Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

জোড়া সমস্যার সমাধানও পেয়ে গেল ধোনি

ভারতের জয়ের পাঁচ কারণ বিশ্লেষণ করলেন দীপ দাশগুপ্ততিন স্পিনারে খেলা ও অশ্বিনকে দিয়ে বোলিং শুরুর সিদ্ধান্তটা দারুণ এবং অত্যন্ত সাহসী। আগের লেখাতেই অবশ্য লিখেছিলাম, ধোনির এই রাস্তাতেই হাঁটা উচিত। এবং এই সাহসী চালটাই কিস্তিমাত করতে সাহায্য করল।

আফ্রিদিকে ফিরিয়ে তৃপ্ত। শুক্রবার মিরপুরে টিম-ধোনি। ছবি: এএফপি।

আফ্রিদিকে ফিরিয়ে তৃপ্ত। শুক্রবার মিরপুরে টিম-ধোনি। ছবি: এএফপি।

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৪ ০৩:৩৭
Share: Save:

টস জেতা ও দল নির্বাচন

তিন স্পিনারে খেলা ও অশ্বিনকে দিয়ে বোলিং শুরুর সিদ্ধান্তটা দারুণ এবং অত্যন্ত সাহসী। আগের লেখাতেই অবশ্য লিখেছিলাম, ধোনির এই রাস্তাতেই হাঁটা উচিত। এবং এই সাহসী চালটাই কিস্তিমাত করতে সাহায্য করল। পাকিস্তান, যারা স্পিনটা খুব ভাল খেলে, তাদের বিরুদ্ধে তিন স্পিনারে যাওয়াটা যদিও বেশ ঝুঁকির। কিন্তু এই ঝুঁকিটা না নিলে চলছিল না। অশ্বিন ভাল শুরু করল। আর অমিত মিশ্র ম্যাচের সেরা বোলিংটা করল। টস জেতাটা ভাল হয়েছে। কারণ, ম্যাচের পরের দিকে শিশিরের পরিমাণ কতটা বাড়বে, তা কারও জানা নেই। তাই আগে বোলিংটা করে নেওয়াই ভাল।

ফিল্ডিংয়ের সময় ক্যাপ্টেন্সি

ধোনি যে ভাবে ফিল্ডিংটা সাজাচ্ছিল ও বোলার বদল করছিল, তাতে বিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা চাপে পড়তে বাধ্য। ধোনির এই নেতৃত্ব দেওয়াকে নিখুঁত বললে ভুল বলা হবে না বোধহয়। অবশ্য একটা ওভার বাদ দিয়ে। যুবরাজকে কেন সেই ওভারে বল করতে দিল ধোনি, বোঝা গেল না। সম্প্রতি যুবিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তেমন বোলিং করতে দেখা যায়নি। তবু কেন? এই এক ওভার বাদ দিয়ে বাকি সময়ে ধোনি বুঝিয়ে দিল, কেন ও ভাল অধিনায়ক। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বোলারদের আনা। সেই মতো ফিল্ডিং সাজানো, সব কিছুতেই এ দিন ভারতীয় ক্যাপ্টেন ছিল নিখুঁত।

বোলারদের পারফরম্যান্স

স্পিনাররা তো ভাল বল করেছেই। পেসাররাও বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের বেশ চাপে রেখেছিল। দুই পেসারকে নিয়ে যতটা দুশ্চিন্তা ছিল, তার ছাপ এ দিন ওদের পারফরম্যান্সে পড়েনি। শামি তো অনবদ্য। ভুবিও এ দিন আগের তুলনায় ভাল। লাইনটা ঠিক জায়গায় রেখেছিল। আফ্রিদিও মারতে পারেনি। পেসারদের জুটিটা এ রকম বোলিং করতে পারলে ধোনির চিন্তা অনেকটা কমবে। কারণ স্পিনাররা তো ভাল ফর্মে আছেই।

ওপেনিং পার্টনারশিপ

ওপেনাররা শুরুতেই যে ভাবে ক্রিজে দাঁড়িয়ে গেল, তাতে আর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের উপর তেমন চাপ পড়েনি। শুরুর চাপটা রোহিত-ধবন নিয়ে নিল। ভারতের ওপেনিং সমস্যাটাও মনে হয় এ বার মিটে যাবে। যদিও এ দিন কম রানের টার্গেট থাকায় চাপটা সে ভাবে বোঝা যায়নি।

রায়না ও বিরাট

দু’জনেই ফর্মে। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ডও বলা যায়। এশিয়া কাপে দলের বাইরে থাকার পর অনেক তরতাজা অবস্থায় রায়না ব্যাট করতে নামছে। ওকে খুব আত্মবিশ্বাসীও দেখাচ্ছে। রায়না যে টি টোয়েন্টিতে বিশ্বসেরা, তা আবার প্রমাণ করে দিল এ দিন। শুধু ভাল ব্যাটিং নয়, দুর্দান্ত তিনটে ক্যাচও নিল। আর কোহলির কথা তো ছেড়েই দিন। চাপ কম ছিল বলে নয়, চাপ বেশি থাকলেও ও ম্যাচ বের করে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

এক নজরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

স্টেইন, দু’প্লেসি অনিশ্চিত

সংবাদ সংস্থা • ঢাকা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নামার আগেই ধাক্কা খেতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। চোটের জন্য অধিনায়ক ফাফ দু’প্লেসি আর বোলিং বিভাগের অন্যতম ভরসা ডেল স্টেইন অনিশ্চিত। দু’জনেই এখনও হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট কাটিয়ে উঠতে পারেননি। স্টেইন আর দু’প্লেসি অবশ্য শুক্রবার টিমের প্র্যাকটিসে ছিলেন। পরে দু’প্লেসি বলেন, “ডেল আর আমি ঠিক সময়ে ফিট হতে পারব কি না সেটাই চিন্তা ছিল। শনিবার ফিটনেস টেস্টের পর বোঝা যাবে ম্যাচ খেলার মতো অবস্থায় আছি কি না।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “আমার ব্যাটিং করতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু ছুটতে গেলেই সমস্যা হচ্ছে। সেদিক থেকে আমি ৭০ শতাংশ ফিট বলা যায়। আশা করছি শনিবার সেটা ৯০-৯৫ শতাংশ করতে পারব।” অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে চোট পান স্টেইন। মঙ্গলবার প্রস্তুতি ম্যাচেও যে জন্য তিনি ২.২ ওভার বল করার পরই মাঠ ছাড়েন আর দু’প্লেসি তো দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেই ছিলেন না। দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে দু’প্লেসির প্রথম ম্যাচে নামার সম্ভাবনা ৫০-৫০। তবে দু’প্লেসি যদি খেলতে না পারেন তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ান ডে ক্যাপ্টেন ডেল স্টেইন দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেন।

ডাচদের অবিশ্বাস্য জয়

নিজস্ব প্রতিবেদন

শুক্রবার মিরপুরে ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট যুদ্ধে নামার আগে আর এক চিরশত্রুর লড়াইয়ে ক্রিকেটবিশ্বকে চমকে দিল নেদারল্যান্ডস। ৮৩ বলে ১৯০ রান তাড়া করে জিতে ডাচরা শুধু যে আয়ারল্যান্ডের সমর্থকদের হৃদয় ভাঙলেন, তা-ই নয়, জিম্বাবোয়ের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেনে ওঠার স্বপ্নও চুরমার করে দিলেন। জন্ম হল একাধিক নজিরেরও। আয়ারল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ১৮৯-৪ তোলার পর এ দিন নেট রান রেটে জিম্বাবোয়েকে পিছনে ফেলে সুপার টেনে উঠতে নেদারল্যান্ডসকে ১৪.২ ওভারে এই রান টপকাতে হত। ডাচরা তা তুলে নিলেন ১৩.৫ ওভারে। সিলেট স্টেডিয়ামে এ দিন সারা ম্যাচেই ব্যাটসম্যানরা ঝড় তুলেছেন। নেদারল্যান্ডসের স্তেফান মাইবার্গের ১৭ বলে ৫০-ই ডাচদের সুপার টেনে ওঠার স্বপ্ন দেখাতে শুরু করে। সাত বলে পরপর পাঁচটি ছয় হাঁকান তিনি। সাতটি ছয় ও চারটি চার মেরে ২৩ বলে ৬৩ রান করে তিনি আউট হয়ে যাওয়ার পর লক্ষ্যের দিকে সমান গতিতে দলকে টেনে নিয়ে যান টম কুপার। যিনি ছ’টি ছয় হাঁকিয়ে ১৫ বলে ৪৫ তুলে তিনি ডাচদের প্রায় লক্ষ্যে পৌঁছেই দেন। মিড উইকেটের উপর দিয়ে বিশাল এক ওভার বাউন্ডারি মেরে লক্ষ্যপূরণ করেন ওয়েসলি বারেসি। সবচেয়ে দ্রুতগতিতে রান তাড়া করা (১৩.৯৫-এর গড়ে), ম্যাচে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ছয় (৩০) ও পাওয়ার প্লে-তে সবচেয়ে বেশি রান (ছ’ওভারে ৯১)টি টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে এই তিন নজির তৈরি হয়ে গেল এই এক ম্যাচে। মাইবার্গের হাফ সেঞ্চুরিটা অবশ্য দ্রুতগতির হাফ সেঞ্চুরির তালিকায় দু’নম্বরে রইল, ২০০৭-এ যুবরাজের ১২ বলে পঞ্চাশের পর।

আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে

• দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা

চট্টগ্রাম, বিকেল ৩টে

• ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড

চট্টগ্রাম, সন্ধ্যা ৭টা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

deep dasgupta india-pakistan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE