Advertisement
১০ মে ২০২৪
ইডেনে আবার ‘কুখ্যাত’ রেল বনাম বাংলা: বাংলার বিরুদ্ধে বঙ্গসন্তানের শপথ

আগের বার এখানে হেরেছি, এ বার এখানেই জিতে ফিরব

ইডেনে ফের রেলওয়েজ বনাম বাংলা। ফের বাংলা বনাম বাংলার অরিন্দম ঘোষ। মাস দুয়েক আগে রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলার বিরুদ্ধে যে লড়াইটা অরিন্দম শুরু করেছিলেন, সেটা শেষ করতে পারেননি। হাফসেঞ্চুরি করলেও শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারেননি বাংলার ঘরের ছেলে। রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনালের অ্যাকশন রিপ্লের আগে অবশ্য আত্মবিশ্বাসী অরিন্দম।

অরিন্দম: রেলের ভরসা।

অরিন্দম: রেলের ভরসা।

প্রিয়দর্শিনী রক্ষিত
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৪ ০৪:০৫
Share: Save:

ইডেনে ফের রেলওয়েজ বনাম বাংলা। ফের বাংলা বনাম বাংলার অরিন্দম ঘোষ। মাস দুয়েক আগে রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলার বিরুদ্ধে যে লড়াইটা অরিন্দম শুরু করেছিলেন, সেটা শেষ করতে পারেননি। হাফসেঞ্চুরি করলেও শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারেননি বাংলার ঘরের ছেলে। রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনালের অ্যাকশন রিপ্লের আগে অবশ্য আত্মবিশ্বাসী অরিন্দম। পুরনো হারের স্মৃতি ঝেড়ে ফেলে নতুন যুদ্ধের প্রতিজ্ঞা তাঁর গলায়। না হলে কেন তাঁর টিমমেটদের কেউ মাঠে ঢোকার আগেই তড়িঘড়ি ব্যাট-প্যাড নিয়ে নেটমুখী হবেন? আর মাঠে নেমে চার পাশে না তাকিয়ে সোজা চলে যাবেন ইডেনের বাইশ গজ দেখতে?

রঞ্জিতে শেষ সাক্ষাতে তাঁর দলকে হারিয়েছে বাংলা। শুক্রবার বিজয় হাজারে সেমিফাইনালকে তাই রেলের প্রতিশোধের মঞ্চ বললে খুব ভুল হবে না। টিমের অন্যতম ব্যাটিং অস্ত্র অরিন্দম অবশ্য মনে করেন, রঞ্জি ট্রফি তাঁদের কাছে এখন ইতিহাস। এ দিন সন্ধেয় ইডেনে প্র্যাকটিস সেরে উঠে তিনি বলছিলেন, “বাংলার কাছে আমরা ক’বার হেরেছি, তার প্রভাব এই ম্যাচে পড়বে না। এটা আলাদা ফর্ম্যাট, খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচ। এখানে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে নামব আমরা।” রঞ্জি ট্রফি কোয়ার্টার ফাইনালে যে কাজটা অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছিল, সেটা এ বার শেষ করে আসাটাও কি ‘নতুন’ পরিকল্পনার মধ্যে থাকছে? সেমিফাইনালের আগে সেটা কি বাড়তি মোটিভেশন? অরিন্দম মানতে রাজি নন, “না, বাড়তি মোটিভেশন নেই কোনও। তবে উল্টো দিকে আমার পুরনো টিম আছে বলে বাড়তি চাপও নেই।”

বাড়তি চাপ না থাকার আর একটা বড় কারণ, বিপক্ষ টিমে মহম্মদ শামি নামক এক জনের অনুপস্থিতি। সেটা যে রেলওয়েজের কাছে বিরাট অ্যাডভান্টেজ, স্বীকার করে নিচ্ছেন অরিন্দম। “শামি হালফিলে যা বল করছে, তাতে ওর না থাকাটা আমাদের কাছে বাড়তি সুবিধে। আর শামি নেই, তাই বাংলা বোলিংয়ে অনেকটাই ঘাটতি থাকবে,” বলছেন অরিন্দম।

বাংলা শিবিরে কেউ কেউ মনে করছেন, রেলওয়েজের পেস আক্রমণ দেখে ‘ভয়’ পেয়ে ইডেনের ঘাস ছেঁটে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তাতে যে রেলের বোলিংকে নির্বিষ করা যাবে না, হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন অরিন্দম। বলে দিলেন, “আমাদের পেস আক্রমণের কথা বলছেন। মনে রাখবেন, আমাদের স্পিনাররাও কিন্তু খারাপ নয়। শুক্রবার সকালে প্রথম এগারো ঠিক হবে। সে রকম হলে এক জন পেসারের জায়গায় একটা বাড়তি স্পিনার খেলানোর কথা ভেবে রাখা হয়েছে।”

মুরলী কার্তিকের রেল যখন গত জানুয়ারিতে রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নেমেছিল, তখন গ্যালারির টানা স্লেজিং হজম করতে হয়েছে তাঁর টিমকে। এ বার কার্তিক নেই, কিন্তু টিমটার নাম তো সেই রেলওয়েজই। তাই ইডেনের যুদ্ধং দেহি মেজাজে যে কোনও হেরফের হবে না, তা নিয়ে বিশেষ সন্দেহের জায়গা নেই। স্লেজিং প্রসঙ্গে যেন একটু কঠিন অরিন্দমের গলা, “হ্যাঁ, সব মনে আছে। আগের বার ইডেনে বাংলার কাছে হেরে ফিরতে হয়েছে। এ বার সেই ইডেন থেকেই কিন্তু বাংলার বিরুদ্ধে জিতে ফিরব!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE