ভারতীয় ক্রিকেটের সব রথী-মহারথীরা যখন অবিলম্বে ফ্লেচার হঠানোয় সরব, তখন আক্রান্ত ভারতীয় কোচের পাশে দাঁড়াচ্ছেন রবি শাস্ত্রী।
বুধবার ঢাকায় শাস্ত্রী বলছিলেন, “কেমন যেন মনে হচ্ছে ধোনির ভাগ্যে আর একটা বিশ্বকাপ নাচছে। আর সেটা যদি ঘটে, ফ্লেচার নিয়ে আবার আমরা ডিগবাজি দেখব।” বিশ্বকাপের আগে ফ্লেচার হঠাও অভিযানে তিনি যে নেই, এ দিন পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন।
“খুঁটিয়ে যদি দেখেন এই তরুণ, আনকোরা টিম নিয়ে আমরা দু’টো সফরেই দু’টো টেস্ট ম্যাচ প্রায় জিতে ফেলেছিলাম। সাউথ আফ্রিকাকে হারানো অল্পের জন্য ভেস্তে গেল। আর নিউজিল্যান্ডে ম্যাকালাম একটা অলৌকিক ইনিংস খেলে ম্যাচ বাঁচিয়ে দিল। এই টিম নিয়ে বিদেশে এত ভাল খেলাটা তো আমার মনে হয় কোচের যথেষ্ট কৃতিত্ব। আপনাকে মাথায় রাখতে হবে ফ্লেচার কত কঠিন কঠিন সফরের মধ্যে পড়েছেন। তুলনায় গ্যারি কার্স্টেনকে তো আমি বলব লাকি। সাউথ আফ্রিকায় একবার যাওয়া ছাড়া ও বেশির ভাগ হোম সিরিজ পেয়েছে।”
শাস্ত্রী মনে করেন, আসল সমস্যা হল ভাল একজন ফাস্ট বোলারের টিমে অভাব। আর বোলিং ইউনিটের সব সময় ফিট না থাকা। তাঁর কথায়, “কাঠগড়ায় যদি কাউকে তুলতেই হয়, তা হলে বোলিং কোচ জো ডসকে তোলা উচিত যে, তোমার পেসাররা কন্ডিশনে নেই কেন?” ফ্লেচারের বিরুদ্ধে একটা সমালোচনা অবশ্য তিনি মেনে নিচ্ছেন যে, ভারতীয় কোচের অবশ্যই মন দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট দেখা উচিত। যেখান থেকে তিনি উপযুক্ত বিকল্পের খোঁজ পেতে পারেন।
কিন্তু শাস্ত্রীয় ভাবনা অনুযায়ী না ঘটে যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অসম্মানজনক ফল করে ভারত? তখন কি ‘ফ্লেচার হঠাও, ভারতীয় ক্রিকেট বাঁচাও’ ধ্বনি আরও ঢেউ হয়ে আছড়ে পড়বে না? শাস্ত্রী মনে করেন, “না। এখন বিশ্বকাপের আগে যোগ্য কাউকে পাওয়া যাবে না। সবাই কোথাও না কোথাও জড়িয়ে। এমনকী অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারকেও ইসিবি অন্য দায়িত্বে বসিয়ে দিয়েছে। কাজেই গাঁকগাঁক করে চেঁচালেই তো হল না। লোক কোথায় ওর জায়গা নেওয়ার? যদি বদলাতেই চাও বিশ্বকাপের পর বদলাও।”
শাস্ত্রীকে বলা হয় ভারতীয় ক্রিকেটের কণ্ঠস্বর। অনেকে মনে করেন ভারতীয় সর্বময় ক্রিকেট কর্তারও কণ্ঠস্বর। সে ডিআরএস হোক কি ধোনির অধিনায়কত্ব। ফ্লেচার-ইস্যুও কি সে ভাবে পড়তে হবে যে সেটা আসলে নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনেরই মনের কথা? সময় বলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy