উল্লাস: চাপের মুখে সেঞ্চুরি করে বিদর্ভের অক্ষয় ওয়াডকর। ছবি: পিটিআই।
রঞ্জি ট্রফি সেমিফাইনালে কর্নাটককে হারানোর পরে দিল্লির বিরুদ্ধে ফাইনালেও চালকের আসনে বিদর্ভ। অক্ষয় ওয়াডকরের দুরন্ত সেঞ্চুরিতে প্রথম রঞ্জি ট্রফি খেতাবের স্বপ্ন ইতিমধ্যেই দেখতে শুরু করেছেন ফৈয়জ ফজলরা। একই সঙ্গে মনন শর্মা, নবদীপ সাইনি ও গৌতম গম্ভীরের চোট চিন্তায় ফেলেছে দিল্লির অধিনায়ক ঋষভ পন্থকে।
দিল্লির ২৯৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে সাত উইকেট হারিয়ে বিদর্ভের রান ৫২৮। প্রথম ইনিংসে দিল্লির থেকে ২৩৩ রানে এগিয়ে রয়েছেন ওয়াসিম জাফররা। তৃতীয় দিনে ২০৬-৪ থেকে শুরু করেছিল জাফর (৭৮) ও অক্ষয় ওয়াখড়ে (১৭)। দিনের প্রথম সেশনেই ওয়াসিম জাফর-সহ দু’উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যান বিদর্ভের ক্রিকেটাররা। চাপের মুখেই ম্যাচের হাল ধরেন অক্ষয় ওয়াডকর ও আদিত্য সরওয়াটে (৭৯)। তাঁদের ১৬৯ রানের পার্টনারশিপই প্রথম ইনিংসে এগিয়ে দেয় বিদর্ভকে। সরওয়াটে আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন বিদর্ভের বোলিং অলরাউন্ডার সিদ্দেশ নেরাল। চারটি ছয় ও সমান সংখ্যক চার মেরে বিপক্ষকে আরও চাপে ফেলে দিয়েছেন তিনি। দিনের শেষে ওয়াডকরের (১৩৩) সঙ্গে অপরাজিত নেরাল (৫৬)। দিনের প্রথম ওভারেই ওয়াসিম জাফরের একটি ক্যাচ ফেলেছেন দিল্লির ওপেনার কুণাল চান্ডেলা। অধিনায়ক ঋষভ পন্থও একটি স্টাম্পের সুযোগ নষ্ট করেছেন। সেখান থেকেই আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বিদর্ভ ব্যাটসম্যানদের। ম্যাচ শেষে রঞ্জি ফাইনালে সেঞ্চুরি পাওয়া ওয়াডকর বলেছেন, ‘‘মরসুমের প্রথম তিনটি ম্যাচে আমি দলের বাইরে ছিলাম। স্থানীয় ক্রিকেটে রান করার পরেই রঞ্জি ট্রফিতে সুযোগ পেয়েছি।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘চাপের মুখে খেলতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। তা ছাড়া স্যার (কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত) আমার ওপরে বিশ্বাস রেখেছেন বলেই আমার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।’’
কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নেমে তরুণ এই উইকেটরক্ষককে চাপমুক্ত হতে সাহায্য করেছেন ওয়াসিম জাফর। তবে জাফর আউট হওয়ার পরে বেশ সমস্যায় পড়েছিলেন ওযাডকর। দিনের শেষে তিনি বলেছেন, ‘‘জাফর ভাই আমাকে বলছিলেন সুইংয়ের কথা বেশি না ভেবে বলের দিকে নজর রাখতে। তবে ও আউট হওয়ার পরে বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তবে আদিত্য নামার পরে আমার বেশ সুবিধে হয়েছে। ওর সঙ্গে আমার মাঠের বাইরেও খুবই ভাল সম্পর্ক। সেটাই পার্টনারশিপ গড়তে সাহায্য করেছে।’’ বিদর্ভের ড্রেসিংরুমে খুশির আমেজ থাকলেও দিল্লির ক্ষেত্রে তা ঠিক বিপরীত। ঝাঁপ দিয়ে ফিল্ডিং করতে গিয়ে রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল থেকে ছিটকে গেলেন বাঁ-হাতি স্পিনার মনন শর্মা। তিনি হাটুতে চোট পেয়েছেন। একই দিনে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেলেন দিল্লির প্রতিশ্রুতিমান পেসার নবদীপ সাইনি। আঙুলে চোট পেয়ে চতুর্থ দিনে অনিশ্চিত গৌতম গম্ভীরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy