Advertisement
০৭ মে ২০২৪
ফিরতি পর্বে নেই ইব্রা

টিমের হারে ক্ষুব্ধ মোরিনহো ইঙ্গিত দিলেন তোরেস-বিদায়ের

প্যারিসের ‘রোমান্টিকতা’ আর জুটল না তাঁর কপালে। আইফেল টাওয়ারের কিছুটা দূরেই হয়তো এই মরসুমের জন্য শেষ হয়ে গেল নিজের প্রিয় ক্লাবের সঙ্গে ‘দ্য স্পেশ্যাল ওয়ানের’ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্ন। প্যারিস সাঁ জাঁ-র সঙ্গে প্রথম পর্বে ১-৩ হারল চেলসি। সেমিফাইনালে ওঠা এখন রীতিমতো ‘মিশন ইম্পসিবল’ হয়ে দাঁড়াল মোরিনহোর দলের জন্য। খারাপ রক্ষণ থেকে স্ট্রাইকারদের গোল-খরা, সব কিছুরই খেসারত দিতে হল চেলসিকে। এজেকিয়েল লাভেজ্জির গোলে ১-০ এগোয় প্যারিস সাঁ জা।ঁ যার কিছুক্ষণ পরেই এডেন হ্যাজার্ডের পেনাল্টিতে সমতা ফেরায় চেলসি।

হারের ছবি মোরিনহোর চোখেমুখেই স্পষ্ট। ছবি: রয়টার্স।

হারের ছবি মোরিনহোর চোখেমুখেই স্পষ্ট। ছবি: রয়টার্স।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:৫৯
Share: Save:

প্যারিস সাঁ জাঁ-৩ (লাভেজ্জি, লুইজ-আত্মঘাতী, পাস্তোরে)

চেলসি-১ (হ্যাজার্ড-পেনাল্টি)

প্যারিসের ‘রোমান্টিকতা’ আর জুটল না তাঁর কপালে। আইফেল টাওয়ারের কিছুটা দূরেই হয়তো এই মরসুমের জন্য শেষ হয়ে গেল নিজের প্রিয় ক্লাবের সঙ্গে ‘দ্য স্পেশ্যাল ওয়ানের’ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্ন।

প্যারিস সাঁ জাঁ-র সঙ্গে প্রথম পর্বে ১-৩ হারল চেলসি। সেমিফাইনালে ওঠা এখন রীতিমতো ‘মিশন ইম্পসিবল’ হয়ে দাঁড়াল মোরিনহোর দলের জন্য। খারাপ রক্ষণ থেকে স্ট্রাইকারদের গোল-খরা, সব কিছুরই খেসারত দিতে হল চেলসিকে। এজেকিয়েল লাভেজ্জির গোলে ১-০ এগোয় প্যারিস সাঁ জা।ঁ যার কিছুক্ষণ পরেই এডেন হ্যাজার্ডের পেনাল্টিতে সমতা ফেরায় চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধে ডেভিড লুইজের আত্মঘাতী গোলে ম্যাচে দ্বিতীয়বার এগোয় প্যারিস সাঁ জা।ঁ দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে পরিবর্ত জাভিয়ের পাস্তোরের গোলে ম্যাচে জয় নিশ্চিত করে প্যারিস সাঁ জা।ঁ যা পরিস্থিতি, তাতে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের ফিরতি পর্বে অন্তত ২-০ জিততে হবে চেলসিকে সেমিফাইনালে ওঠার জন্য। এবং গোল খাওয়া চলবে না। এক গোল খেয়ে গেলে তখন জিততে হবে ৪-১ গোলে। তবে এ রকম পরিস্থিতির মুখে আগেও পড়েছে চেলসি। ২০১১-’১২ মরসুমে নাপোলির বিরুদ্ধে প্রথম লেগ ১-৩ হেরেও দ্বিতীয় পর্বে ৪-১ জিতেছিল।

হারের পোস্টমর্টেম করতে গিয়ে দুটো কারণ পেশ করলেন মোরিনহো। প্রথমত, দলের স্ট্রাইকাররা ফর্মে না থাকায় আন্দ্রে সুরলেকে ফলস নাইনে খেলানো। যেখানে তাঁর অভিজ্ঞতা কম। দ্বিতীয়ত, পরিবর্তে ফের্নান্দো তোরেসকে নামানোর নিটফল ছিল শূন্য। গোলে শট মারা তো দূরের কথা, বল ধরতেই হিমশিম খান ‘এল নিনো’। সাংবাদিক সম্মেলনে স্বভাবতই বিরক্তির সুরে ‘দ্য স্পেশ্যাল ওয়ান’ বলেন, “আমি সুরলেকে ফরোয়ার্ডে নামাতে বাধ্য হই। সুরলে স্ট্রাইকার না হওয়া সত্ত্বেও ও অন্তত বলটা নিজের দখলে রাখতে জানে। এ ছাড়াও আক্রমণ গড়া আর অন্য ফুটবলারদের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করতে পারে ও।” ইঙ্গিত ছিল পরিষ্কার। শনিবার ক্রিস্টাল প্যালেসের সঙ্গে তোরেসের ‘নিরামিষ’ পারফরম্যান্সে এতটাই ক্ষুব্ধ ছিলেন চেলসির পর্তুগিজ কোচ যে এ দিনের প্রথম দল থেকে তাঁকে ছাঁটতে বাধ্য হয়েছিলেন।

স্প্যানিশ স্ট্রাইকারকে শুধুই কাঠগড়ায় দাড় করানো নয়। তাঁর দিকে একহাত নিয়ে মোরিনহো বলেন, “স্ট্রাইকার মানে গোল করতে জানা। ঠিক পজিশনে থাকা। দলের স্ট্রাইকারদের খেলায় আমি খুশি নই। আমি একটা আসল স্ট্রাইকার চাই,” শোনা যাচ্ছে, জল এত দূর গড়িয়ে গেছে যে মরসুম শেষে দলের তিন স্ট্রাইকারকেই বিক্রি করতে চলেছেন মোরিনহো। এটো, তোরেস, দেম্বা বা, তিনমূর্তির ভবিষ্যৎ আর চেলসিতে নেই, সেই কথাই জানালেন এক ক্লাব সূত্র। যার মধ্যে তোরেসকে বিক্রি করার জন্য এখন থেকেই অন্য ক্লাবগুলোর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছে চেলসি। এমনকী কেউ কিনতে না চাইলেও, লিয়েনে দেওয়া হবে অন্য ক্লাবে।

তৃতীয় গোলটাকে ‘হাস্যকর’ হওয়ার তকমা দিলেন মোরিনহো। বলেন, “দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণ ঠিক করে করতে পারিনি আমরা। ম্যাচের শেষের দিকে তৃতীয় গোলটা হাস্যকর।” কিন্তু অন্ধকার রাস্তার মধ্যে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখা দিল মোরিনহোর জন্য। দ্বিতীয় পর্বে ম্যাচে খেলতে পারবেন না মোরিনহোর প্রাক্তন ছাত্র জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। এ দিন হ্যামস্ট্রিং চোট পেয়ে মাঝপথেই ম্যাচ ছাড়তে হয় ইব্রাকে। যা শুনেই হয়তো মোরিনহোর মন্তব্য, “সেমিফাইনালে ওঠা কঠিন,কিন্তু অসম্ভব নয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

paris saint germain chelsea
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE