীবীর সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা বলে রেখেছেন ক্লাব কর্তারা।
কলকাতার দুই প্রধান-সহ দেশের সাতটি ক্লাব ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে বুধবার জানিয়ে দিয়েছে, তারা ভুবনেশ্বরের টুর্নামেন্টে খেলবে না। এ দিন সব ক্লাব আলাদা ভাবে তাদের বক্তব্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমকে। ক্লাবগুলির ক্ষোভ, আই লিগ এবং আইএসএল সংক্রান্ত নানা প্রশ্ন তুলে তারা যে চিঠি দিয়েছিল, তাকে গুরুত্ব দেয়নি ফেডারেশন। যে ক্লাবগুলি চিঠি দিয়েছে তারা হল ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, চেন্নাই সিটিএফসি, নেরোকা, আইজল এফসি, মিনার্ভা পঞ্জাব ও গোকুলম।
চাপের মুখে পড়ে ফেডারেশন সচিব কুশল দাস একটি চিঠি পাঠিয়েছেন ক্লাবগুলিকে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘‘প্রেসিডেন্ট এখন বাইরে রয়েছেন। ক্লাবগুলির তোলা প্রশ্নের উত্তর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিনি সভা করে বা লিখিত ভাবে জানিয়ে দেবেন।’’ সেই চিঠি পাওয়ার পরেও অবশ্য ক্ষোভ কমেনি ক্লাবগুলির। ইস্টবেঙ্গলের স্পনসরদের পক্ষ থেকে বলা হল, ‘‘চিঠি পাওয়ার পরে তা পাঠিয়ে দিয়েছিলাম কোম্পানির সদর দফতরে। সেটা দেখেও নিজেদের সিদ্ধান্ত বদলায়নি কোম্পানি। দাবি না মিটলে সুপার কাপ না খেলার সিদ্ধান্তেই অটল রয়েছি আমরা।’’ আবার লাল-হলুদের তরফে অন্য একটি ই-মেলও পাঠানো হয়েছে সংবাদমাধ্যমের কাছে। তাতে ক্লাবের সচিব লিখেছেন, ‘‘প্রতিযোগিতায় না খেলাটা আমাদের সংস্কৃতি নয়। স্পনসরের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু মীমাংসা করে খেলতে চাই আমরা।’’ মোহনবাগানের বক্তব্য, ‘‘ফেডারেশন যে চিঠি দিয়েছে তার কোনও গুরুত্ব নেই। আমাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেলে আমরাও খেলব, সেটা তো ক্লাব থেকে জানিয়েই দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট তো ক্লাবগুলোকে গুরুত্বই দিচ্ছেন না। সে জন্যই বয়কটের পথে হাঁটতে হচ্ছে।’’
১৮ ফেব্রুয়ারি ক্লাব জোট চিঠি দিয়েছিল ফেডারেশনকে। তাতে দাবি ছিল মূলত ১) পরের মরসুমে আই লিগের ভবিষ্যৎ কী? লিগের স্পনসর হবে কে? টাকা কোথা থেকে আসবে? ২) আইএসএল না আই লিগ, কোনটা দেশের এক নম্বর লিগ জানাতে হবে। ৩) প্রাথমিক স্তরের ফুটবলে উন্নতির জন্য কী ব্যবস্থা নিচ্ছে ফেডারেশন?
এই চিঠি দেওয়ার পর ২৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ফেডারেশন এর জবাব না দেওয়ায় ক্লাবগুলো ক্ষোভে ফুঁসছে। দিল্লি থেকে ফেডারেশন সচিব কুশল দাস বললেন, ‘‘ওদের চিঠির উত্তর তো তিন বছর আগেই আমরা দিয়েছি। আইএসএল প্রধান লিগ হবে। আই লিগ হবে লিগ ওয়ান। আই লিগের ক্লাবগুলো চেয়েছিল সুপার কাপ করতে। ওরা চেয়েছিল বলেই আমরা সুপার কাপ করেছি। এখন ওরা না খেললে আর কি করা যাবে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy