চাপ কাটলেও থাকল উদ্বেগ। বুধবার লক্ষ্মী-মনোজ। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন গ্রিনটপের ব্যাপারে কোনও আপস নয়। বাংলাকে ঘরের মাঠে রঞ্জি ট্রফির সব ম্যাচই সবুজ উইকেটে খেলতে হবে। সিএবি যুগ্মসচিবের সেই দাওয়াই বোধহয় আর নিতে পারছে না বাংলা দল। তাই ইডেনে জম্মু কাশ্মীরের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে ঘূর্ণি উইকেট চাওয়া হয়েছে বলে সিএবি সূত্রে খবর।
বুধবার খারাপ আবহাওয়ার ফলে ইডেনের আউটফিল্ড ভিজে থাকায় মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষ দিনের খেলা ভেস্তে যাওয়ার পর বিকেলে নির্বাচন কমিটির বৈঠকে উপস্থিত সিএবি প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়ার কাছে নাকি এই দাবি তোলা হয়েছে। ডালমিয়া টিম ম্যানেজমেন্টকে ঘূর্ণি উইকেট দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন বলে খবর। সৌরভ বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায়। তাঁর ফেরার কথা ১০ জানুয়ারি। ১৩ তারিখ থেকে ইডেনে বাংলা ও জম্মু-কাশ্মীরের মধ্যে ম্যাচ। সৌরভের সঙ্গে আলোচনা করে তার আগে টার্নার উইকেট প্রস্তুত করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
রঞ্জির প্রথম ম্যাচে ওয়াংখেড়েতে মুম্বইকে হারিয়ে যারা হইচই ফেলে দিয়েছিল, সেই জম্মু-কাশ্মীরের বিরুদ্ধে ঘূর্ণি উইকেটে খেলতে চায় বাংলা। কারণ, পরভেজ রসুল ছাড়া ওদের দলে আর তেমন ভাল স্পিনার নেই। কাশ্মীরীদের পেস বিভাগ ভাল বলেই তাদের গ্রিনটপ দেওয়ার পক্ষপাতী নয় বাংলা শিবির। সে জন্যই টার্নারের দাবি উঠেছে। সোমবার থেকে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে ম্যাচে অবশ্য গ্রিনটপেই খেলতে রাজি বাংলা। কারণ, তামিলনাড়ু টিমে ভাল পেসারের অভাব।
বুধবার নির্বাচকদের যে বৈঠকে ইরেশ সাক্সেনা ও শুভজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাদ দিয়ে ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় ও সন্দীপন দাসকে দলে আনা হয়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলার ক্যাপ্টেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল ও কোচ অশোক মলহোত্র। সিএবি সূত্রের খবর, তাঁদের কাছে নাকি প্রেসিডেন্ট জানতে চান, পরপর দু’টি হোম ম্যাচে কেন বাংলাকে ফলো অন করতে হল? লক্ষ্মী বোলিং ও ব্যাটিং নিয়ে সমস্যার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি আশ্বাসও দেন যে পরের ম্যাচ থেকে দল আরও ভাল ক্রিকেট খেলবে। তখনই নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে ঘূর্ণি উইকেটের অনুরোধ উঠে আসে। যদিও সরকারি ভাবে এ নিয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন।
ওপেনার অরিন্দম দাস ও রোহন বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে বড় পার্টনারশিপ (১২৯) খেলে দলকে হার থেকে বাঁচিয়ে এক পয়েন্ট এনে দেন বলে এ যাত্রা বেঁচে গেলেন। ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে না পারলে তাঁদের পরের ম্যাচেই বাদ দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। তবে তামিলনাড়ু ম্যাচে সম্ভবত দু’জনের একজনকে বসতে হবে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ৮৫ করা অভিমন্যু ঈশ্বরণকে ওপেন করতে পাঠানো হতে পারে এবং ফর্মে থাকা সন্দীপন দাস হয়তো মিডল অর্ডারে নামবেন। অন্য দিকে প্রথম এগারোয় তিন পেসারে মধ্যে হয়তো ঢুকবেন সৌরভ সরকার। সে ক্ষেত্রে প্রীতম চক্রবর্তী ও বীরপ্রতাপের মধ্যে কেউ প্রথম এগারোয় খেলবেন।
বুধবার দুপুর দেড়টায় মাঠ পরীক্ষা করার পর আম্পায়াররা জানিয়ে দেন, খেলা হবে না। ফলে মুম্বইকে তিন ও বাংলাকে এক পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল। ম্যাচ রেফারি সুনীল চতুর্বেদী ভিজে আউটফিল্ডের জন্য খেলা ঘোষণা করলেও কিউরেটর প্রবীর মুখোপাধ্যায় জানান, খারাপ আলোর জন্য খেলা হয়নি। জানা যায়, প্রবীরবাবু নাকি ম্যাচ রেফারিকে বলেছেন অন্তত দু’ঘন্টা রোদ না পেলে মাঠ শুকনো হওয়া সম্ভব নয়। তবে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সকালে মাত্র ০.১ মিলিমিটার বৃষ্টিতে (সূত্র স্টার স্পোর্টস) ইডেনে সারা দিন খেলা হওয়া সম্ভব হল না কেন? ইডেনের জল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে এর আগেও বারবার প্রশ্ন উঠেছে এ দিন আবার উঠল। প্রবীরবাবু অবশ্য তা মানতে রাজি নন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy