প্রথম চার ব্যাটসম্যানের বড় রান নেই। তেমন কোনও পার্টনারশিপও নেই। দলে ধোনির অভাব পূরণ করার মতো ব্যাটসম্যান-উইকেটকিপার নেই। প্রচুর মিস ফিল্ডিং। ভারতীয় দলের এ সব সমস্যা নিয়ে আর নতুন কী লিখব? এগুলো শুনতে শুনতে এখন একঘেয়ে হয়ে গিয়েছে।
বরং একটু অন্য বিষয়ে আলোচনা করা যাক। গত তিন মাসে তিনটে বিদেশ সফরে ভারত কিছুই করে উঠতে পারেনি। বরাবরই আমাদের ব্যাটসম্যান, বোলারদের নিয়ে উচ্চাশা প্রকাশ করা হয়েছে আর ওরা বারবারই মুখ থুবরে পড়েছে। ফিল্ডিংও ক্রমশ খারাপ থেকে হাস্যকর পর্যায়ে চলে গিয়েছে। এগুলো যতটা না টেকনিকের সমস্যা, তার চেয়ে বেশি মানসিক সমস্যা। ভারতীয় দলের এই তরুণ ক্রিকেটাররা তাদের মানসিকতাকে সবার আগে রাখেনি। এটা একটা বড় সমস্যা বই কী।
ব্যাটসম্যানদের উদাহরণ দিয়েই শুরু করি। রোহিত, রায়ডু, কার্তিকের মতো ব্যাটসম্যানদের বল উড়িয়ে উড়িয়ে খেলার প্রবণতা বেশি। অন্যরা যে মাঠের ফাঁকা জায়গায় বল ঠেলে খুচরো রান নেবে এবং ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই নিজেদের হাতে রাখবে, এই ভাবনাটাই নেই। কাকে যে কী করতে হবে, তা কেউ জানে না। অধিনায়ক ছাড়া দলের অন্য অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের তা জানানোর দায়িত্বও আছে বলে মনে হচ্ছে না। যার জন্য শুরু ভাল হয়েও তা বিফলে যাচ্ছে।
সবচেয়ে বড় টেকনিক্যাল সমস্যা যেটা এদের হচ্ছে, তা হল স্ট্রাইক রোটেট করা। একটা ইনিংস কী ভাবে গড়ে তুলতে হয়, তা ধোনির মতো একজন বুদ্ধিমান ব্যাটসম্যান হাতের কাছে থাকতেও এরা শিখতে পারে না! ইনিংসের শুরুর দিকে ধোনি খুচরো রান নেয়। ঝড়ের বেগে দৌড়ে এক রানগুলোকে দুইও বানিয়ে ফেলে। আর এ সবের মাঝেই নিতে থাকে কিছু দুর্দান্ত ও নির্দয় শট। যখন ও শুরু করেছিল, তখন কিন্তু এখনকার এই তরুণদের থেকেও অনেক বেশি ছটফটে ছিল। কিন্তু দুটো মরসুম যেতে না যেতেই নিজেকে বদলে ফেলে। ব্যাটিংয়ের পদ্ধতি বদলে আরও ধারাবাহিক হওয়ার দিকে মন দেয়। তাতে দলের ভালই হয়েছে।
এই দলের ব্যাটসম্যানরা ব্যাট করতে পারে ঠিকই, কিন্তু ওরা কি বড় রান করতে পারে? সেই খিদে কি আদৌ ওদের মধ্যে আছে? প্রশ্ন এটাই। বোধহয়, ওদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা এতই কম যে, ওরা তেমন ভাবে ধারালো হয়ে উঠতে পারছে না। নিজেদের খেলায় কি ওরা উন্নতি আনতে পারবে, না বিপক্ষ ওদের সম্পর্কে আগাম ধারণা করে নিয়ে বারবার ওদের হরিয়েই যাবে? এ সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া খুব দরকার।
বাংলাদেশে ভারতীয় বোলিং কিছুটা ভাল হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এমনটা যে হবে, তা তো আগে থেকে বোঝাই গিয়েছিল। দেশের মাঠে যে ভারতের স্পিনাররা সফল হবেই, তা এখন সারা ক্রিকেট বিশ্বের জানা। সেক্ষেত্রে ওদের সেরা বোলার যদি স্পিনাররাই হয়, তা হলে তিন স্পিনারকে একসঙ্গে নামানোর অসুবিধা কী? অমিত মিশ্র হয়তো বাইশবার কামব্যাক করেছে। অমিতের গড় আর স্ট্রাইক রেটকেই ওর এই চলতে থাকা প্রত্যাবর্তনের নির্দেশক বলতে পারেন। এই জন্যই ওর আরও বেশি সুযোগ প্রাপ্য। অন্তত এই উপমহাদেশে তো বটেই।
বুধবার সামনে আফগানিস্তান। দলটা বাংলাদেশকে হারিয়ে টগবগ করে ফুটছে। ভারতের অবস্থা ঠিক উল্টো। তাই বলে আফগানদের বিরুদ্ধে ম্যাচেও যেন আবার ফোকাস নড়ে না যায়। অন্তত এই ম্যাচটাতে নিজেদের খিদের কথা জানাক ভারতীয়রা।
কোহলির অধিনায়কত্ব একটা টুর্নামেন্ট দিয়ে বিচার করা ভুল। ওকে সময় দিতে হবে।
আর আপনারা বলছেন, ধোনি ছিল না। ক্রিকেটে কে ছিল, কে ছিল না তা দিয়ে কিছু হয় না।
যারা ছিল, তারা কী করেছে? পাকিস্তানের কাছে ও ভাবে হারা হতাশাজনক।
ওই হার নিয়ে কী বলব? একটাই ভাল ব্যাপার। শামি বেশ ভাল বল করছে।
আরসিজিসি-তে গল্ফ টুর্নামেন্ট খেলতে এসে সাংবাদিকদের বলে গেলেন কপিল দেব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy