পি সেন ট্রফি জয়ের পর মোহনবাগান দলের সঙ্গে বিরাট কোহলি। ২০০৯ সালে ইডেন গার্ডেন্সে।
বিরাট কোহালি। ভারতের নতুন মিস্টার ডিপেন্ডেবলকে যদি দেখা যেত বাংলার ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে! আইপিএল থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ঠাসা কর্মসূচিতে এখন বিষয়টা একটু অবাস্তব শোনালেও বছর কয়েক আগে পর্যন্তও সচিন থেকে কপিল, শ্রীনাথ থেকে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি— দেশের তাবড় ক্রিকেটাররা খেলে গিয়েছেন দুই প্রধানের হয়ে। সেই তালিকায় ছিলেন বিরাটও। বছর সাতেক আগে মোহনবাগানের হয়ে পি সেন ট্রফিতে খেলে গিয়েছেন বিরাট। পুরনো সেই বিরাটের সঙ্গে বর্তমান বিরাটের অমিল অনেক। তবে মিলও আছে এক জায়গায়। সেটা হল রানের খিদে। সে দিন শুধু খেলে যাওয়াই নয়, তাঁর ব্যাটে ভর করে সে বার ট্রফিও জিতেছিল সবুজ-মেরুন।
২০০৯ সালের ঘটনা। দিনটা ২৪ জুন। ব্যাট হাতে ইডেনে নেমেছিলেন বিরাট। তবে দেশের জার্সিতে নয়। সে দিন মোহনবাগানের জার্সি পরেই বিরাটের ব্যাট থেকে এসেছিল দুরন্ত শতরান। ১২১ বলে তিনি করেছিলেন ১৮৪ রান। মোহনবাগান জিতেছিল ৯৭ রানে। পি সেন ট্রফির ফাইনালে টাউন ক্লাবের বিরুদ্ধে মোহনবাগানের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন বিরাট। যে ইনিংসে বিরাটের ব্যাট থেকে এসেছিল আটটি ওভার বাউন্ডারি ও ২০টি বাউন্ডারি। আউট হয়েছিলেন শুভজিৎ চক্রবর্তীর বলে সৌরভ তিওয়ারিকে ক্যাচ দিয়ে। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এটা ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান।
এক নম্বরে ছিলেন ধোনি। তিনি করেছিলেন ২০৭ রান। সেটাও কলকাতার ক্লাব শ্যামবাজারের হয়ে করেছিলেন তিনি। ২০০৫-০৬ মরশুমে স্পোর্টিং ইউনিয়নের বিরুদ্ধে পি সেন ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে এই রান করেছিলেন ধোনি। তার পরই বিরাটের ১৮৪ রানের এই ইনিংস। যে দু’জনের হাত ধরে রবিবাসরীয় রাতে মোহালির স্টেডিয়ামে হাজার ওয়াটের আলো জ্বালিয়ে গেল ভারতীয় ক্রিকেট দল। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত। এ দিন, যে ধোনি মাঠে তাঁকে মাথা ঠান্ডা রেখে খেলতে সাহায্য করছিলেন সাত বছর আগে সেই ধোনির রেকর্ডের কথা শুনেই তাঁকে ছাপিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন বিরাট কোহলি। সে দিন ম্যাচ শেষে বিরাট বলেছিলেন, ‘‘আমি দলের অন্যান্য প্লেয়ারদের কাছ থেকে শুনেছিলাম ধোনির সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডের কথা। সেটা আমার মাথায় ছিল। এর আগের ইনিংসে আমি তেমন রান পাইনি। ভেবেই নিয়েছিলাম টিকে থাকতে পারলে রান আসবে।’’ সেই বিরাট আর এই বিরাটের মধ্যে অনেক পার্থক্য। সে দিনের ইডেন জানতেই পারেনি মোহনবাগানের জার্সি গায়ে কলকাতার মাটিতে খেলে গেলেন ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ। বিরাটেরও কি মনে আছে ২০০৯ সালের ২৪ জুন তিনি ইডেনে নেমেছিলেন ধোনির রেকর্ড ভাঙতে? বাংলার কোনও এক দলের হয়ে।
আরও খবর
ছিটকে গিয়ে স্মিথের মুখেও বিরাট নাম
রেকর্ডের নাম যখন বিরাট কোহলি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy