—ফাইল চিত্র।
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে আদালতে তলব করেছিলেন দিল্লির অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। জেলা ও দায়রা আদালত তাঁর ব্যক্তিগত হাজিরায় স্থগিতাদেশ জারি করল।
ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সার্থক চতুর্বেদী অভিযোগ দায়ের করে বলেন, অভিষেক ২০১৪-র লোকসভা ভোটে মনোনয়ন পেশের সময় জানিয়েছিলেন তিনি আইআইপিএম নামক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ২০০৯-এ এমবিএ ডিগ্রি পেয়েছেন। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানই দিল্লি হাইকোর্টে জানায়, তারা ডিগ্রি দেয় না। সার্থকের অভিযোগ, অভিষেক ভুল তথ্য দিয়ে জন প্রতিনিধিত্ব আইন ভেঙেছেন। ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
আইনজীবীদের ব্যাখ্যা অভিষেকের বিরুদ্ধে জন প্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৫এ ধারায় মামলা হয়েছে। ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর সর্বাধিক ছয় মাসের জেল ও কারাদণ্ড হতে পারে। অপরাধ প্রমাণিত হলে সাংসদ পদ যাবে। তবে উপ-নির্বাচনে লড়তে বাধা থাকবে না। কিন্তু ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৮ ধারায় প্রতারণার মামলাও হয়েছে। তাতে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের শাস্তির নিদান রয়েছে। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী কোনও জনপ্রতিনিধির ২ বছরের বেশি কারাদণ্ড হলে তিনি আর নির্বাচনে লড়তে পারবেন না।
এই মামলাতেই দিল্লির অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সমর বিশাল অভিষেককে হাজিরার নির্দেশ দেয়। আজ হাজিরার কথা ছিল। গত সপ্তাহে অভিষেকের আইনজীবীরা জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক অজয় কুহারের দ্বারস্থ হন। তাঁদের যুক্তি ছিল, দিল্লির কোর্টের আওতার মধ্যে ডায়মন্ডহারবার সংসদীয় কেন্দ্র পড়ে না। যিনি অভিযোগ জানিয়েছেন, তিনি ওই এলাকার ভোটার নন। তাছাড়া এতদিন পরেই বা মামলা করা হচ্ছে কেন! তা শুনে বিচারক কুহার ব্যক্তিগত হাজিরায় স্থগিতাদেশ জারি করে জানান, ২৩ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে শুনানি। তৃণমূল সূত্রের যুক্তি, ওই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত দিল্লির আদালতের রায় বেরিয়েছিল ২০১৪-য়। ২০০৯-এ ডিগ্রি পান অভিষেক। তাই রায় প্রযোজ্য নয়। ২০১৯-এর ভোটের হলফনামাতেও অভিষেক এমবিএ ডিগ্রির কথা জানান। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্ত স্বীকৃতি অনুযায়ী বেলজিয়ামের একটি সংস্থা ডিগ্রি দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy