সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
লোকেশ রাহুল-সঞ্জীব গোয়েন্কা বিতর্ক বেড়েই চলেছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হারের পরে দলের অধিনায়ক রাহুলকে ভর্ৎসনা করেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের মালিক গোয়েন্কা। সেই ঘটনায় মুখ খুললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কার পক্ষ নিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট?
বেঙ্গালুরুর একটি অনুষ্ঠানে সৌরভকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। মুখ খুললেও কারও পক্ষ নেননি সৌরভ। তিনি বলেন, “টেলিভিশনের ভিডিয়ো দেখে এই বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আমি জানি না সঞ্জীব রাহুলকে কী বলছিল। তাই, এই বিষয়টা এখানেই ছেড়ে দেওয়া উচিত।” সৌরভ এখন আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি আইএসএলে এটিকে দলে গোয়েন্কার সঙ্গে ছিলেন সৌরভ। তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুব ভাল। সেই কারণেই হয়তো এই বিষয়ে কোনও মম্তব্য করতে চাইলেন না দাদা।
বুধবার লখনউয়ের ১৬৫ রানের লক্ষ্য ৯.৪ ওভারে পার করে হায়দরাবাদ। ৬২ বল বাকি থাকতে এই হার ভাল ভাবে নেননি গোয়েন্কা। তিনি মাঠেই রাহুলকে ভর্ৎসনা করেন। সেই ঘটনায় সমালোচিত গোয়েন্কা। অনেকেই মনে করছেন যে, তিনি রাহুলের সঙ্গে মাঠের মধ্যে এই ভাবে কথা না বললেও পারতেন। রাহুলের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারকে অসম্মান করা ঠিক হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে। রাহুল দায়িত্ব ছাড়তে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
সৌরভ পক্ষ না নিলেও রাহুলের পাশে দাঁড়িয়েছেন মহম্মদ শামি। বাংলার শিল্পপতি গোয়েন্কাকে একহাত নিয়েছেন বাংলার পেসার। শামির মতে, গোয়েন্কার আরও ভাল ভাবে বিষয়টা সামলানো উচিত ছিল। একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শামি বলেন, “খেলোয়াড়দের সম্মান করা উচিত। আপনি দলের মালিক। আপনিও সম্মাননীয় ব্যক্তি। অনেকে আপনাকে দেখে শেখার চেষ্টা করে। তাই এই ধরনের ঘটনা যদি ক্যামেরার সামনে ঘটে তা হলে সেটা ঠিক নয়। লজ্জা হওয়া উচিত।”
বাংলা তথা ভারতীয় পেসারের মতে, গোয়েন্কার যদি রাহুলকে কিছু বলার থাকত তা হলে সেটা তিনি সাজঘরে বলতে পারতেন। এ ভাবে মাঠেই ভর্ৎসনা করা উচিত হয়নি। শামি বলেন, “কিছু বলতে হলে অন্য জায়গায় বলা যেতে পারত। সাজঘরে বা হোটেলেও রাহুলের সঙ্গে উনি কথা বলতে পারতেন। মাঠেই বলতে হবে, তার কোনও মানে নেই।”
ক্রিকেট কতটা অনিশ্চয়তার খেলা ও সে ক্ষেত্রে অধিনায়ককে কতটা চাপ সহ্য করতে হয় সেই প্রসঙ্গেও টেনে এনেছেন শামি। তিনি বলেন, “রাহুল দলের অধিনায়ক। ক্রিকেট দলগত খেলা। যদি ওর পরিকল্পনা কাজে না লাগে সেটা একা ওর দোষ নয়। ক্রিকেটে যা কিছু হতে পারে। কিন্তু প্রত্যেককে সম্মান দেওয়া উচিত। এ ভাবে কথা বলা ঠিক নয়। এই ঘটনা থেকে ভুল বার্তা যাচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy