বেশ ভাল একটা সপ্তাহ গেল আমাদের। তাসমান সমুদ্র পারাপার করতে হল তো কী, পরপর তিনটে ম্যাচও জিতলাম আমরা। বিশ্বকাপ যখন বিজনেস এন্ডের কাছাকাছি এসে পড়ছে শ্রীলঙ্কাকে তখন বেশ ভাল চেহারায় দেখাচ্ছে।
ইংল্যান্ড ম্যাচটা কিন্তু আমাদের আসল লড়াই ছিল। তাই ওই জয়টা আমাদের কাছে বিশেষ আনন্দের। বিশ্বের কোনও উইকেটেই তিনশোর উপর রান তাড়া করাটা সহজ নয়। সৌভাগ্যবশত থিরিমান্নে আর দিলশান নতুন বলটা সামলে ভাল ভিত গড়ে দিয়েছিল। তার পর একটা দুর্দান্ত পিচে আমাদের দরকার ছিল স্রেফ স্মার্ট ক্রিকেট খেলা। থিরিই শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংয়ের ভবিষ্যৎ। ওপেন করার সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ও শ্রীলঙ্কা দলের একটা বড় সমস্যা মিটিয়ে দিয়েছে।
কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠাটা আমাদের প্রথম টার্গেট ছিল। এখন আমরা চাই পুলে যত উপরের দিকে শেষ করা যায়। সবচেয়ে ভাল হবে এক বা দু’নম্বরে থাকতে পারলে। নক আউটে যেটা আমাদের সাহায্য করবে। তাই অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্টে স্লো শুরুটা ওদের সামান্য চাপে রেখেছে। আশা করি ওদের সামান্য নড়বড়ে অবস্থার ফায়দা তুলে আমরা একটা অঘটন ঘটাতে পারব। যদিও কাজটা কঠিন। আর যাই হোক অস্ট্রেলিয়া দারুণ শক্তিশালী টিম। তবে চ্যালেঞ্জ নিতে আমরাও তৈরি।
এসসিজিতে আমরা বেশ কয়েক বার ভাল ক্রিকেট খেলেছি। সনতের (জয়সূর্য) অনেকগুলো স্মরণীয় ইনিংস এ মাঠেই খেলা। ইতিহাসকে টানলাম, কারণ আমার মতে ইতিহাস মানুষকে উৎসাহিতই করে। আর একটা ভাল তথ্য হল, অস্ট্রেলিয়ায় বিশেষ করে সিডনি-মেলবোর্নের মতো শহরে প্রচুর অনাবাসী শ্রীলঙ্কানদের প্রচণ্ড সমর্থন থাকে আমাদের জন্য। সুতরাং রবিবার গ্যালারির কিছুটাকেও আমরা পাব।
তার আগে অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ভারতের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকব। ভারত পুলে খুব ভাল অবস্থায় আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখনও পর্যন্ত ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি। তবে ওদের ব্যাটিংয়ে যেমন পাওয়ার হিটারের ছড়াছড়ি তাতে দল হিসেবে ক্যারিবিয়ানদের সম্ভাবনাকে কখনই মুছে ফেলতে পারেন না আপনি। ভারতকে কিন্তু শুক্রবার গেইল-রাসেলদের বিরুদ্ধে নিজেদের বোলিং-ফিল্ডিংয়ের ব্যাপারে খুবই গোছানো থাকতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy