Advertisement
১৭ জুন ২০২৪

ফুটবলের স্বপ্ন নিয়েই বাড়ি ফিরল দাওল

স্কুলে পড়ার সময়ে ফুটবল খেলতেন দাওল। স্কুলের পাঠ চুকিয়ে বছর খানেক আগে কলেজে ঢোকার পরে ফুটবল খেলার সুযোগ হয়নি। সম্প্রতি আরও একটি পাঠক্রমে ভর্তি হওয়ার পরে পড়াশোনার ‘চাপ’ বাড়ে। সেই চাপ সরিয়ে ফুটবল খেলাকে বেছে নিতেই বাড়ি থেকে পালিয়ে কলকাতা চলে আসে দাওল। সেখান থেকে শিলিগুড়ি আসতে গিয়ে ভুল করে নেমে পড়ে আলিপুরদুয়ারে। গুজরাতের গাঁধী ধাম এলাকার বাসিন্দা বাণিজ্যে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র দাওল মেটার দাবি এমন-ই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:২৮
Share: Save:

স্কুলে পড়ার সময়ে ফুটবল খেলতেন দাওল। স্কুলের পাঠ চুকিয়ে বছর খানেক আগে কলেজে ঢোকার পরে ফুটবল খেলার সুযোগ হয়নি। সম্প্রতি আরও একটি পাঠক্রমে ভর্তি হওয়ার পরে পড়াশোনার ‘চাপ’ বাড়ে। সেই চাপ সরিয়ে ফুটবল খেলাকে বেছে নিতেই বাড়ি থেকে পালিয়ে কলকাতা চলে আসে দাওল। সেখান থেকে শিলিগুড়ি আসতে গিয়ে ভুল করে নেমে পড়ে আলিপুরদুয়ারে। গুজরাতের গাঁধী ধাম এলাকার বাসিন্দা বাণিজ্যে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র দাওল মেটার দাবি এমন-ই।

শুক্রবার সকালে আলিপুরদুয়ার স্টেশনে নেমে লাগোয়া একটি হোটেলে গিয়ে কাজ করতে চায় দাওল। তার পোশাক, চেহারা দেখে হোটেল মালিকের খটকা লাগায় পরিচয় জানতে চান তিনি। তখনই জানা যায় দাওলের বাবা রামজীভাই মেটা গুজরাত ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার। খবর পাঠানো হলে শনিবার গুজরাত থেকে তিনি ও অন্য পরিজনেরা আলিপুরদুয়ার এসে পৌঁছন। রামজীভাই বলেন “ফুটবল খেলের শখ রয়েছে দাওলের। সেই সঙ্গে পড়াশোনাতেও ভাল। তাই ওকে পড়াশোনার জন্য বাড়িতে হয়ত একটি চাপ দেওয়া হতো। এখন আর আমরা ওকে কোনও চাপ দেব না।”

গত ২২ এপ্রিল কলেজ যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় দাওল। বইয়ের ব্যাগে এক জোড়া জামা কাপড় নিয়ে ট্রেনে চেপে চলে আসে হাওড়া স্টেশনে। গুজরাতের সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ফুটবল দলের এই স্টাইকেরের পরিকল্পনা ছিল কলকাতায় একটি কাজ জুটিয়ে শুরু করবে ফুটবল খেলা। সেই মত আহমেদাবাদ ষ্টেশন থেকে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছোয়। দাওল জানায়, হাওড়া স্টেশনে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে কথা বলে শিলিগুড়িতে এসে খেলার মনস্থির করে। হাওড়া থেকে গুয়াহাটি ত্রিবান্দম এক্সপ্রেসে উঠে বসে সে। কিন্তু শিলিগুড়ি স্টেশনে না নেমে নিউ আলিপুরদুয়ার এসে পৌঁছয়। স্টেশন লাগোয়া একটি লজে গিয়ে বাসন ধোয়ার কাজ চায়। আর তাতেই সন্দেহ হয় লজের মালিক মহাদেব ঘোষের। তিনি বলেন, “কলেজে পড়া ছেলেটির মধ্যে শিশুসুলভ মনোভাব রয়েছে। রাতে ওকে নিজেদের বাড়িতেই রেখে ছিলাম।” টাউন ব্যবসায়ী সমিতির তরফে প্রসেনজিৎ দে জানান, “ওর বাবাকে বলেছি ফুটবল খেলতে দিতে।” দাওলের কথায়, “পড়তে ভাল লাগে, কিন্তু ফুটবল খেলতে আরও ভাল লাগে। চাপ বাড়ায় তাই বাড়ি থেকে পালিয়ে যাই। তবে দু’দিন পরেই মন খারাপ হয়। বাড়ি ফিরতে চাইছিলাম। আর এমন করব না।” দাওলের বাবার কথায়, “আলিপুরদুয়ারের মহাদেববাবু ও ব্যবসায়ীদের জন্য আমার ছেলেকে ফিরে পেলাম। ওঁদের ধন্যবাদ।”

পদ্ম-সম্মান

রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাত থেকে পদ্মভূষণ নিচ্ছেন
লিয়েন্ডার পেজ। শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে। ছবি: পিটিআই

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

alipurduar daol football
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE