মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার দুই জঙ্গি। —নিজস্ব চিত্র।
খাগড়াগড়, বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রী জঙ্গি নেতা কওসর ওরফে বোমারু মিজানকে ছিনতাইয়ের ছক ভেস্তে দিল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। আদালত থেকে জেলে নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের গাড়ি বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)। তার আগেই মুর্শিদাবাদ থেকে দুই জঙ্গি মুশিবুর রহমান, রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করল এসটিএফ।
গোয়েন্দাদের কাছে আগেই খবর ছিল, কওসরকে ছিনতাইয়ের ছক কষেছে জেএমবি। কিছু দিন আগে কলকাতা থেকে আরিফুল ইসলাম নামে এক জঙ্গি ধরা পড়ার পর, তাকে জেরা করে এই বিষয়ে আরও তথ্য জানা যায়। এর পরই ওই দুই জঙ্গির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। অবশেষে বুধবার জালে পড়ল বোমা বানাতে এবং নাশকতা ঘটাতে পারদর্শী এই দুই জঙ্গি নেতা।
ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ছিনতাইয়ের জন্য জঙ্গি শিবিরে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। অ্যাসিড বোমা কী ভাবে তৈরি করা হয়, তাও জানত মুশিবুর এবং রুহুল। সে করণেই জেএমবি-র অন্যতম মাথা কওসরকে ছিনতাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাদের। ধৃতদের কাছ থেকে শহরের বেশ কিছু জায়গার নকশাও উদ্ধার হয়েছে। বড়সড় হামলার পরিকল্পনাও ছিল বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রত্যাঘাত মলম নয়, মিতার প্রশ্ন সুরক্ষা নিয়েই
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের যুবক আসিফ ইকবালকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল কওসর নিজেই। আসিফের বাড়ি মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে। তাকে জেরা করে এই দু’জনের গতিবিধির উপরে নজর রাখছিলেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: পাচারের মুখে ফোন করে রক্ষা ছাত্রীর
পশ্চিমবঙ্গ ও অসমকে কেন্দ্র করে জেহাদের প্রস্তুতি নিয়েছিল জেএমবি জঙ্গি নেতা কওসর। এ রাজ্য খাগড়াগড় বিস্ফোরণে হাত রয়েছে কওসরের। ২০১৮-র জানুয়ারিতে বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের ছক কষা হয় তারই নেতৃত্বে। ব্যাপক আকারের বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল জেএমবি-র। বেঙ্গালুরু থেকে কওসরকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। পরে তাকে হেফাজতে নেয় কলকাতা পুলিশ।
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেবাংলায় খবরজানতে পড়ুন আমাদেররাজ্যবিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy