আজ পঞ্জাব বনাম চেন্নাই যুদ্ধে ফেভারিট বাছা খুব কঠিন। দু’টো টিমই এ বারের আইপিএলের সেরা দুই শক্তি। গ্রুপ পর্যায়ে দু’দুবার চেন্নাইকে দাপটে হারিয়েছে পঞ্জাব। তবে গ্রুপ পর্যায়ে ২-০ এগিয়ে বলেই আজ পাল্লা ওদের দিকে ঝুঁকে, বলা যাচ্ছে না। দু’পক্ষই জানে, গ্রুপের ম্যাচে যা-ই হয়ে থাক, প্লে অফ অন্য খেলা। এখানে একটা ভুল মানেই এত দিনের পরিশ্রম, লড়াই সব এক ঝটকায় ব্যর্থ।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত পঞ্জাব যে রকম আত্মবিশ্বাসী খেলছে, তাতে ওরা দল হিসাবে চেন্নাইয়ের থেকে এগিয়ে। তবু চেন্নাইকে হারানো সহজ হবে না। প্রথমত, বড় ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতায় চেন্নাই এগিয়ে। দ্বিতীয়ত, আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ওদের রেকর্ড অসাধারণ। আর তৃতীয় এবং সবচেয়ে তৎপর্যপূর্ণ কারণটা হল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্ব!
বুধবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয়ের পর আত্মবিশ্বাসের দিক দিয়েও ধোনিরা এই মুহূর্তে দারুণ জায়গায়। প্লে অফে ১৭০ তাড়া করে জেতা মুখের কথা নয়। কিন্তু কঠিন কাজটাই খুব সহজে করে দেখাল চেন্নাই। ওদের শক্তিশালী পারফরম্যান্সের পিছনে বাংলাদেশ সফরে ভারত অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া সুরেশ রায়নার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আজ রায়নার পাশে বাকিরাও জ্বলে উঠলে চেন্নাইকে থামানো কঠিন হবে।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নেতা ধোনির অবিশ্বাস্য রেকর্ডও চেন্নাইয়ের পক্ষে যাচ্ছে। নিজের ভাণ্ডারে যত রকমের রণকৌশল মজুত আছে, তার সবগুলো ব্যবহার করে জর্জ বেইলিকে আজ টেক্কা দিতে চাইবে ও।
তবে পঞ্জাবের বিস্ফোরক ব্যাটিং-শক্তিকেও অগ্রাহ্য করা যাচ্ছে না। নাইটদের বোলিংয়ের তুলনায় চেন্নাই আক্রমণের সামনে অনেক বেশি স্বচ্ছন্দও থাকবে ম্যাক্সওয়েল-মিলার-বেইলি-সহবাগ। নাইটদের বোলিংয়ের বৈচিত্র চেন্নাইয়ের নেই। তবু পঞ্জাবের ব্যাটিং তারকাদের জন্য এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। গ্রুপ পর্যায়ে ব্যাটিং-ইউনিট হিসাবে ওরা অসম্ভব জমাট ছিল। কিন্তু সহবাগ, বেইলিদের বুঝতে হবে, আজ হল সেই বড় ম্যাচ, যেখানে ওদের কাছে দলের এবং সমর্থকদের প্রত্যাশা সবচেয়ে বেশি। এই ধরনের মঞ্চেই জ্বলে ওঠার জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা ওদের দিকে তাকিয়ে।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও ওর ইঞ্জিন নতুন করে স্টার্ট করতে হবে। শুরুতে যে চোখ ধাঁধানো ব্যাটিংটা করছিল, সেটা গত কয়েকটা ম্যাচে নেতিয়ে পড়েছে। ম্যাক্সওয়েলের জন্য টেকনিক নয়, মনঃস্তাত্ত্বিক লড়াইটাই আসল। প্রশ্ন হল, গ্রুপের ম্যাচে যে ভয়ডরহীন ব্যাটিং ঝড়ে ও প্রতিপক্ষকে চুরমার করেছে, সেমিফাইনালের প্রবল চাপ মাথায় নিয়েও কি একই রকম নির্ভীক খেলতে পারবে? কাজটা সহজ নয়। মনে হয় আজ ব্যাট হাতে দাপটের বদলে প্রত্যয় দেখানো বেশি জরুরি। ম্যাক্সওয়েল যদি ক্রিজে জমে থেকে দেড়শো স্ট্রাইক রেটেও রান তোলে, তা হলেও ম্যাচটা জেতাতে পারবে। গ্রুপ ম্যাচগুলোয় ওর স্ট্রাইক রেট বেশির ভাগ সময় দু’শো বা তার বেশি ছিল। কিন্তু টুর্নামেন্টের এই পর্যায়ে পৌঁছে সেই এক মানসিকতা নিয়ে খেললে চলে না। পরিস্থিতি আর দলের প্রয়োজন অনুযায়ী নিজের খেলাটা বদলাতে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy