Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
আনন্দবাজার এক্সক্লুসিভ

সচিন বইয়ে একেবারেই ঠিক বলেনি তবু দেখা হলে হ্যান্ডশেক করব

গাব্বার ঐতিহ্য, মেম্বার্স লাঞ্চ রুমে প্রতি দিন এক জন করে বিখ্যাত ক্রিকেট তারকার সঙ্গে চ্যাট শো-র ব্যবস্থা রাখা। বুধবারের বিশেষ অতিথি ছিলেন তিনি। অ্যাঙ্কর একেবারে শেষে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট সম্প্রদায়ের সামনে প্রশ্নটা তুলেই ফেললেন, সচিনের বইয়ে আপনার সম্পর্কে নানা অপ্রীতিকর মন্তব্য রয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট সম্পর্কে আপনার কী ধারণা? তিনি শোনামাত্র প্রশ্নটা ডাক করে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ে নানান বক্তব্যে চলে গেলেন। যত বিক্রি বাড়ছে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে সচিনের আত্মজীবনীর, তত কি আরও উত্যক্ত বোধ করছেন গ্রেগরি স্টিভন চ্যাপেল? ব্রিসবেনে নিজের নতুন অফিস ন্যাশনাল ক্রিকেট সেন্টার। যাকে বলা যেতে পারে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের এনসিএ, সেখানে বসে ভারতীয় কোনও কাগজে এই প্রথম সচিনের বিতর্কিত বই নিয়ে মুখ খুললেন গুরু গ্রেগ...

গৌতম ভট্টাচার্য
ব্রিসবেন শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:২৪
Share: Save:

গাব্বার ঐতিহ্য, মেম্বার্স লাঞ্চ রুমে প্রতি দিন এক জন করে বিখ্যাত ক্রিকেট তারকার সঙ্গে চ্যাট শো-র ব্যবস্থা রাখা। বুধবারের বিশেষ অতিথি ছিলেন তিনি। অ্যাঙ্কর একেবারে শেষে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট সম্প্রদায়ের সামনে প্রশ্নটা তুলেই ফেললেন, সচিনের বইয়ে আপনার সম্পর্কে নানা অপ্রীতিকর মন্তব্য রয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট সম্পর্কে আপনার কী ধারণা? তিনি শোনামাত্র প্রশ্নটা ডাক করে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ে নানান বক্তব্যে চলে গেলেন। যত বিক্রি বাড়ছে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে সচিনের আত্মজীবনীর, তত কি আরও উত্যক্ত বোধ করছেন গ্রেগরি স্টিভন চ্যাপেল? ব্রিসবেনে নিজের নতুন অফিস ন্যাশনাল ক্রিকেট সেন্টার। যাকে বলা যেতে পারে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের এনসিএ, সেখানে বসে ভারতীয় কোনও কাগজে এই প্রথম সচিনের বিতর্কিত বই নিয়ে মুখ খুললেন গুরু গ্রেগ...

প্রশ্ন: ট্যাক্সিতে আসতে আসতে দেখলাম, কোনায় লেখা গ্রেগ চ্যাপেল স্ট্রিট। আপনার নামে অস্ট্রেলিয়ার কোনও শহরে রাস্তা আছে বলে তো জানতাম না?

গ্রেগ: এটা হয়েছে গত বছর নভেম্বর মাসে। এক বছরেরও বেশি হতে চলল। হঠাত্‌ করে ওরা আমাকে বলল একটা ছোট ফাংশন করে রাস্তার নামকরণ করবে।

প্র: ব্রিসবেনে পার্কিং ফিজ নাকি ভীষণ বেশি। আপনার নামে রাস্তায় কি আপনার ফ্রি পার্কিং?

গ্রেগ: (হাসি) জানি না। ওখানে তো কখনও গাড়ি পার্ক করিনি।

প্র: নামে রাস্তা হওয়াটা যদি গর্বের ব্যাপার হয়, প্রবাদপ্রতিম ক্রিকেটারের বইয়ে আপনার সম্পর্কে তীব্র সমালোচনা, এটা নিশ্চয়ই সুখকর নয়?

গ্রেগ: সচিনের বইটা নিয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না। একটা সময় খুব উত্তেজিত ছিলাম। নানান রাস্তাও (আইনি রাস্তা মনে হল তবে মুখে কিছু খোলসা করেননি) ভেবে রেখেছিলাম। তার পর ভাবলাম থাক। কী লাভ? আমি যা-ই বলি না কেন ভারতীয় জনতা আমার বক্তব্য বিশ্বাস করবে না। আর এখানে যারা আমাকে জানে, চেনে তাদের আমাকে বিবৃতি দিয়ে বোঝাতে হবে না সত্যিটা কী! সুতরাং কোনও লাভ নেই।

প্র: তাই?

গ্রেগ: হ্যাঁ, স্রেফ আর এক প্রস্ত কাদা ছোড়াছুড়ি হবে। আমি কিছু বলব তার উত্তরে আবার সচিন কিছু বলবে। আপনাদের মজা। রোজ আপনারা নতুন লেখার বিষয় পাবেন।

প্র: বিষয়টা নিয়ে রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে আপনার কথা হয়েছে শুনেছি। সত্যি?

গ্রেগ: থাক না।


গুরু গ্রেগের বয়ানে... সবিস্তার জানতে ক্লিক করুন।

প্র: আপনার হয়ে বিখ্যাত ক্রিকেটার ম্যালকম নক্সের একটা প্রতিবেদন বেরিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান কাগজে। যার হেডলাইন— সচিন আপনি কি ভাই ক্রিকেট ইতিহাস নতুন করে লিখছেন? নক্স নাকি আপনার ভারতীয় কোচ থাকাকালীন দৈনিক ডায়েরি পড়েছেন। তাতে কোথাও সচিনের বাড়ি বিশ্বকাপের আগে যাওয়ার উল্লেখ নেই। ডায়েরি অনুযায়ী আপনি গিয়েছিলেন মে মাসের প্রথম সপ্তাহে। সালটা ছিল ২০০৬। বিশ্বকাপের এক বছর আগে।

গ্রেগ: নেই তো। ম্যালকম আমার বই ‘ফিয়ার্স ফোকাস’-এর জন্য অনেক কিছু গুছিয়ে দিয়েছিল। তখন এই ডায়েরিটা নিয়ে ও কাজ করে। ও যে লেখাটা লিখছে তা-ও আমি জানতাম না। আগের দিন রাত দশটায় ফোন করে আমাকে বলল যে, কাল পড়ে দেখো।

প্র: আপনি যা বলতে চাইছেন তার অর্থ দাঁড়ায়, সচিন মিথ্যে বলেছেন বা বইয়ে ভুল লেখা হয়েছে।

গ্রেগ: আমি এমন একটা সময়ে সচিনের বাড়ি যাই যখন ও শারীরিক ভাবে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তা-ও আমাকে যে ও ইনভাইট করেছিল, এমন নয়। জন গ্লস্টার তখন আমাদের ফিজিও। ও বলল সচিনকে দেখতে যাচ্ছে। আমি তখন বলি আমিও যাব। সৌজন্য সফর হিসেবে। এত বড় একটা ক্রিকেটার। সে সুস্থ হয়ে ওঠেনি পুরোপুরি। তার সঙ্গে কথা বলা দরকার। সঙ্গে কিরণ মোরেকেও নিয়ে যাই। আপনারা কিরণকে জিজ্ঞেস করছেন না কেন আমাদের মধ্যে কী কথাবার্তা হয়েছিল?

প্র: আমি ফোন করেছিলাম। কিরণ কল-ব্যাক করবেন বলে আর করেননি।

গ্রেগ: কেউ বিতর্কে ঢুকতে চায় না। তেন্ডুলকর ভারতবর্ষে এমন এক বিশাল পর্বতমালা যে কারও কী সাধ্য একটাও ব্যাঁকা কথা বলে! একই সঙ্গে আমি বলি, সচিনের সঙ্গে আমি কিন্তু বেশ ভাল সময় কাটিয়েছি। ওকে আমার কোচিং জীবনের প্রথম দিকে বেশ উত্‌সাহিত মনে হয়েছিল। ভারতীয় ক্রিকেটের যে সংস্কার আমি করতে চেয়েছিলাম, সেটার জন্য সবার আগে সচিনের সাহায্য আমার দরকার ছিল।

প্র: শুনেছি বারবার আপনি সচিনকে বলেছেন, তোমাকে আমার পরিবর্তনের প্রকল্পের সারথি হতে হবে। বিশ্বের পয়লা নম্বর টিম হওয়ার অভিযানে তোমাকে আমার সবার আগে লাগবে। এটা থেকে কোনও কমিউনিকেশন গ্যাপ তৈরি হয়নি তো যে আপনি ক্যাপ্টেন্সি করতে বলছেন?

গ্রেগ: হওয়া উচিত নয়। আর বিশ্বকাপে ক্যাপ্টেন্সি করতে বলাটা কোথা থেকে এল? কাউকে অসুস্থ শরীরে আপনি দেখতে যাচ্ছেন। যে রিহ্যাবের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাকে কি আপনি ক্যাপ্টেন্সি অফার করবেন?

প্র: হতেই তো পারে যে সেই দেখতে যাওয়া ছাড়াও সচিনের বাড়িতে আপনি আরও গেছেন? বা একান্তে কথা বলেছেন?

গ্রেগ: না, যাইনি। আর বৈঠক করেছি বলেও তো মনে পড়ে না। সচিনকে নিয়ে আমার একটাই মতবিরোধ হয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে আমি চেয়েছিলাম ও চার নম্বরে খেলুক। রাহুলও তাই চেয়েছিল। আমাদের মনে হয়েছিল ওখানকার স্লো উইকেটে ম্যাচের নিষ্পত্তি হবে ১৫-৪০ ওভারে। ওই সময়টাতেই সবচেয়ে দক্ষ ব্যাটসম্যান লাগবে। তাই ওকে নামাতে চেয়েছিলাম এটা বলেই যে প্রোজেক্টটা শুধু ওয়ার্ল্ড কাপ স্পেসিফিক। বিশ্বকাপের পরে আবার তুমি ওপেনার। সচিন এটা কিছুতেই মানতে পারেনি, যদিও আমাদের কথা শুনে ও চারেই খেলছিল।

প্র: এ ছাড়া আর কোনও মতবিরোধ?

গ্রেগ: না মতবিরোধ নয়— তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় একবার ওকে আর সহবাগকে ডেকে আমি খুব কড়া করে ধমকে ছিলাম। বলেছিলাম, টিমের জন্য কিছু করো-টরো। এ ভাবে লড়াই ছেড়ে দিলে চলবে? ওরা ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর রাহুল আমাকে বলে গ্রেগ, এ কী করলে? ওদের সঙ্গে এখানে কেউ এ ভাবে কথা বলে না।

প্র: সে দিনই কি আপনাদের দু’জনের সম্পর্কটা ভেঙে গিয়েছিল?

গ্রেগ: হয়তো। আমাদের দেশে লোকে যেমন সোজাসুজি কথা বলে, সেটা ইন্ডিয়ায় তারকারা নিতে অভ্যস্ত নয়। কিন্তু আমাদের কালচারটাই এই। টিম আগে। ব্যক্তি পরে। এই যে স্টিভ স্মিথকে ক্যাপ্টেন বাছল নির্বাচকেরা, আমি তো ভাবতেই পারিনি। দারুণ করেছে। অনেকে বলবে হাডিন তো অসন্তুষ্ট হবে। হ্যারিস দুঃখ পাবে। পাবে সত্যি কথা। কিন্তু আমি ওদের দুঃখ নিয়ে ভাবব, না অস্ট্রেলিয়ার কীসে ভাল হবে সেটা চিন্তা করব?

প্র: কিন্তু শুধু তো সচিন নন। টিমে অনেকেই আপনার সম্পর্কে ক্ষুদ্ধ ছিল।

গ্রেগ: বাকিদের নিয়ে আমার কোনও অনুতাপ নেই। সচিনের সঙ্গে আমি ওদের ব্যাপারটা গোলাতে চাই না। আপনাকে মনে রাখতে হবে ইন্ডিয়ান বোর্ড থেকে আমার ব্রিফটা কী ছিল।

আমাকে বলা হয়েছিল টিমটা দারুণ খেললেও ইদানীং একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে গেছে। এদের এক নম্বরে তুলে আনতে হবে। এ বার তুলে আনতে গিয়ে কতগুলো কড়া সিদ্ধান্ত নিতেই হত। কারণ বেশির ভাগেরই বাড়তি খাটনির ইচ্ছেটা চলে গিয়েছিল। জাহিরকে এক সময় দেখি নোয়াপাতি ভুঁড়ি নিয়ে ঘুরছে। আমি তখন ওকে বলি, এখনও কত কম বয়স তোমার। তুমি আমাদের এক নম্বর পেসার। যাও, চেহারাটা ঠিক করে ফেরো। এর পর যখন ও কামব্যাক করল তখন উন্নতি শুধু করেইনি, মেদ ঝরিয়ে এসেছে। সৌরভ বাদ পড়ে খেটেছিল। ও যখন সাউথ আফ্রিকায় ফেরে, অনেক ফিট লেগেছিল আমার। শুধু বীরুকে বোঝাতে পারিনি। ডারবান টেস্টে ও যখন সেকেন্ড বলেই আউট হয়ে ফেরে, এক নামী ক্রিকেটার তোয়ালে পরে বাথরুমে ছিল। সেকেন্ড বলে বীরু ওই ভাবে আউট হয়েছিল শুনে সে বাথরুম থেকে এসে কয়েকটা গালাগালি করেছিল, যা আমি ওর মুখে আর কখনও শুনিনি।

আমি বীরুকে বলেছিলাম, তোমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। নইলে তিরিশের কোঠায় গিয়ে তুমি কিন্তু আটকে যাবে। ও পাত্তা দেয়নি। বলেছিল, আমার তো ঠিকই চলছে। রান তো আসছে। আমি তখন বলি, আজকের কথা ভেবো না। পাঁচ বছর পরের কথা ভাবো। যখন তোমার ফিটনেস কমে আসবে। তার জন্য এখন থেকে খাটো। ভুল যে বলিনি, আজ তো প্রমাণ হচ্ছে। টিমে কোথায় বীরু? সচিনকে আমাকে কোনও দিন কিছু বলতে হয়নি। অনবদ্য ওর ওয়ার্ক এথিক্স। আর বলতে হয়নি রাহুল, কুম্বলে আর ধোনিকে। কুম্বলেকে আমি খুব রেট করি। কলম্বোয় একবার টিমকে উদ্দেশ্য করে ও একটা স্পিচ দিয়েছিল যা আজও ভুলিনি। কুম্বলে-রাহুলদের বোঝাতে পেরেছিলাম কী দিশায় আমরা এগোবার চেষ্টা করছি। আর কেন সেটা না করলেই নয়।

আমরা চেয়েছিলাম কমবয়সিদের অগ্রাধিকার দিতে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ছেলে তুলে আনতে যাদের বড় শহরের তুলনায় খিদে বেশি আছে। কত নতুন নতুন ছেলে আমাদের সময় খেলেছে বলুন তো! এই যে ইশান্ত শর্মা। ও নেটে বল করতে এসেছিল। আমার দেখেই চোখে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে শুধু ছেলেটার ওপর নজর রাখতেই বলিনি, সাউথ আফ্রিকা থেকে ইরফান পাঠানকে যখন ফিরে যেতে হল, বলেছিলাম ওকে যেন দেওয়া হয়। দিলীপ বেঙ্গসরকর বলল, ধুর ও পারবে না। ম্যাচিওর্ড হতে দেরি আছে। অবাক হয়ে দেখলাম, আমি চলে যাওয়ার এক মাসের মধ্যে সে-ই কিনা বাংলাদেশ ট্যুরে ঢুকে গেল। নিল সেই বেঙ্গসরকরেরই কমিটি।

প্র: তখন তো আপনিই একচ্ছত্র ছিলেন। আপনি চেয়ে পাননি, হতে পারে?

গ্রেগ: অফকোর্স হতে পারে। আর তাই হয়েওছে। আমি প্রত্যেকটা ব্যাপারে এগিয়েছি আমার অধিনায়ককে ওয়াকিবহাল রেখে। একটা কিছু এমন হয়নি যেখানে রাহুল অন্ধকারে ছিল। সিলেক্টরদের জানাতে হয়েছে। বোর্ডকে বলতে হয়েছে। সব কিছুর জন্য আমি একা দায়ী কেন হতে যাব? আমার দায় তো আমি নিচ্ছিই। কিন্তু এমন তো নয় যে, আর কারও সায় ছিল না।

প্র: বই সংক্রান্ত সচিন-পর্ব এখানেই সমাপ্ত, এটা ধরে নেওয়া যায় তো?

গ্রেগ: হ্যাঁ আমি প্রথম ক’দিন খুবই উত্তেজিত ছিলাম। কিন্তু আর আমি বিবৃতি-যুদ্ধ চাই না। যতই আপসেট হই না কেন, দেখা হলে সচিনের জন্য হ্যান্ডশেকের হাত বাড়িয়ে দিতেও আমার কোনও প্রবলেম নেই।

প্র: সচিনের কেরিয়ার শেষ হওয়ার পর এখন কী মনে হচ্ছে? সর্বকালের সেরাদের মধ্যে কোথায় থাকবেন সচিন?

গ্রেগ: উঁহু...হুম।

প্র: ডনের পরে?

গ্রেগ: না, প্রথম দশে থাকবে।

প্র: কী বলছেন! অর্ডারটা বলুন। প্রথমে ডন, তার পর?

গ্রেগ: ডন, সোবার্স, পোলক, ভিভ, লারা, পন্টিং, হার্ভি, সচিন।

প্র: কী বলছেন! লারা-পন্টিংয়ের পর সচিন?

গ্রেগ: যদি প্রথম দশ-বারো বছরের সচিনকে ধরি, তা হলে নয়। তখন ওকে আমি ডন আর সোবার্সের পর রাখব। কিন্তু তার পর থেকে ও ধরে রাখতে পারেনি।

প্র: কী বলছেন! ২০০৮-’১১ বিশ্বকাপ, এই সময়টা ধরবেন না?

গ্রেগ: সব ধরেই তো বলছি। আমার কাছে ওর সবচেয়ে উচ্চাঙ্গের ব্যাটিং প্রথম দশ-বারো বছর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

greg chappell gautam bhattacharya sachin
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE