Advertisement
E-Paper

সচিন আনছেন মশাল

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের চব্বিশ ঘণ্টাও বাকি নেই। অথচ ‘ভারতের অলিম্পিক’ জাতীয় গেমস সংগঠনের জন্য পুরো প্রস্তুত নয় কেরল। বিজেন্দ্র সিংহ, সাইনা নেহওয়াল, সুশীলকুমাররা না আসায় গেমসের জৌলুস কিছু কমেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:২৯

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের চব্বিশ ঘণ্টাও বাকি নেই। অথচ ‘ভারতের অলিম্পিক’ জাতীয় গেমস সংগঠনের জন্য পুরো প্রস্তুত নয় কেরল।

বিজেন্দ্র সিংহ, সাইনা নেহওয়াল, সুশীলকুমাররা না আসায় গেমসের জৌলুস কিছু কমেছে। তার উপর গেমস ভিলেজে পৌঁছে ক্রীড়াবিদরা নানা সমস্যায় পড়েছেন। কারও ক্ষোভ বাথরুমে জল নেই। কারও ক্ষোভ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ে। কারও ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু খাট। সাতটি জায়গায় খেলা হবে। তিরুবনন্তপুরমে সবচেয়ে বেশি ইভেন্ট হচ্ছে বলে সেখানেই তৈরি হয়েছে গেমস ভিলেজ। বাকি ছয় জায়গায় খেলোয়াড়দের রাখা হয়েছে হোটেলে বা গেস্ট হাউসে। গেমসের জৌলুস বাড়াতে ক্রিকেট আইকন সচিন তেন্ডুলকরকে টুর্নামেন্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর করা হয়েছে। সচিনের বয়ে আনা মশাল নিয়েই মূল স্টেডিয়ামে ‘গেমসের মশাল’ জ্বালাবেন ভারতের সর্বকালের দুই সেরা অ্যাথলিট পি টি ঊষা এবং অঞ্জু ববি জর্জ। প্রায় পাঁচ হাজার শিল্পী অংশ নেবেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। মার্চপাস্টে বাংলার পতাকা বহন করবেন অলিম্পিয়ান জয়দীপ কর্মকার।

বাংলা এ বার রাজ্যের প্রায় সব তারকা ক্রীড়াবিদকেই নিয়ে গিয়েছে পদকসংখ্যা বাড়ানোর জন্য। টেবল টেনিসের মৌমা দাস, পৌলমী ঘটক থেকে শুরু করে অ্যাথলিট সুস্মিতা সিংহ রায়, স্বপ্না বর্মন, রহমতুল্লারা গিয়েছেন। তারকা পাওয়ার জন্য অন্য রাজ্যের মতোই পদক জিতলে টাকার টোপ দেওয়া হয়েছে। গতবার ফুটবলে বাংলার ছেলেরা সোনা জিতেছিল। কোঝিকোড়ে এ বার রজত ঘোষ দস্তিদারের ছেলেরা কী করে সেটাই দেখার। সুজাতা করের কোচিং-এ মেয়ে ফুটবল টিম সোনার আশা করছে না। ব্রোঞ্জ পেলেই তাঁরা খুশি। মেয়েদের রাখা হয়েছে ত্রিসুরের এক পুলিশ ব্যারাকে। সেখানে শুরুতে নানা সমস্যা হলেও এখন সব ঠিকঠাক। বাংলা পদক পেতে পারে জিমন্যাস্টিক্স, সাঁতার এবং শুটিংয়ে। যদিও দেশের দুই সেরা শ্যুটার অলিম্পিক পদকজয়ী গগন নারাং এবং বিজয় কুমার এসেছেন গেমসের সোনার জন্য।

গতবার বাংলা পদক তালিকায় ১৯ নম্বরে ছিল। কেরল থেকে ফোনে বিওএ প্রেসিডেন্ট অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আশা করছি বাংলা পদক তালিকায় এ বার অনেক উপরে থাকবে।” বাংলার মতো বিভিন্ন রাজ্য সরকারই ক্রীড়াবিদদের জন্য বিশাল আর্থিক পুরস্কারের টোপ দিয়ে রেখেছে। আর সেটাই চিন্তা বাড়িয়েছে সংগঠকদের। কারণ এই প্রলোভনেই খেলোয়াড়রা ডোপিং করতে পারেন বলে আশঙ্কা সংগঠকদের।

national games sachin torch
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy