Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

‘প্রতিবাদ, অ্যাঁ!’ বলেই গোপনাঙ্গে সজোরে লাথি

থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে সেখানেও আক্রান্ত হন এক যুবক। থানার সামনেই হাওড়ার পুরপ্রধানের ব্যক্তিগত সচিব ওই যুবকের যৌনাঙ্গে সজোরে লাথি মারেন বলে অভিযোগ।

আক্রান্ত পাপ্পু হাজরা। নিজস্ব চিত্র

আক্রান্ত পাপ্পু হাজরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৮ ০৩:২৮
Share: Save:

এলাকায় অসামাজিক কাজকর্মের প্রতিবাদ করেছিলেন বাসিন্দারা।

অভিযোগ, সেই ‘অপরাধ’-এ এলাকারই কিছু যুবক মীমাংসার নামে বেতের চাবুক ও লাঠি নিয়ে আক্রমণ করল বাসিন্দাদের। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে সেখানেও আক্রান্ত হন এক যুবক। থানার সামনেই হাওড়ার পুরপ্রধানের ব্যক্তিগত সচিব ওই যুবকের যৌনাঙ্গে সজোরে লাথি মারেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এলাকায় তৃণমূল-সমর্থক বলে পরিচিত এক দল যুবকের।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার রাতে হাওড়া পুরসভার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাকসাড়ার বাঁধ এলাকার বাসিন্দারা একটি বাড়িতে অসামাজিক কাজকর্মের প্রতিবাদ করায় ওই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁদের গোলমাল বাধে। অভিযোগ, মীমাংসা করার নামে এলাকার তৃণমূলকর্মী বলে পরিচিত জনা কুড়ি যুবক বেতের চাবুক এবং লাঠি নিয়ে প্রতিবাদীদের আক্রমণ করে। কয়েক জন বাসিন্দা আহত হন। রাত ১২টা নাগাদ বাসিন্দারা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে যান। পাপ্পু হাজরা নামে এক যুবক ছিলেন সেই দলে। তাঁর অভিযোগ, তিনি থানার গেটে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা হাওড়ার পুরপ্রধান অরবিন্দ গুহের ব্যক্তিগত সচিব সোনু আচার্য তখনই তাঁর যৌনাঙ্গে সজোরে লাথি মারেন। প্রবল যন্ত্রণায় লুটিয়ে পড়েন তিনি।

এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে দক্ষিণ হাওড়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেনারেল হাসপাতালে। সোনু-সহ চার যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পাপ্পুর দাদা দীপ হাজরা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে থানায় গণস্বাক্ষর সংবলিত অভিযোগপত্র জমা দেন বাসিন্দারা।

লাথি মারার অভিযোগ অস্বীকার করে সোনু বলেন, ‘‘আমি থানায় ছিলাম ঠিকই। কিন্তু কাউকে লাথি মারিনি। একটা ছোটখাটো গোলমাল হয়েছিল। পরে মিটে গিয়েছে।’’

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সোনু পুরপ্রধান অরবিন্দবাবুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেই পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অরবিন্দবাবু বলেন, ‘‘সোনু এমন কাজ করতেই পারে না। যদি করে থাকে, আমার কাছে কোনও সাহায্য পাবে না।’’ হাওড়া সিটি পুলিশের এসিপি (দক্ষিণ) গুলাম সারওয়ার বলেন, ‘‘অভিযোগ পেলে পুলিশ নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে।’’ মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ব্যাপারটা আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE