বন্ধুদের সঙ্গে মিলে মায়ের ‘প্রেমিক’কে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
বাবা মারা গিয়েছেন মাস ছয়েক আগে। তার পর থেকেই এলাকার এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে মায়ের। তাতে প্রবল আপত্তি ছিল ছেলের। সোমবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে মিলে সেই যুবককেই লাঠি-রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করল সে। খুনের অভিযোগে ওই যুবক-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কৃষ্ণনগরের ওই মহিলাকে আটক করে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
কোতোয়ালি থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম স্মরজিৎ ঘোষ (২৮)। নগেন্দ্রনগরের ঢাকাপাড়া এলাকায় থাকতেন তিনি। স্থানীয় একটি হোটেলে ওয়েটারের কাজ করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মাস ছয়েক আগে এলাকারই বাসিন্দা বছর ছত্রিশের মাধবী বিশ্বাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। মাধবীর স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই তাঁদের সম্পর্কের শুরু। এর পর থেকে ওই মহিলার বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত শুরু স্মরজিতের। তবে মায়ের এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি মাধবীর ১৯ বছরের ছেলে বুদ্ধদেব। স্মরজিৎকে ডেকে তাদের বাড়ি আসতে নিষেধ করে দেয় সে। গত কাল রাতে সেই নিষেধ উপেক্ষা করেই মাধবীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে যান স্মরজিৎ। তাতেই ক্ষেপে ওঠে বুদ্ধদেব। স্মরজিৎকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করে। সে সময় সেখান থেকে চলে যান স্মরজিৎ।
আরও পড়ুন
পালিয়েছে পাত্রী, ‘দুঃসময়ে’ দীপঙ্করকে বিয়ে করলেন অনিন্দিতাই
স্মরজিৎ তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেই তাঁর পিছুধাওয়া করে বুদ্ধদেব। সঙ্গে ডেকে নেয় দুই বন্ধুকেও। লাঠি-রড নিয়ে স্মরজিতের পিছু পিছু খালপাড়ে পৌঁছে যায় বুদ্ধদেব ও তার দুই বন্ধু। সেখানে স্মরজিৎকে একা পেয়ে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তিন জন। এর পর চলে বেধড়ক মারধর। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন স্মরজিৎ। সেখানেই তাঁকে ফেলে চম্পট দেয় ওই তিন জন।
আরও পড়ুন
খেয়ালই নেই অক্সিজেন শেষ! ছটপট করতে করতে মৃত্যু হল বৃদ্ধের
খবর পেয়ে খালপাড়ে পৌঁছন স্মরজিতের বাড়ির লোকজন। এর পর রাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শক্তিগড় জেলা হাসপাতালে। সেখানে স্মরজিতের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। রাতেই হাসপাতালে মারা যান তিনি।
ঘটনার পর খবর পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। নদিয়ার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলেন, “স্মরজিতকে খুনের অভিযোগে মাধবীর ছেলে ও তার দুই বন্ধু সৌরভ হালদার এবং বিশ্বজিৎ হালদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাধবীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তে নেমে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy