Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ বার বাগুইআটি পুজোর থিম-গান গাইবেন রানু

রেকর্ডিং স্টুডিয়োয় বাগুইআটির অর্জুনপুরের একটি ক্লাবের পুজোর থিম-গান গাইতে এসে রীতিমতো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রানু।

পার্ক স্ট্রিটের একটি স্টুডিয়োয়  রানু মণ্ডল এবং বিজয় শীল। রবিবার। ছবি: আর্যভট্ট খান।

পার্ক স্ট্রিটের একটি স্টুডিয়োয় রানু মণ্ডল এবং বিজয় শীল। রবিবার। ছবি: আর্যভট্ট খান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৯ ০২:৫৩
Share: Save:

কোনও দিন স্টুডিয়োয় গান রেকর্ডিংয়ের অভিজ্ঞতা ছিল না তাঁর। তবে নদিয়ার রানাঘাট স্টেশনের গায়িকা রানু মণ্ডল রবিবার দুপুরে জীবনে প্রথম বার পার্ক স্ট্রিটের একটি স্টুডিয়োয় পুজোর থিম-গান রেকর্ড করলেন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গেই। গান রেকর্ডিংয়ের ফাঁকে তিনি জানালেন, প্রথম বার রেকর্ডিং স্টুডিয়োয় এসে একটু থতমত খেয়ে গিয়েছিলেন ঠিকই। তবে কিছু ক্ষণের মধ্যেই সব জড়তা কাটিয়ে উঠেছেন।

রেকর্ডিং স্টুডিয়োয় বাগুইআটির অর্জুনপুরের একটি ক্লাবের পুজোর থিম-গান গাইতে এসে রীতিমতো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রানু। তিনি বলেন, ‘‘আমি তো শুনে শুনে গান করি। খাতা দেখে গান গাইতে পারি না। এই গানটা আমার পরিচিত গান ছিল না। গানের লাইনগুলো দেখে মনে হয়েছিল, হয়তো মুখস্থ করতে পারব না। কিন্তু বারবার শুনে শুনে গানটা আস্তে আস্তে সহজ হয়ে গেল।’’ রানু জানান, তাঁর সহশিল্পী বিজয় শীল এবং ক্লাবকর্তারা তাঁকে এই গান গাইতে খুব উৎসাহ দিয়েছেন।

মাসখানেকের মধ্যে জীবনযাত্রা অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে রানাঘাটের রানুর। এ দিন গায়িকা জানান, গত বছর শারদোৎসবের সময় স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি, সামনের পুজোয় তিনি কোনও পুজোর থিম-গান গাইবেন। তাঁর ডাক এসেছে মুম্বই থেকেও। রানু বলেন, ‘‘আমি কোনও দিন কারও কাছে সে-ভাবে গান শিখিনি। রেডিয়ো, টেপ রেকর্ডারে শিল্পীদের গান শুনে শুনে গান তুলেছি।’’ রানু জানান, গানের অনুশীলনের কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। এক বার গান শুরু করলে গাইতেই থাকেন। ‘‘যে-কোনও গান শুনে শুনে মুখস্থ করে ফেলি। তার পরে নিজে নিজে গুনগুন করতে করতে গানের সুর রপ্ত করার চেষ্টা করি,’’ বললেন স্টেশন-গায়িকা। এ দিন রানুর গান শুনে মুগ্ধ তাঁর সহশিল্পী বিজয়ও। রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনের কাছে বিজয়ের চায়ের দোকান রয়েছে। দোকান চালানোর পাশাপাশি চলে গানের চর্চা। বিজয় বলেন, ‘‘ওঁর অসম্ভব সুরেলা গলা। কী দ্রুত গানটা তুলে ফেললেন!’’ কেন রানুকে দিয়ে এ বার পুজোর থিম-গান গাওয়ানো হচ্ছে, এই প্রশ্নের উত্তরে সংশ্লিষ্ট ক্লাবের কর্মকর্তা তমাল দত্ত বলেন, ‘‘পুজোয় আমাদের একটা সামাজিক দায়বদ্ধতাও রয়েছে। রানাঘাটের প্ল্যাটফর্মের গায়িকা রানু আজ এত জনপ্রিয়। আমরা চাই, উনি আরও ভাল গান করুন। এই গান আমাদের পুজো মণ্ডপে সারা দিন বাজবে।’’

রানু জানান, পুজোর গানের রেকর্ডিংয়ের পরেও তাঁর নানা ব্যস্ততা রয়েছে। মুম্বই যাবেন কিছু দিন পরেই। সেখানে তিনি কার সঙ্গে প্রথমে দেখা করতে চান? রানু লাজুক গলায় বলেন, ‘‘প্রচুর শিল্পীর নাম মনে পড়ছে, যাঁদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। কিন্তু প্রথমেই যাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাই, তিনি হলেন লতাজি (লতা মঙ্গেশকর)। ওঁর সঙ্গে দেখা করে এক বার ওঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Ranu Maria Mandal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE