বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করা চাই। ক্রিকেট কিংবদন্তি সেটাই বলে গেলেন দেশের হকি তারকাদের। শুভেচ্ছা জানিয়ে কাটলেন কেকও। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই
এ রকম একটা চমক অপেক্ষা করবে ভাবতে পারেননি ভারতীয় হকি টিমের খেলোয়াড়রা। চলতি মাসের শেষেই নেদারল্যান্ডসে বিশ্বকাপ হকির আসর বসছে। জোরকদমে তার প্রস্তুতির মাঝেই যে মঙ্গলবার স্বয়ং সচিন তেন্ডুলকর তাঁদের উৎসাহ দিতে আসবেন কে জানত!
আবসরপ্রাপ্ত কিংবদন্তি ভারতীয় ক্রিকেটারের দেখা করার ব্যাপারটা জানতেন শুধু সর্দার সিংহ। ভারতীয় হকি টিমের ক্যাপ্টেন। তাঁর অনুরোধেই সচিন প্রায় দু’ঘণ্টা হকি টিমের সঙ্গে কাটান। সর্দার বলেন, “সচিন পাজির বিপুল অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম ক’দিন আগে। দিন দশেক আগে ওঁর আসার ব্যাপারটা জানলেও কোচ আর ডিরেক্টর ছাড়া টিমের কাউকে জানাইনি। অবাক করে দিতে চেয়েছিলাম সতীর্থদের। সচিন আমাদের দিনটা ভরিয়ে দিলেন।”
কিন্তু কী বললেন মাস্টার-ব্লাস্টার?
সর্দার বলেন, “সচিন পাজি আমাদের শুভেচ্ছা জানান। একটা ম্যাচে নামার আগে কী ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে সে ব্যাপারে পরামর্শ দেন।” সর্দার আরও যোগ করেন, “ক্রিকেটের মতো হকিও যে একটা টিম গেম সে ব্যাপারে জোর দেন তিনি। বিশ্বের সেরা ক্রিকেটার সচিন পাজি। তাই তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করায় টিমের প্লেয়ারদের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়বে।”
সচিন সর্দারদের সঙ্গে কথা বলার মাঝে কেরিয়ারের শুরুতে নিজের অভিজ্ঞতার কথাও বলেন। “জীবনের প্রথম ম্যাচটা খুব ভাল যায়নি। রান করতে পারিনি। রাতে যে জন্য ঘুমও হয়নি। শেষ পর্যন্ত সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলি। সিনিয়ররা আমায় চাপ না নিয়ে নিজের খেলাটাকে নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ আর প্রচুর উৎসাহ দিয়েছিল। যেটা পরের ম্যাচে আমায় ৫৮ রান করতে সাহায্য করে। এখনও আমি সেই পরামর্শ মেনে চলি আর তরুণদের একই কথা বলি।”
বিশ্বকাপে শুরুতেই ভারতের টক্কর অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, ইংল্যান্ড, বেলজিয়ামের মতো দলের সঙ্গে। তবে প্রতিপক্ষ যতই শক্তিশালী হোক সচিনের পরামর্শ, “তাতে চাপে পড়ে গেলে চলবে না। প্রত্যেকটা ম্যাচ ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে শুরু করতে হবে। জানতে হবে প্রত্যেকটা টিমের কোথায় শক্তি, কোথায় দুর্বলতা। সেই অনুযায়ী নিতে হবে প্রস্তুতি।”
মাস্টার-ব্লাস্টারের দু’ঘণ্টার ‘ভোকাল টনিক সেশন’ নিয়ে খুব খুশি সর্দারদের প্রধান কোচ টেরি ওয়ালশও। তিনি বলেন, “ক্রিকেটের কিংবন্তির সঙ্গে আলাপ করার পরে দারুণ লাগল। সচিনের চিন্তা-ভাবনা অসাধারণ। যতটুকু সময় ও প্লেয়ারদের সঙ্গে কাটাল মাঠে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy