খো খো দলের সদস্যরা। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
সাফল্য থাকলেও তেমন চাকচিক্য নেই। নেই সঠিক পরিকাঠামো। তবুও মেদিনীপুরে অন্য সব খেলার নিরিখে এগিয়ে রয়েছে খো খো। সাম্প্রতিক সাফল্যের হিসেব এই কথাই বলে।
কিছুদিন আগেই জেলার পুরুষ দল রাজ্য খো খোয় দ্বিতীয় হয়। এর পরে সম্প্রতি পূর্বাঞ্চল আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় প্রথম চারে ঢুকে পড়ে জাতীয় স্তরে খেলবার সুযোগ পেয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা দল। শনিবার এই দলটি তামিলনাড়ুর কাঞ্চীপুরমে রওনা হচ্ছে। ৭ ফেব্রুয়ারি সেখানে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা। দলের প্রশিক্ষক প্রভাংশু রায়ের আশা ফল আরো ভাল হবে।
এর পাশাপাশি পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ রয়েছে তাঁর। প্রভাংশুবাবু জেলা খো খো অ্যাসোশিয়েশনের সম্পাদকও। তাঁর কথায়, ‘‘সরকারি সাহায্য নেই। নেই সঠিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও। নিজেদের চেষ্টায় জেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ছেলে মেয়েরা উঠে আসছেন।’’ প্রভাংশুবাবু জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব রকম ভাবে সাহায্য করেন। মেদিনীপুর স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট অথরিটি তাদের মাঠে সারা বছর প্রশিক্ষণের সুযোগ দেন। সেখানেই মেলে নানান পরিকাঠামোর সুযোগ। এটা ছাড়া ভাল প্রশিক্ষণের তেমন সুযোগ সারা জেলায় নেই।
দলের ফিরোজা খাতুন, অর্পিতা মাহাতী, বুলটি রাণা, মমতা মণ্ডলরা প্রত্যেকেই সম্ভাবনাময়। অভাবীও। পেট চালাতে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজও করেন কেউ কেউ। অভাবকে হারাতে মরিয়া লড়াইয়ের ছাপ পড়ে তাঁদের খেলায়। প্রতিদ্বন্দ্বীদের তাড়া করতে করতে আসলে যেন হারিয়ে দিতে চান জীবনের সব বাধাকেই। খো খো খেলোয়াড়েরা শারীরিক ভাবে শক্তপোক্ত হন। তাতে পুলিশ, আধা সেনা, সেনা, আরপিএফের চাকরিতে তাঁরা সাধারণ প্রার্থীর থেকে অনেকটা এগিয়ে থাকেন। প্রভাংশুবাবু জানান, প্রাক্তন খেলোয়াড়েরা প্রায় সবাই-ই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন।
আর এ ভাবেই চলছে জেলার খো খো। সাফল্য আছে, চাকচিক্য নেই। সরকারি সাহায্য না থাকলেও জেদই সম্বল খেলোয়াড়দের। আর সেইটাই ভরসা প্রভাংশুবাবুর। তিনি বলেন, ‘‘কাঞ্চীপুরমেও মেয়েদের দল ভাল ফল করবে।’’ একই আশা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া আধিকারিক সুহাস বারিকেরও। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব সাহায্য করা হচ্ছে। ফল ভালই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy