হেরেও নির্বিকার কোচ। রবিবার। -নিজস্ব চিত্র
প্রথমেই জানিয়ে রাখি, মরসুমের প্রথম ম্যাচেই আমার প্রিয় ইস্টবেঙ্গল হেরেছে বলে রে-রে করে সমালোচনায় নেমে পড়লাম, তা কিন্তু নয়। বরং এটা বলব, রবিবার ইস্টবেঙ্গল হারলেও লাল-হলুদ জার্সি গায়ে প্রথম খেলতে নামা কিষাণ বাগ, দীপক তির্কেদের খেলা দেখে আমার ভালই লেগেছে।
কিন্তু খটকা লেগেছে একটা জায়গাতেই। তা হল, ইস্টবেঙ্গল কোচ আর্মান্দো কোলাসোর কলকাতা লিগ নিয়ে মনোভাব। কাগজে পড়লাম মোহনবাগান টিডি বলেছেন, তাঁর কাছে জীবন-মৃত্যুর পরেই কলকাতা লিগ। তখন জুনিয়রদের তুলে আনতে কলকাতা লিগ নাকি একটা বড় মঞ্চ ইস্টবেঙ্গল কোচের কাছে। এটা ঠিক যে, জুনিয়রদের তুলে আনার জন্য কোলাসো আই লিগ বা ফেড কাপের ম্যাচকে কাজে লাগাতে পারবেন না। কিন্তু তার সঙ্গে এটাও ইস্টবেঙ্গল কোচকে মনে রাখতে হবে যে, তাঁর দলের ভিতটা হল গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা অগুণতি সমর্থক। তাঁরা যেমন হারতে চান না, তেমনই তাঁদের কাছে কলকাতা লিগ, আই লিগ, ফেড কাপ এমনকি কি প্রদর্শনী ম্যাচও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কোনও ট্রফিই তাঁরা হারাতে চান না। প্রিয় দলকে নিয়ে এতটাই তাঁদের আবেগ। পেশাদারিত্ব দেখানোর পাশাপাশি এই আবেগের মূল্য বোঝাটাও কিন্তু ইস্টবেঙ্গল কোচের অন্যতম দায়িত্ব।
আমি এটা বলছি না যে, সমর্থকদের হৃদয়ের ভাষা বুঝতে কোলাসো ব্যর্থ। বলতে চাইছি এটাই যে, রবিবার লিগের প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল হেরে যাওয়ায় ছুটির দিনটায় কোনও লাল-হলুদ সমর্থকের মন ভাল থাকার কথা নয়। জুনিয়রদের তুলে আনার পাশাপাশি এটাও কিন্তু কোলাসোকে বুঝতে হবে।
প্রায় দেড় মাস অনুশীলন হয়ে গিয়েছে। তার পরেও ইস্টবেঙ্গলের খেলা কিন্তু বেশ ছাড়াছাড়া লাগল প্রথম ম্যাচে। আর কলকাতা লিগে কোলাসোর জুনিয়রদের দেখে নেওয়ার কথা যদি ধরি, তা হলে এ দিন ইস্টবেঙ্গল যখন এক গোলে হারছে, তখন দীর্ঘকায় তরুণ ফরোয়ার্ড মানস সরকারকে নামাতে এত দেরি করলেন কেন কোচ?
কলকাতা লিগকে যদি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মঞ্চই করতে চান কোলাসো, তা হলে সেটাও যেন ঠিকঠাক ভাবে করেন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy