ক্লাব তাঁকে চিঠি ধরিয়েছে সন্ধ্যায়। লাল-হলুদে অশনি সঙ্কেত দেখে রবিবারের ‘রাগী’ রিউজি সুয়োকা চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই বাস্তবের জমিতে। মনে যাই থাকুক ভবিষ্যতের কথা ভেবে কোচ আর্মান্দো কোলাসোর বিরুদ্ধে একটি শব্দও বলেননি। উল্টে বলছেন, “উত্তেজনায় কিছু করে ফেলেছি। আমি আরও কিছুক্ষণ মাঠে থাকতে চেয়েছিলাম। গোল করতে চেয়েছিলাম। কোচ তুলে নেওয়ায় তাই দুঃখ পেয়েছিলাম। পরে কোচের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছি।’’
আর্মান্দোর ডার্বিকে গুরুত্ব না দিয়ে গোয়া চলে যাওয়া, চিডি-উগাদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে অপেশাদার আচরণ, অনুশীলনে ফুটবলারদের মারামারি। ইস্টবেঙ্গলে বিশৃঙ্খলা যেন প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। তাতে রাশ টানতে কিছুটা হলেও নড়েচড়ে বসছেন ক্লাব কর্তারা। সুয়োকাকে মেল করে এ দিন ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হল, “এর পর এ রকম আচরণ করলে জরিমানা হবে।” জাপানি মিডিও অবশ্য সোমবার সন্ধ্যায় জানাচ্ছেন, এখনও চিঠি পাননি। কেউ তাঁকে সতর্কও করেনি।
রবিবার র্যান্টির রাংদাজিদের বিরুদ্ধে আর্মান্দো বিরতির আগে সুয়োকাকে তুলে নেওয়ায় মাঠেই ক্ষোভ দেখান জাপানি ফুটবলার। জড়িয়ে পড়েন বিতর্কে। রিজার্ভ বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করতে করতে সটান ড্রেসিংরুমে চলে যান তিনি। সেখানেও কোচ আর্মান্দোকে ঢুকতে দেখে তোয়ালে মাটিতে ছুড়ে মারেন। মার্কোস ফালোপার সময়ও, তাঁকে তুলে নেওয়ার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন জাপানি এই ফুটবলার। তখন তিনি ছাড় পেয়ে যান। ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার এ দিন বললেন, “সুয়োকাকে ক্লাব থেকে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এ বার কোচ চেয়েছেন বলে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। এরপর এরকম করলে আর শো-কজ করা হবে না। সরাসরি শাস্তি দেওয়া হবে।” আসলে টিম খেতাব জয়ের লড়াইতে ফিরতে পারার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় বিরক্ত হলেও এখনই সুয়োকাকে বড় শাস্তি দিতে চাইছে না ইস্টবেঙ্গল। তবে তাকে যে পরের বছর রাখা হবে না সেটা অনেকটাই নিশ্চিত।
তাঁকে নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই পরের ম্যাচে কোন কোন ফুটবলারের চোট, খোঁজ নিচ্ছিলেন সুয়োকা। বলছিলেন, “পরের ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। লড়াইয়ে টিকে থাকতে জিততে হবে।” খালিদ জামিলের দলের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে চোট সমস্যায় জেরবার কোলাসো দল গড়তে হিমশিম খাচ্ছেন। রাংদাজিদ ম্যাচে চোট পেয়ে প্রায় দু’সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন জেমস মোগা। চোট লেনেরও। মেহতাব, ডিকা, তুলুঙ্গারা তো আগে থেকেই চোটের তালিকাতে ছিলেন। উগা ওপারাও নেই। অথচ ইস্টবেঙ্গলের এই ম্যাচটির দিকে তাকিয়ে থাকবে কলকাতার বাকি তিন প্রধানও। মুম্বই এফসি-কে চিডিরা যদি হারিয়ে দেন তবে কিছুটা হলেও লাভবান হবে অবনমনে থাকা মোহনবাগান, মহমেডান এবং ইউনাইটেড।
অন্য খেলায়
বেহালা কেএফ রেলওয়ে মাঠে প্রদর্শনী ফুটবলে মেঠো মর্নিং ক্লাব ৩-০ হারিয়েছে শ্রীসঙ্ঘকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy