Advertisement
E-Paper

সন্দেশখালির কথা শুনেই মুখে অপশব্দ! শুভেন্দু ক্ষমা চান, দাবি তৃণমূল প্রার্থীর, সময়ও বেঁধে দিলেন

সন্দেশখালির কথা শুনতেই বাঁকুড়ায় মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। অশালীন শব্দবন্ধ প্রয়োগ করতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৪ ২৩:০২
শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

সন্দেশখালির কথা শুনতেই বাঁকুড়ায় মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। অশালীন শব্দবন্ধ প্রয়োগ করতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের দাবি, বিরোধী দলনেতাকে ক্ষমা চাইতে হবে। তাঁর হুঁশিয়ারি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শুভেন্দু ক্ষমা না চাইলে সারা রাজ্যের মহিলারা আন্দোলনে নামবেন।

বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার নারানপুর গ্রামে দলের মহিলা কর্মীদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখান সুজাতা। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘সিমলাপালে সাধারণ কিছু মহিলা গদ্দার অধিকারীকে রাস্তা দিয়ে পেরোতে দেখে আবেগে জয় বাংলা বলেছিলেন। তাঁদের কোনও দোষ ছিল না। কিন্তু গদ্দার অধিকারী সেখানে দাঁড়িয়ে মহিলাদের উদ্দেশে অত্যন্ত অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ শব্দবন্ধ ব্যবহার করেন। বিষয়টি জানার পর থেকেই এক জন নারী হিসাবে নিজের ভিতরটা জ্বলছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে নারীদের এত সম্মান দিচ্ছেন, সেখানে বিরোধী দলনেতার এই অসম্মান কেউ মেনে নিতে পারছেন না। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অধিকারীবাবু ক্ষমা না চাইলে শুধু ইন্দাস নয়, সারা রাজ্যের মহিলারাই এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামবেন।’’

বুধবার সিমলাপালের হেতাগড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানে যাওয়ার পথে ‘চোর’ স্লোগান শুনে তাঁকে মেজাজ হারাতে দেখা যায়। রাস্তার পাশে মাইকে মহিলাদের ‘চোর শুভেন্দু’ ও ‘গো ব্যাক শুভেন্দু’ স্লোগান শুনে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন শুভেন্দু। ‘মস্তানি হচ্ছে’ বলে তাঁকে তেড়ে যেতেও দেখা যায়। ধমক দেন পুলিশ কর্মীকে। তাতেও অবশ্য মাইকে মহিলা কণ্ঠে ‘মমতা জিন্দাবাদ, গো ব্যাক শুভেন্দু, জয় বাংলা’ স্লোগান থামেনি। এর পরেই মহিলাদের উদ্দেশে কটু কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। শুভেন্দু অভিযোগ করেন, ‘‘পুলিশকর্মীরা দাঁড়িয়ে থেকে এ সব করাচ্ছেন। আমি কাউকে ভয় পাই না।’’ রাতে ওই ঘটনারই ভিডিয়ো এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীও বলেন, ‘‘মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছিলেন। তাতেই বিরোধী দলনেতা অসম্মানজনক আচরণ করেন।’’

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy