Advertisement
E-Paper

আট দিনে জোড়া জাতীয় প্রতিযোগিতা, সঙ্গে মশার কামড়, কর্তাদের বিবাদে নাজেহাল কুস্তিগিরেরা

ভারতীয় কুস্তিতে বিবাদ কমার নাম নেই। আট দিনে দু’টি জাতীয় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। নাজেহাল অবস্থা কুস্তিগিরদের। তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৫৬
sports

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

এক দিকে ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিংহের নেতৃত্বাধীন কমিটি। অন্য দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার নিয়োগ করা অ্যাড-হক কমিটি। দুই কমিটির রেষারেষিতে নাজেহাল অবস্থা কুস্তিগিরদের। দু’টি কমিটি আলাদা করে জাতীয় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। তা-ও আবার আট দিনের মধ্যে। তাতে সমস্যা আরও বেড়েছে।

সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরেই জাতীয় প্রতিযোগিতা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন সঞ্জয়। বে-আইনি ভাবে ঘোষণা করায় তাঁর কমিটিকে নিলম্বিত করে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। তৈরি করা হয় অ্যাড-হক কমিটি। কিন্তু সেই কমিটিকে মানতে নারাজ সঞ্জয়। তাঁর দাবি, তিনিই কুস্তি চালাবেন। ২৯-৩১ জানুয়ারি পুণেতে জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছেন তিনি।

অন্য দিকে অ্যাড-হক কমিটি জানিয়ে দিয়েছে, ব্রিজভূষণের আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েও কোনও লাভ হবে না কুস্তিগিরদের। কারণ, তাঁদের জেতা পদকের কোনও দাম থাকবে না। সেই পদক দেখিয়ে জাতীয় ট্রায়ালে অংশ নেওয়া যাবে না। পাল্টা ২-৫ ফেব্রুয়ারি জয়পুরে জাতীয় প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে তারা।

এই ঘোষণায় সমস্যায় পড়েছেন কুস্তিগিরেরা। তাঁরা কোন প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন তা বুঝতে পারছেন না। বেশির ভাগ রাজ্য অবশ্য কুস্তিগির পাঠাচ্ছে অ্যাড-হক কমিটির প্রতিযোগিতায়। কারণ, সেটাই কেন্দ্রের স্বীকৃত প্রতিযোগিতা। বিশেষ করে রেলওয়েজ়, সার্ভিসেস ও পঞ্জাবের কুস্তিগিরেরা সেই প্রতিযোগিতায় গিয়েছেন। ফলে সঞ্জয়ের আয়োজিত প্রতিযোগিতায় তেমন কোনও বড় নাম নেই।

অনেক কুস্তিগির আবার দু’দিকই রক্ষা করতে চাইছেন। পুণের প্রতিযোগিতা শেষ করে জয়পুরে যেতে চাইছেন তাঁরা। তাতে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরাই। কারণ, আট দিন ধরে শরীরের ওজন এক রাখা সহজ নয়। ফলে খাবার ও জল খুব কম খেতে পারছেন তাঁরা। ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। তাতে প্রতিযোগিতার ফলে প্রভাব পড়তে পারে।

পুণেতে কুস্তিগিরদের থাকার যেখানে ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানকার পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কুস্তিগিরে। সেখানে নাকি প্রচণ্ড মশার তাণ্ডব। পর্যাপ্ত জলও নাকি শৌচাগারে নেই। ফলে কুস্তিগিরদের অনেকের শরীর খারাপ হয়েছে। বাধ্য হয়ে অনেকে হোটেল বা অন্য কোথাও থাকার চেষ্টা করছেন। সব মিলিয়ে আখড়ার বাইরে কুস্তির বিবাদ ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

Wrestling Federation of India Wrestler
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy