মীর মোশারফ হোসেন
মোসারফ হোসেন মণ্ডল, তবে তামাম মুর্শিদাবাদ তাঁকে চেনে মধু নামে। বছর চল্লিশের মধু বর্ধমান বিশ্ববিদ্যায়ের দূরশিক্ষা বিভাগ থেকে ইসলামিক-ইতিহাসে স্নাতকোত্তর। রাজনীতির সঙ্গে হাতেখড়ি তারও আগে। ২০১৩ সালে নওদা থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জেলা পরিষদের সদস্য, ২০১৪-১৬ সাল ছিলেন বহরমপুর মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি। ২০১৬ সালের ১০ অগস্ট ১০ জন কংগ্রেসের জেলা পরিষদ সদস্যকে নিয়ে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান। ওই বছর অক্টোবর মাসে জেলা পরিষদ কংগ্রেসের হাত থেকে তৃণমূল ছিনিয়ে নেয়। সেই মধু এ বার জেলা সভাধিপতি। বলছেন—
কংগ্রেসের জেলাপরিষদ ভেঙে অন্যদের নিয়ে তৃণমূলে পাড়ি দেওয়ার পুরষ্কার পেলেন তা হলে?
মধু: দল আমাকে এই পদের যোগ্য মনে করেছে। এর বেশি কিছু নয়।
প্রশ্ন: শোনা যায়, নওদার বিধায়ক আবু তাহের খানের সাথে আপনার ‘সাপে-নেউলে’ সম্পর্ক। সভাধিপতি পদ পাওয়ার পর কি এ বারে সম্পর্ক ‘মধুর’ হবে?
মধু: উনি বিধায়ক, আমি সভাধিপতি। এখানে ব্যক্তি বড় কথা নয়। বিধায়ক-সভাধিপতি মিলে উন্নয়ন করব।
প্রশ্ন: রাজ্যের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদেও বিজেপি’র প্রভাব বাড়ছে, কীভাবে আটকাবেন?
মধু: জেলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর পাশে আছেন। রাজ্য সরকার জেলার একাধিক উন্নয়ন করেছে। উন্নয়ন করে আমরা মানুষের পাশে থাকতে চাই। জেলাবাসী কোনও ভাবেই বিজেপি’র দিকে ফিরে তাকাবে না।
প্রশ্ন: সদ্য প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে মুর্শিদাবাদে এখনও কংগ্রেসে প্রভাব রয়েছে। তাঁদের নিয়ে কিছু ভাবছেন?
মধু: অধীর চৌধুরী মনিহারা ফণী! তাঁর পাশে লোক নেই। তাই আর তাঁকে নিয়ে ভাবছি না।
প্রশ্ন: বিরোধীদের ভোটে লড়তে না দিয়ে জেলা পরিষদের দখল নিয়েছে তৃণমূল, এমনই অভিযোগ, বিরোধী শূন্য সেই জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসেবে কেমন লাগছে?
মধু: বিরোধীরদের ভোটে লড়াই করার লোক নেই তো আমাদের কি করার আছে।
প্রশ্ন: কোন কাজকে সভাধিপতি হিসেবে অগ্রাধিকার দেবেন?
মধু: নদী ভাঙন রোধ এবং কৃষি সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন, নবাবের জেলাকে আবার রাজ্যের শীর্ষে নিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য হবে।
সাক্ষাৎকার: সামসুদ্দিন বিশ্বাস
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy