Advertisement
E-Paper

ফেডারেশনের সিদ্ধান্তে সুভাষ-সুব্রতদের কোচিং ঘোর অনিশ্চয়তায়

দেশের তিন সেরা কোচ সুভাষ ভৌমিক, সুব্রত ভট্টাচার্য, সুখবিন্দর সিংহের কোচিং জীবনের উপর কি দাঁড়ি পড়তে চলেছে? ফেডারেশন যদি শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তে অনড় থাকে, তা হলে নতুন মরসুমে আই লিগের কোনও ক্লাবে আর কোচিং করানো সম্ভব নয় সুব্রত-সুভাষদের মতো লাইসেন্সহীন কোচেদের। শুধু তাই নয় টিডি বা দলের ম্যানেজার হিসাবে কোনও ক্লাবে নাম লিখিয়ে যে কোচিং করাবেন তারও জো থাকছে না আর তাঁদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৪ ০৩:২৪

দেশের তিন সেরা কোচ সুভাষ ভৌমিক, সুব্রত ভট্টাচার্য, সুখবিন্দর সিংহের কোচিং জীবনের উপর কি দাঁড়ি পড়তে চলেছে?

ফেডারেশন যদি শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তে অনড় থাকে, তা হলে নতুন মরসুমে আই লিগের কোনও ক্লাবে আর কোচিং করানো সম্ভব নয় সুব্রত-সুভাষদের মতো লাইসেন্সহীন কোচেদের। শুধু তাই নয় টিডি বা দলের ম্যানেজার হিসাবে কোনও ক্লাবে নাম লিখিয়ে যে কোচিং করাবেন তারও জো থাকছে না আর তাঁদের। আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর শুক্রবার বললেন, “লাইসেন্স না থাকলে টিডি এবং কোচ হিসাবে পরের মরসুম থেকে মাঠে নামা যাবে না। এএফসি-র নিয়মে ম্যানেজার হয়েও আর কোচিং করানো সম্ভব নয়। টেকনিক্যাল এরিয়ায় দাঁড়িয়ে কোনও নির্দেশও দেওয়া যাবে না। ফেডারেশনের নজরদারি থাকবে।”

গত বছরই সুভাষ-সুব্রতদের টিডি হিসাবে মাঠে নেমে কোচিং করানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চেয়েছিল ফেডারেশন। কিন্তু ক্লাব জোটের পক্ষ থেকে তাতে আপত্তি তোলা হয়। কারণ মরসুমের মাঝপথে নতুন নিয়ম জারি হলে কয়েকটি ক্লাব সমস্যায় পড়ত। তখনই ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলে দেওয়া হয়, পরের বার থেকে কিন্তু এএফসি-র নিয়ম মানতে হবে। তাতে রাজি হয়েছিল জোটের সব ক্লাব।

কিন্তু সুভাষ-সুব্রত-সুখবিন্দররা বিদেশি কোচেদের তুলনায় ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে এতটাই বেশি সফল যে, ক্লাবগুলি তাঁদের অন্য ভাবে ব্যবহার করতে চাইছে। তিন জনেরই আই লিগ, ফেড কাপ-সহ দেশের সেরা টুর্নামেন্টগুলো জেতার অভিজ্ঞতা আছে। তাই কলকাতার অন্তত দুটি ক্লাব পরের বার ম্যানেজার হিসাবে সুভাষ-সুব্রতকে দলের সঙ্গে রাখার কথা ভাবছিল। ফেডারেশনের নতুন নির্দেশিকায় সেটাও আর সম্ভব হবে না। আই লিগ সিইও বলছিলেন, “কোচ বা টিডিরা-ই তো মাঠে নেমে কোচিং করান। ম্যানেজাররা কোচিং করান না। এএফসি-র এটাই নিয়ম। তাদের ম্যাচের সময় টেকনিক্যাল এরিয়ায় দাঁড়ানোর নিয়ম নেই। সে রকম কিছু হলে ক্লাবগুলোকে যা বলার বলব আমরা।”

টিডি বা কোচ হিসাবে মাঠে নামা যাবে না এই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিলেন সুভাষ-সুব্রতরা। কিন্তু ম্যানেজার হওয়াও যাবে না শুনে বেঙ্গালুরু থেকে চার্চিল টিডি সুভাষ ভৌমিক বিস্মিত। “আগে কাগজপত্র হাতে পাই তার পর যা করার করব। ফিফার নিয়মে দশ দিন ম্যানেজাররা কোচিং করাতে পারেন। ফিফার ‘লেবার রুল’ আমারও পড়া। বিশ্বের সর্বত্র এক রকম নিয়ম আর ভারতে আলাদা, এটা হয় না কি? এটা আমার রুটি-রুজির প্রশ্ন।”

ইউনাইটেড টিডি সুব্রত ভট্টাচার্যের শনিবার রাংদাজিদ ম্যাচ খেলতে শিলং উড়ে যাওয়ার কথা। র্যান্টিদের আটকানোর অঙ্ক কষার মাঝে ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের কথা শুনে বিরক্ত গলায় বললেন, “আরে, আমি তো সেই ২০১০ থেকে ‘বি’ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে বসে আছি। কিছুই হয়নি।” ইউনাইটেডের সঙ্গে ম্যানেজার হিসাবে তিনি থাকবেন সেটা মোটামুটি ঠিক হয়ে আছে। এখন নতুন নিয়ম শুনে বললেন, “কারা এ সব করছে। কোভারম্যান্স, রব বান-রা? ওরা তো বাংলাদেশকে হারাতে পারে না। ঠিক আছে, আমাদের অন্য কোনও ট্রেনিং দিয়ে বা সেমিনার করে কোচিং করানোর ব্যবস্থা হোক। একেবারে বাদ দিয়ে দেবে কেন?”

subhas bhowmik subrata bhattacharyay ifa
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy