বয়স মাত্র ১৩। নাম মালাবত পূর্ণা। নিখোঁজ ছন্দা গায়েনকে নিয়ে বাঙালির যখন মন ভার, ঠিক সেই সময়ই এক টুকরো খুশির খবর নিয়ে এসেছে অন্ধ্রপ্রদেশের এই কিশোরী। আজ ভোরেই সে ছুঁয়ে ফেলেছে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টকে। বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ মহিলা হিসেবে যা এক রেকর্ডও বটে।
মালাবতের সঙ্গেই এভারেস্টে উঠেছে সাধনপল্লি আনন্দকুমার নামে অপর এক কিশোরও। অন্ধ্রের খাম্মাম জেলার বাসিন্দা, ১৬ বছরের সাধন আর মালাবত একই স্কুলে পড়ে। তাদের স্কুল, ‘অন্ধ্রপ্রদেশ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার এডুকেশন সোসাইটি’র উদ্যোগেই ৫২ দিন আগে শুরু হয়েছিল এই এভারেস্ট অভিযান। আজ সকাল ছ’টা নাগাদ বিশ্বের শীর্ষ বিন্দুকে ছোঁয়ার রেকর্ড গড়ে মালাবত।
সাফল্য সহজে আসেনি। প্রথমে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের জন্য স্কুলের দেড়শো জন পড়ুয়ার সঙ্গে নির্বাচিত হয়েছিল মালাবত। পড়ে কুড়ি জনের একটি দলের সদস্য হয়ে দার্জিলিঙের এক পর্বতারোহণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নেয় সে। তারও পরে চিন-ভারত সীমান্তে অভিযান। তার পর আসে এভারেস্ট জয়ের সুযোগ।
এমনিতে গোটা অভিযানটা সহজ ছিল না মোটেও। যে রাস্তা দিয়ে মূলত এভারেস্টের বেশির ভাগ অভিযান হয়ে থাকে, সেই সাউথ কল অর্থাৎ নেপালের দিকের রাস্তাটা বন্ধ গত মাস থেকে। গত এপ্রিলে খুম্বু আইস ফলের কাছে তুষার ধসে ১৩ জন শেরপার মত্যুর পরে প্রচুর হইচই আর বিতর্ক হয়। তখন থেকেই এ বছরের মতো বন্ধ হয়ে গিয়েছে সাউথ কল দিয়ে অভিযান। সেই জন্যই এ বার নর্থ কল অর্থাৎ চিনের দিক দিয়ে অভিযান শুরু করেছিল মালাবতরা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সাউথ কলের থেকে নর্থ কল দিয়ে অভিযান করাটা বেশি কঠিন।
তার একটা অন্যতম কারণ পথের দুর্গমতা।
তবে সে সব বাধা জয় করেই আজ রেকর্ডের মালকিন মালাবত পূর্ণা। যার সাহসকে আজ কুর্নিশ জানিয়েছেন দেশের ভাবী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। টুইটারে মোদী লিখেছেন, “খবরটা শুনে খুব খুশি হয়েছি। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে অভিনন্দন। তারা সত্যিই আমাদের গর্বিত করেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy